শিমুল চৌধুরী, ভোলা
ভোলায় চাল, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহে কোনো কোনো পণ্যের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অপর্যাপ্ত সরবারহকে দায়ী করছেন।
দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ আয়ের মানুষ ক্ষুব্ধ। এ দিকে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। এমনকি দাম বেশি রাখায় বিক্রেতাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
ভোলা শহরের প্রধান প্রধান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২৫ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ২০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে সদর উপজেলার যুগীরঘোল এলাকার মুদি ব্যবসায়ী সৌরভ বলেন, বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।
এ দিকে সয়াবিন তেল হুট করেই বাজার থেকে হাওয়া হয়ে গেছে।
মুদি দোকানি মো. হানিফ বলেন, ‘সয়াবিন তেলের দাম বাড়ায় কোনো কোম্পানি সয়াবিন তেল দিচ্ছে না। ফলে আমরা বিক্রিও করতে পারছি না।’
শুধু যে তেল, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তা নয়, মাংস ও ডিমের দাম বাড়তি। দোকানি মো. হানিফ জানান, এক সপ্তাহ আগে মুরগির ডিমের হালি ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন হালি বিক্রি করতে হচ্ছে ৩৮ টাকায়।
জানা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।
মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে পরানগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কিছুটা কম। ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার কারণে সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে।
সামনে মুরগির দাম আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন এ বিক্রেতা।
এ দিকে কাতল ও রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৯০ টাকায়। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-৩৬০ টাকায়। শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬৫০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি ১৭০-১৯০ টাকায়, নলা ১৭০-২০০ টাকায়, চিংড়ি ৭০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেল, মাংস ও পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। ফুলকপির কেজি ৫০, টমেটোর কেজি ৩০, শিমের কেজি ৩০, শালগমের কেজি ৩০, বেগুন ও গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে থাকায় অতিষ্ঠ ক্রেতারা।
মো. রুবেল হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ টাকা। সেই পেঁয়াজ এখন ৫০ টাকা। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষেরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। কোনোমতে চলছে। কিন্তু আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।’
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী বলেন, ‘অতি মুনাফার আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিবছর রমজান মাসের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে পণ্যের কৃত্রিম সংকট দেখা দেয়। আসলে কোনো সংকট নেই।’
দাম বাড়ার বিষয়ে জেলা কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে—এমন আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর নদীতে টানা দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ রাখার কারণে বাজারে মাছের দামও বেড়েছে।’
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা কৃষি বিপণন অফিস ও পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সয়াবিন তেল অতিরিক্ত দামে বিক্রি করার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চারটি মামলায় তিনজনকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভোলায় চাল, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহে কোনো কোনো পণ্যের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অপর্যাপ্ত সরবারহকে দায়ী করছেন।
দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ আয়ের মানুষ ক্ষুব্ধ। এ দিকে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। এমনকি দাম বেশি রাখায় বিক্রেতাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
ভোলা শহরের প্রধান প্রধান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২৫ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ২০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে সদর উপজেলার যুগীরঘোল এলাকার মুদি ব্যবসায়ী সৌরভ বলেন, বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।
এ দিকে সয়াবিন তেল হুট করেই বাজার থেকে হাওয়া হয়ে গেছে।
মুদি দোকানি মো. হানিফ বলেন, ‘সয়াবিন তেলের দাম বাড়ায় কোনো কোম্পানি সয়াবিন তেল দিচ্ছে না। ফলে আমরা বিক্রিও করতে পারছি না।’
শুধু যে তেল, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তা নয়, মাংস ও ডিমের দাম বাড়তি। দোকানি মো. হানিফ জানান, এক সপ্তাহ আগে মুরগির ডিমের হালি ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন হালি বিক্রি করতে হচ্ছে ৩৮ টাকায়।
জানা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।
মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে পরানগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কিছুটা কম। ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার কারণে সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে।
সামনে মুরগির দাম আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন এ বিক্রেতা।
এ দিকে কাতল ও রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৯০ টাকায়। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-৩৬০ টাকায়। শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬৫০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি ১৭০-১৯০ টাকায়, নলা ১৭০-২০০ টাকায়, চিংড়ি ৭০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেল, মাংস ও পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। ফুলকপির কেজি ৫০, টমেটোর কেজি ৩০, শিমের কেজি ৩০, শালগমের কেজি ৩০, বেগুন ও গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে থাকায় অতিষ্ঠ ক্রেতারা।
মো. রুবেল হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ টাকা। সেই পেঁয়াজ এখন ৫০ টাকা। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষেরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। কোনোমতে চলছে। কিন্তু আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।’
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী বলেন, ‘অতি মুনাফার আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিবছর রমজান মাসের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে পণ্যের কৃত্রিম সংকট দেখা দেয়। আসলে কোনো সংকট নেই।’
দাম বাড়ার বিষয়ে জেলা কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে—এমন আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর নদীতে টানা দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ রাখার কারণে বাজারে মাছের দামও বেড়েছে।’
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা কৃষি বিপণন অফিস ও পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সয়াবিন তেল অতিরিক্ত দামে বিক্রি করার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চারটি মামলায় তিনজনকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে