নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার মহাদেও নদে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনে মহোৎসব চলছে। নদের বিভিন্ন অংশে শত শত খনন যন্ত্র বসিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে একদিকে নদে হারাচ্ছে নাব্য অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত জনপদ।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলতি বছর কলমাকান্দা উপজেলার মহাদেও নদের ওমরগাঁও, হাসানোয়াগাঁও এবং বিশাউতি মৌজায় ৩৫ দশমিক ১৫ একর বালু মহাল ইজারা দেওয়া হয়। প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় ইজারা নেন রবীন্দ্র চন্দ্র দাস নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগ রয়েছে, ইজারাদারের সঙ্গে কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আলমগীর গোলাম যুক্ত হয়ে অবৈধভাবে বালু ও পাথর তুলছেন। তাঁরা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বালু উত্তোলন না করে পর্যটন এলাকাখ্যাত মহাদেও, সন্নাসীপাড়া, চিকনটুপ, বড়ুয়াকোনা, পাতলাবনসহ নদের বিভিন্ন এলাকায় বালু ও পাথর তুলছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। এতে এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্টের পাশাপাশি নদের তীরের বাড়িঘর, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া বালু ও পাথরবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যান চলাচলের ফলে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট ভেঙে গেছে।
কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ্বাস বালু উত্তোলন বন্ধে গত ২৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন বাদী হয়ে ইজারাদারকে আসামি করে নেত্রকোনা আদালতে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেন।
মহাদেও নদ রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব বাবুল নাফাক বলেন, এই এলাকাটি সুন্দর পর্যটন এলাকা হতে পারত। এখানে সারা দেশ থেকে মানুষ আসে প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করতে। এখানে চন্দ্রডিঙ্গা নামে একটি পাহাড়ও আছে। চাইলে সরকার এই এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। কিন্তু উল্টো কিছু বালু ও পাথরখেকো শত শত ড্রেজার বসিয়ে এখানকার জনপদকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আদিবাসী ফোরামের নেতা এন্ড্রো সলোমার বলেন, ‘মহাদেও নদের বালু এখন এলাকাবাসীর দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাবশালীরা কোনো রকম নিয়ম-নীতি না মেনে বালু ও পাথর উত্তোলন করছেন। ফলে নদের ভাঙনে আমাদের আদিবাসী অনেক পরিবারকে বসতভিটা হারাতে হয়েছে। ড্রেজার ব্যবহারের কারণে শব্দদূষণের পাশাপাশি পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।’
রংছাতি ইউপির সাবেক সদস্য হাবিল মিয়া বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভূমি খেকোরা অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন করছে। সরকার দলীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা এই বালু-পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন বলেন, ‘কোনো রকম নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ইজারা বহির্ভূত স্থান থেকে বালু-পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। বারবার অভিযোগ করার পরও প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আমি গত সেপ্টেম্বর মাসে আদালতে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছি।’
ইজারাদার রবীন্দ্র দাসের মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। তবে তাঁর অংশীদার আওয়ামী লীগ নেতা এসএম আলমগীর গোলাপ বলেন, বালু মহালের সীমানা নিয়ে কিছু জটিলতা আছে। জেলা প্রশাসন থেকে যে স্থানটি গত কয়েক বছর ধরে বালু মহাল হিসেবে ইজারা দিয়ে আসছে তাতে তেমন বালু নেই। তাই বাধ্যহয়ে অন্য স্থান থেকে বালু উত্তোলন করতে হয়।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানের ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার মহাদেও নদে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনে মহোৎসব চলছে। নদের বিভিন্ন অংশে শত শত খনন যন্ত্র বসিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে একদিকে নদে হারাচ্ছে নাব্য অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত জনপদ।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলতি বছর কলমাকান্দা উপজেলার মহাদেও নদের ওমরগাঁও, হাসানোয়াগাঁও এবং বিশাউতি মৌজায় ৩৫ দশমিক ১৫ একর বালু মহাল ইজারা দেওয়া হয়। প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় ইজারা নেন রবীন্দ্র চন্দ্র দাস নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগ রয়েছে, ইজারাদারের সঙ্গে কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আলমগীর গোলাম যুক্ত হয়ে অবৈধভাবে বালু ও পাথর তুলছেন। তাঁরা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বালু উত্তোলন না করে পর্যটন এলাকাখ্যাত মহাদেও, সন্নাসীপাড়া, চিকনটুপ, বড়ুয়াকোনা, পাতলাবনসহ নদের বিভিন্ন এলাকায় বালু ও পাথর তুলছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। এতে এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্টের পাশাপাশি নদের তীরের বাড়িঘর, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া বালু ও পাথরবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যান চলাচলের ফলে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট ভেঙে গেছে।
কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ্বাস বালু উত্তোলন বন্ধে গত ২৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন বাদী হয়ে ইজারাদারকে আসামি করে নেত্রকোনা আদালতে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেন।
মহাদেও নদ রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব বাবুল নাফাক বলেন, এই এলাকাটি সুন্দর পর্যটন এলাকা হতে পারত। এখানে সারা দেশ থেকে মানুষ আসে প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করতে। এখানে চন্দ্রডিঙ্গা নামে একটি পাহাড়ও আছে। চাইলে সরকার এই এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। কিন্তু উল্টো কিছু বালু ও পাথরখেকো শত শত ড্রেজার বসিয়ে এখানকার জনপদকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আদিবাসী ফোরামের নেতা এন্ড্রো সলোমার বলেন, ‘মহাদেও নদের বালু এখন এলাকাবাসীর দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাবশালীরা কোনো রকম নিয়ম-নীতি না মেনে বালু ও পাথর উত্তোলন করছেন। ফলে নদের ভাঙনে আমাদের আদিবাসী অনেক পরিবারকে বসতভিটা হারাতে হয়েছে। ড্রেজার ব্যবহারের কারণে শব্দদূষণের পাশাপাশি পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।’
রংছাতি ইউপির সাবেক সদস্য হাবিল মিয়া বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভূমি খেকোরা অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন করছে। সরকার দলীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা এই বালু-পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন বলেন, ‘কোনো রকম নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ইজারা বহির্ভূত স্থান থেকে বালু-পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। বারবার অভিযোগ করার পরও প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আমি গত সেপ্টেম্বর মাসে আদালতে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছি।’
ইজারাদার রবীন্দ্র দাসের মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। তবে তাঁর অংশীদার আওয়ামী লীগ নেতা এসএম আলমগীর গোলাপ বলেন, বালু মহালের সীমানা নিয়ে কিছু জটিলতা আছে। জেলা প্রশাসন থেকে যে স্থানটি গত কয়েক বছর ধরে বালু মহাল হিসেবে ইজারা দিয়ে আসছে তাতে তেমন বালু নেই। তাই বাধ্যহয়ে অন্য স্থান থেকে বালু উত্তোলন করতে হয়।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানের ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে