রোবেল মাহমুদ, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পাটের ফলন ভালো হলেও পানির অভাবে অনেকে খেতেই পাট ফেলে রেখেছেন। এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় ডোবায় পানি নেই। তাই পাট জাগ দিতে পারেননি অনেক কৃষক। মাঠে ফেলে রাখা পাটের আঁশও শুকিয়ে যাচ্ছে। পাট জাগ দিতে না পেরে বেকায়দায় কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, পাট পচানোর পানির অভাবে এবার চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। চাষিদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ১০ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হয় এই পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে পাট পচালে পাটের আঁশের মান ভালো থাকে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বেশির ভাগই তোষা জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাট চাষ করেছেন কৃষকেরা। বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টি না হওয়ায় হতাশ পাটচাষিরা। সাধারণত আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে খাল, বিল, নদী, নালা পানিতে ভরপুর থাকে। এবার খরার কবলে অধিকাংশ খাল-বিল শুকনো। পানি না থাকায় পাট পচাতে পারছেন না চাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, চাষিরা পাট কেটে জমির পাশে বা রাস্তার ধারে, খাল-বিল বা জলাশয়ের পাশে স্তূপ করে রেখেছেন। কেউ আবার অল্প পানিতেই পাটের ওপর মাটি চাপা দিয়ে পাট জাগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। উপজেলার শত শত কৃষক পাট জাগ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছেন না।
এ কারণে অনেকের পাট খেতেই নষ্ট হচ্ছে। কেউ কেউ পুকুর, খাল কিংবা ৫-৭ কিলোমিটার দূরে নদীতে নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে পাটচাষিদের। এদিকে আবার বৃষ্টির অভাবে আমনের আবাদ শুরু করতে পারছেন না কৃষক।
সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক বলেন, ‘খরার কারণে এবার রোদে পুড়ে লাল হয়ে খেতেই মরে যাচ্ছে পাটগাছ। অতিরিক্ত দাবদাহে এবার পাট কাটতে গত বছরের তুলনায় শ্রমিক খরচ বেশি হয়েছে। দেড় বিঘা জমির পাট খুব কষ্টে জাগ দিয়েছি।’
একই গ্রামের কৃষক মোতালেব মিয়া বলেন, ‘এক বিঘা জমির পাট কেটে নানা জায়গায় জাগ দিয়ে আমন আবাদের প্রস্তুতি নিয়েছি।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকেরা এবার পাট চাষের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন। পাট চাষের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে পানির সংকট। কৃষকেরা আশায় আছেন, বৃষ্টি হলে দূর হবে এই সমস্যা। প্রতি বিঘায় পাট চাষে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় ৯ থেকে ১০ মণ পাট পাওয়া যায়।
এ ছাড়া পাটখড়ি বিক্রি ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। প্রতি মণ পাটের বর্তমান বাজারমূল্য ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা। তাঁরা জানান, পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। খেত থেকে পাটগাছ কেটে দূরে কোথাও নিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে। এর ফলে অতিরিক্ত শ্রমিক খরচ লাগছে।
দত্তেরবাজার ইউনিয়নের পাটচাষি বক্কর মিয়া বলেন, ‘ভরা বর্ষায় বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতেই পাট নষ্ট হচ্ছে। পাটগাছের পাতা, কাণ্ড ও গোড়া মরতে শুরু করেছে। পাট কাটার সময় হলেও জাগ দেওয়ার সমস্যায় পাট কাটতে পারছি না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘চাষিরা পাট কেটে জাগ দিতে শুরু করেছেন। কোথাও কোথাও পাট পচানোর পানির অভাবে চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। আমরা চাষিদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছি (১০ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হয়)। এ পদ্ধতিতে পাট পচালে পাটের আঁশের মান ভালো থাকে। অনাবৃষ্টি হলেও পাটের উৎপাদন ব্যাহত হবে না।’
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পাটের ফলন ভালো হলেও পানির অভাবে অনেকে খেতেই পাট ফেলে রেখেছেন। এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় ডোবায় পানি নেই। তাই পাট জাগ দিতে পারেননি অনেক কৃষক। মাঠে ফেলে রাখা পাটের আঁশও শুকিয়ে যাচ্ছে। পাট জাগ দিতে না পেরে বেকায়দায় কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, পাট পচানোর পানির অভাবে এবার চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। চাষিদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ১০ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হয় এই পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে পাট পচালে পাটের আঁশের মান ভালো থাকে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বেশির ভাগই তোষা জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাট চাষ করেছেন কৃষকেরা। বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টি না হওয়ায় হতাশ পাটচাষিরা। সাধারণত আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে খাল, বিল, নদী, নালা পানিতে ভরপুর থাকে। এবার খরার কবলে অধিকাংশ খাল-বিল শুকনো। পানি না থাকায় পাট পচাতে পারছেন না চাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, চাষিরা পাট কেটে জমির পাশে বা রাস্তার ধারে, খাল-বিল বা জলাশয়ের পাশে স্তূপ করে রেখেছেন। কেউ আবার অল্প পানিতেই পাটের ওপর মাটি চাপা দিয়ে পাট জাগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। উপজেলার শত শত কৃষক পাট জাগ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছেন না।
এ কারণে অনেকের পাট খেতেই নষ্ট হচ্ছে। কেউ কেউ পুকুর, খাল কিংবা ৫-৭ কিলোমিটার দূরে নদীতে নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে পাটচাষিদের। এদিকে আবার বৃষ্টির অভাবে আমনের আবাদ শুরু করতে পারছেন না কৃষক।
সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক বলেন, ‘খরার কারণে এবার রোদে পুড়ে লাল হয়ে খেতেই মরে যাচ্ছে পাটগাছ। অতিরিক্ত দাবদাহে এবার পাট কাটতে গত বছরের তুলনায় শ্রমিক খরচ বেশি হয়েছে। দেড় বিঘা জমির পাট খুব কষ্টে জাগ দিয়েছি।’
একই গ্রামের কৃষক মোতালেব মিয়া বলেন, ‘এক বিঘা জমির পাট কেটে নানা জায়গায় জাগ দিয়ে আমন আবাদের প্রস্তুতি নিয়েছি।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকেরা এবার পাট চাষের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন। পাট চাষের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে পানির সংকট। কৃষকেরা আশায় আছেন, বৃষ্টি হলে দূর হবে এই সমস্যা। প্রতি বিঘায় পাট চাষে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় ৯ থেকে ১০ মণ পাট পাওয়া যায়।
এ ছাড়া পাটখড়ি বিক্রি ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। প্রতি মণ পাটের বর্তমান বাজারমূল্য ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা। তাঁরা জানান, পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। খেত থেকে পাটগাছ কেটে দূরে কোথাও নিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে। এর ফলে অতিরিক্ত শ্রমিক খরচ লাগছে।
দত্তেরবাজার ইউনিয়নের পাটচাষি বক্কর মিয়া বলেন, ‘ভরা বর্ষায় বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতেই পাট নষ্ট হচ্ছে। পাটগাছের পাতা, কাণ্ড ও গোড়া মরতে শুরু করেছে। পাট কাটার সময় হলেও জাগ দেওয়ার সমস্যায় পাট কাটতে পারছি না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘চাষিরা পাট কেটে জাগ দিতে শুরু করেছেন। কোথাও কোথাও পাট পচানোর পানির অভাবে চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। আমরা চাষিদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছি (১০ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হয়)। এ পদ্ধতিতে পাট পচালে পাটের আঁশের মান ভালো থাকে। অনাবৃষ্টি হলেও পাটের উৎপাদন ব্যাহত হবে না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে