নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেসিয়াম ভাগাভাগি করে একসঙ্গে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের জিমন্যাস্টিকস ও কুস্তি দল। বিকেলের আলো কমতেই সেখানে শুরু লোডশেডিং।
লোডশেডিং চলার সময়েই গতকাল এক জিমন্যাস্ট বললেন, ‘লোডশেডিং হলে পাখা তো চলেই না, জেনারেটর চললেও বাতি জ্বলে অনেক পরে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে বার্মিংহামে যাচ্ছি।’
শুধু জিমন্যাস্টিকস কিংবা কুস্তি নয়, কমনওয়েলথ গেমসের প্রস্তুতি কেমন, দেখতে গিয়ে পাওয়া গেল অনেক অভিযোগ। আক্ষেপও কম নয়। বড় কোনো টুর্নামেন্টের আগে অনুশীলনের জায়গার সংকট, ভালো মানের কোচের অভাব নিয়ে বাংলাদেশি অ্যাথলেটদের অভিযোগ-আক্ষেপ সব সময় থাকেই। যতটা অনুশীলন করতে পেরেছেন, সেটা নিয়েও অবশ্য আশাবাদী কেউ কেউ। তাঁরা স্বপ্ন দেখছেন, পদক এলেও আসতে পারে।
প্রতিযোগিতার নাম কমনওয়েলথ বলেই যেকোনো একটি পদকের আশা একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যায় না। তবে বাংলাদেশের কোনো অ্যাথলেট সোনার পদক জিতবেন, সেই জোর আত্মবিশ্বাসটা পাওয়া যায়নি কারও কাছ থেকেই। বাংলাদেশের হয়ে কমনওয়েলথে সবচেয়ে সফল যে ডিসিপ্লিন, সেই শুটিংকেই নিরাপত্তার অজুহাতে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। একই কারণে বার্মিংহামে থাকছে না বাংলাদেশের আরেক ভরসার জায়গা আর্চারি। নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আজ রাতে ইংল্যান্ডে রওনা দেবেন ৫ ডিসিপ্লিনের অ্যাথলেটরা। অ্যাথলেটিকস দল রওনা হবে ২৯ জুলাই। কুস্তির খেলোয়াড়েরা যাবেন ১ আগস্ট।
কমনওয়েলথকে সামনে রেখে চার মাসের প্রস্তুতি নিয়েছেন ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। কোচ ছাড়া নিজের স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে খুব বেশি খুশি নন মাবিয়া, ‘শুনছি ভারোত্তোলন নিয়ে সবাই খুব আশাবাদী। কিন্তু চার মাসের প্রস্তুতিতে পদক জয় কি সম্ভব?’ প্রস্তুতি নিতে সাত মাসের সময় পেয়েছেন কুস্তির খেলোয়াড়েরা। তবে ভারত-নাইজেরিয়ার মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো করা নিয়ে সন্দিহান খোদ খেলোয়াড়েরাই। নারী কুস্তিগির দোলা খাতুন বললেন, ‘অন্য দেশের তুলনায় আমাদের সুযোগ-সুবিধা অনেক কম। আমাদের অনুশীলনের নিজস্ব জায়গা হলে ভালো হতো। এনএসসির জিমনেসিয়ামে অনুশীলনের সময় শব্দ হয়েছে, যেটা মনোযোগে সমস্যা করেছে।’ অনুশীলনে নিজেদের জায়গা আর ভালো মানের বিদেশি কোচ নিয়ে আক্ষেপ আছে টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দেরও। মালদ্বীপে সাউথ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী খেলোয়াড় রামহিম লিয়ান বম বললেন, ‘আমরা তিন মাস একেক জায়গায় প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করব বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো লড়াই উপহার দেওয়ার।’
বক্সিংয়ের ক্যাম্পে খাবারের মান নিয়ে আছে প্রশ্ন। খাবারের জন্য দৈনিক ৬০০ টাকা ভাতা বরাদ্দ থাকলেও বক্সারদের ৩০০ টাকার খাবারও দেওয়া হতো না বলেও অভিযোগ আছে। কমনওয়েলথের ক্যাম্পে থাকা দেশের প্রথম পেশাদার বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা বললেন, ‘বক্সারদের যে খাবার খেতে হয়, সে সব এখানে নেই। সাধারণত বক্সারদের পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে খাদ্যাভ্যাস তৈরি করতে হয়, এ দেশে সেসব হয় না। ক্যাম্পে মাছ-মাংস খাওয়া হয় ঠিক আছে। তবে ২০১৪, ২০১৮ ক্যাম্পের তুলনায় এবারের খাবারের পরিমাণ অনেক হালকা হয়ে গেছে।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেসিয়াম ভাগাভাগি করে একসঙ্গে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের জিমন্যাস্টিকস ও কুস্তি দল। বিকেলের আলো কমতেই সেখানে শুরু লোডশেডিং।
লোডশেডিং চলার সময়েই গতকাল এক জিমন্যাস্ট বললেন, ‘লোডশেডিং হলে পাখা তো চলেই না, জেনারেটর চললেও বাতি জ্বলে অনেক পরে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে বার্মিংহামে যাচ্ছি।’
শুধু জিমন্যাস্টিকস কিংবা কুস্তি নয়, কমনওয়েলথ গেমসের প্রস্তুতি কেমন, দেখতে গিয়ে পাওয়া গেল অনেক অভিযোগ। আক্ষেপও কম নয়। বড় কোনো টুর্নামেন্টের আগে অনুশীলনের জায়গার সংকট, ভালো মানের কোচের অভাব নিয়ে বাংলাদেশি অ্যাথলেটদের অভিযোগ-আক্ষেপ সব সময় থাকেই। যতটা অনুশীলন করতে পেরেছেন, সেটা নিয়েও অবশ্য আশাবাদী কেউ কেউ। তাঁরা স্বপ্ন দেখছেন, পদক এলেও আসতে পারে।
প্রতিযোগিতার নাম কমনওয়েলথ বলেই যেকোনো একটি পদকের আশা একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যায় না। তবে বাংলাদেশের কোনো অ্যাথলেট সোনার পদক জিতবেন, সেই জোর আত্মবিশ্বাসটা পাওয়া যায়নি কারও কাছ থেকেই। বাংলাদেশের হয়ে কমনওয়েলথে সবচেয়ে সফল যে ডিসিপ্লিন, সেই শুটিংকেই নিরাপত্তার অজুহাতে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। একই কারণে বার্মিংহামে থাকছে না বাংলাদেশের আরেক ভরসার জায়গা আর্চারি। নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আজ রাতে ইংল্যান্ডে রওনা দেবেন ৫ ডিসিপ্লিনের অ্যাথলেটরা। অ্যাথলেটিকস দল রওনা হবে ২৯ জুলাই। কুস্তির খেলোয়াড়েরা যাবেন ১ আগস্ট।
কমনওয়েলথকে সামনে রেখে চার মাসের প্রস্তুতি নিয়েছেন ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। কোচ ছাড়া নিজের স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে খুব বেশি খুশি নন মাবিয়া, ‘শুনছি ভারোত্তোলন নিয়ে সবাই খুব আশাবাদী। কিন্তু চার মাসের প্রস্তুতিতে পদক জয় কি সম্ভব?’ প্রস্তুতি নিতে সাত মাসের সময় পেয়েছেন কুস্তির খেলোয়াড়েরা। তবে ভারত-নাইজেরিয়ার মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো করা নিয়ে সন্দিহান খোদ খেলোয়াড়েরাই। নারী কুস্তিগির দোলা খাতুন বললেন, ‘অন্য দেশের তুলনায় আমাদের সুযোগ-সুবিধা অনেক কম। আমাদের অনুশীলনের নিজস্ব জায়গা হলে ভালো হতো। এনএসসির জিমনেসিয়ামে অনুশীলনের সময় শব্দ হয়েছে, যেটা মনোযোগে সমস্যা করেছে।’ অনুশীলনে নিজেদের জায়গা আর ভালো মানের বিদেশি কোচ নিয়ে আক্ষেপ আছে টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দেরও। মালদ্বীপে সাউথ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী খেলোয়াড় রামহিম লিয়ান বম বললেন, ‘আমরা তিন মাস একেক জায়গায় প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করব বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো লড়াই উপহার দেওয়ার।’
বক্সিংয়ের ক্যাম্পে খাবারের মান নিয়ে আছে প্রশ্ন। খাবারের জন্য দৈনিক ৬০০ টাকা ভাতা বরাদ্দ থাকলেও বক্সারদের ৩০০ টাকার খাবারও দেওয়া হতো না বলেও অভিযোগ আছে। কমনওয়েলথের ক্যাম্পে থাকা দেশের প্রথম পেশাদার বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা বললেন, ‘বক্সারদের যে খাবার খেতে হয়, সে সব এখানে নেই। সাধারণত বক্সারদের পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে খাদ্যাভ্যাস তৈরি করতে হয়, এ দেশে সেসব হয় না। ক্যাম্পে মাছ-মাংস খাওয়া হয় ঠিক আছে। তবে ২০১৪, ২০১৮ ক্যাম্পের তুলনায় এবারের খাবারের পরিমাণ অনেক হালকা হয়ে গেছে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে