রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে লবলঙ্গ নদ জবরদখল এবং ভরাট করে চলছে রাস্তার নির্মাণকাজ। ডেকো গার্মেন্টস নামের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে। রাতদিন চলছে রাস্তা নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। বড় বড় ডাম্প ট্রাকে বালু এনে ভরাট করা হচ্ছে লবলঙ্গ। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, জমি ক্রয় করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এদিকে নদের অধিকাংশ ভরাটের ফলে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাঁরা বলছেন, কৃষিকাজ ব্যাহত হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের অংশে লবলঙ্গ দখল করে চলছে রাস্তার নির্মাণকাজ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জবরদখল করে বালু ভরাটের কাজ করছে ডেকু গার্মেন্টস। গার্মেন্টসের নিরাপত্তাপ্রহরী রাস্তার নির্মাণকাজ তদারক করছেন। বালু ভরাট করে পুরো নদ ইতিমধ্যে দখলে নেওয়া হয়েছে। এর বেশির ভাগ অংশ ইতিমধ্যে ভরাট হয়ে গেছে। কিছু কিছু অংশে রয়েছে বালুর স্তূপ।
স্থানীয় বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘লবলঙ্গ ভরাট হয়ে গেলে কৃষিজমিতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে। জমিতে সব সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, লবলঙ্গকে রক্ষা করা হোক। না হলে লবলঙ্গপারের কৃষকদের না খেয়ে থাকতে হবে।’
সুমন সরকার নামের আরেক বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডেকো গার্মেন্টস শুধু লবলঙ্গ নয়, সাধারণ কৃষকদের জমি জবরদখল করে বালু ভরাট করেছে। কয়েক দিন ধরে লবলঙ্গ দখলের রাজত্ব চালাচ্ছে। দেখার কেউ নেই।’
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সফি কামাল বলেন, ‘শ্রীপুরের নদীগুলো যারা বেশি ভোগ করছে, তারাই আবার দখল করছে। লবলঙ্গ আজ যে অবস্থায় পড়েছে, তা আর বাঁচানো সম্ভব নয়।’
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘সরেজমিনে দেখলাম, লবলঙ্গ দখল করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব। লবলঙ্গ বাঁচানোর জন্য আমাদের আন্দোলন সব সময় ছিল, আছে, থাকবে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হোক।’
দখলের বিষয়ে ডেকো গার্মেন্টসের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) তাপস বলেন, ‘আমরা জমি কিনে রাস্তা নির্মাণ করছি। আমরা লবলঙ্গ জবরদখল করিনি।’ নদের জমি কার কাছ থেকে কিনেছেন, নদ থেকে সরকারি হিসাবে ১০ মিটার দূরে স্থাপনা নির্মাণের আইন রয়েছে, তাহলে কি জবরদখল করেননি? এমন প্রশ্নে তিনি সরাসরি কথা বলতে অনুরোধ করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেব। দখলকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করব।’
ইউএনও সজিব আহমেদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিষয়টি জেনেছি। লবলঙ্গ জবরদখল করে রাস্তা নির্মাণ কীভাবে সম্ভব? দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে লবলঙ্গ নদ ভরাট করে চলছে রাস্তার নির্মাণকাজ। এ জন্য রাতদিন চলছে নদ দখলের কর্মযজ্ঞ। এর অধিকাংশ ভরাটের ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এবং কৃষি উৎপাদন বন্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার দুখলা এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাজীপুরের শ্রীপুরে লবলঙ্গ নদ জবরদখল এবং ভরাট করে চলছে রাস্তার নির্মাণকাজ। ডেকো গার্মেন্টস নামের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে। রাতদিন চলছে রাস্তা নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। বড় বড় ডাম্প ট্রাকে বালু এনে ভরাট করা হচ্ছে লবলঙ্গ। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, জমি ক্রয় করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এদিকে নদের অধিকাংশ ভরাটের ফলে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাঁরা বলছেন, কৃষিকাজ ব্যাহত হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের অংশে লবলঙ্গ দখল করে চলছে রাস্তার নির্মাণকাজ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জবরদখল করে বালু ভরাটের কাজ করছে ডেকু গার্মেন্টস। গার্মেন্টসের নিরাপত্তাপ্রহরী রাস্তার নির্মাণকাজ তদারক করছেন। বালু ভরাট করে পুরো নদ ইতিমধ্যে দখলে নেওয়া হয়েছে। এর বেশির ভাগ অংশ ইতিমধ্যে ভরাট হয়ে গেছে। কিছু কিছু অংশে রয়েছে বালুর স্তূপ।
স্থানীয় বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘লবলঙ্গ ভরাট হয়ে গেলে কৃষিজমিতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে। জমিতে সব সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, লবলঙ্গকে রক্ষা করা হোক। না হলে লবলঙ্গপারের কৃষকদের না খেয়ে থাকতে হবে।’
সুমন সরকার নামের আরেক বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডেকো গার্মেন্টস শুধু লবলঙ্গ নয়, সাধারণ কৃষকদের জমি জবরদখল করে বালু ভরাট করেছে। কয়েক দিন ধরে লবলঙ্গ দখলের রাজত্ব চালাচ্ছে। দেখার কেউ নেই।’
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সফি কামাল বলেন, ‘শ্রীপুরের নদীগুলো যারা বেশি ভোগ করছে, তারাই আবার দখল করছে। লবলঙ্গ আজ যে অবস্থায় পড়েছে, তা আর বাঁচানো সম্ভব নয়।’
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘সরেজমিনে দেখলাম, লবলঙ্গ দখল করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব। লবলঙ্গ বাঁচানোর জন্য আমাদের আন্দোলন সব সময় ছিল, আছে, থাকবে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হোক।’
দখলের বিষয়ে ডেকো গার্মেন্টসের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) তাপস বলেন, ‘আমরা জমি কিনে রাস্তা নির্মাণ করছি। আমরা লবলঙ্গ জবরদখল করিনি।’ নদের জমি কার কাছ থেকে কিনেছেন, নদ থেকে সরকারি হিসাবে ১০ মিটার দূরে স্থাপনা নির্মাণের আইন রয়েছে, তাহলে কি জবরদখল করেননি? এমন প্রশ্নে তিনি সরাসরি কথা বলতে অনুরোধ করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেব। দখলকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করব।’
ইউএনও সজিব আহমেদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিষয়টি জেনেছি। লবলঙ্গ জবরদখল করে রাস্তা নির্মাণ কীভাবে সম্ভব? দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে লবলঙ্গ নদ ভরাট করে চলছে রাস্তার নির্মাণকাজ। এ জন্য রাতদিন চলছে নদ দখলের কর্মযজ্ঞ। এর অধিকাংশ ভরাটের ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এবং কৃষি উৎপাদন বন্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার দুখলা এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে