রাহুল শর্মা, ঢাকা
শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের দাবির মুখে নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন-পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সামষ্টিক মূল্যায়নে যুক্ত করা হচ্ছে ‘লিখিত পরীক্ষা’। এতে একটি নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা। তবে এই পরীক্ষা বর্তমানে প্রচলিত প্রথাগত পরীক্ষার মতো হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, সামষ্টিক মূল্যায়নে লিখিত পরীক্ষা যুক্ত করার পাশাপাশি ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপের মাধ্যমে তৈরি রিপোর্ট কার্ডের ভাষা ও মাঠপর্যায়ে পাঠানো নির্দেশনাগুলো আরও সহজ করা হবে, যাতে তা সবার কাছে বোধগম্য হয়।
নতুন শিক্ষাক্রম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমে বর্তমানে দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হয়। এর একটি বছরজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়ন, অন্যটি বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়ন। শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী, প্রাক্-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। এ তিন শ্রেণিতে হবে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে। দশম শ্রেণি শেষে ওই শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপর পাবলিক পরীক্ষা হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপর প্রতিটি বর্ষ শেষে একটি করে পরীক্ষা হবে। এসব পরীক্ষার ফলের সমন্বয়ে চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমের এই মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে অভিভাবক-শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট দিনে কোনো লিখিত পরীক্ষা না থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে না।
এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক বলেন, মূল্যায়নে ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিল করা উচিত। একই সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট দিনে নম্বরভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তাঁদের। যাতে পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হয়।
শিক্ষাবিদ-অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ, অসন্তোষ এবং লিখিত পরীক্ষা যুক্ত করার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নপদ্ধতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন মহিবুল হাসান চৌধুরী। গত ১৪ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাবর্ষ মাত্র শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজগুলোও শুরু হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে যদি কোনো সমস্যা মনে হয়, তাহলে পরিবর্তন অবশ্যই আসবে।’
জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এনসিটিবি এবং শিক্ষা কারিকুলামের সঙ্গে যুক্ত কর্তৃপক্ষ ও ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি মূল্যায়নপদ্ধতির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জন-অসন্তোষ নিরসনে তা যাচাই-বাছাইয়ের পরামর্শ দেন। এরপরই ৪ ফেব্রুয়ারি মূল্যায়নপদ্ধতি ও কারিকুলাম নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে। আর কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন এনসিটিবি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিরা।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে মূল্যায়নপদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। একাধিকবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। আর গতকাল শনিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রধানদের সঙ্গে এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আরেকটি বৈঠক হয়েছে। একই সঙ্গে মাঠপর্যায়ের তথ্যও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, যা চূড়ান্ত করে আগামী জুনে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার আগে মাঠপর্যায়ে পাঠানো হবে।
বৈঠকের বিষয়ে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈঠকে মূল্যায়নপদ্ধতি নিয়ে এনসিটিবি একটি উপস্থাপনা দিয়েছে। এতে বিভিন্ন ধরনের মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে লিখিত অংশ আছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আরও বৈঠক হবে। এরপর মূল্যায়নপদ্ধতি চূড়ান্ত হবে।
মূল্যায়নপদ্ধতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান ২৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল্যায়নপদ্ধতি নিয়ে অনেকের উদ্বেগ আছে। এ জন্য আমরা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। মূল্যায়নের চূড়ান্ত দিনে শিক্ষার্থী যেন পরীক্ষাকেন্দ্রে বসে কিছু করে, সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে, যা ভবিষ্যতে এভিডেন্স হিসেবে থাকবে। এটা কোনো কিছু তৈরি করা হতে পারে অথবা লিখিত পরীক্ষাও হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা প্রতিটি বিষয়েই করা হবে। এতে কোনো নম্বর থাকবে না। তবে এর ওয়েটেস থাকবে। অর্থাৎ কত শতাংশ ওয়েটেস এটা ক্যারি করবে তা নির্ধারণ হবে। তবে আগের পরীক্ষার মতো কোনো পরীক্ষা হবে না।’
মূল্যায়নপদ্ধতি পরিবর্তনে উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবীর। তিনি বলেন, এ উদ্যোগটি ভালো। পরীক্ষা একসঙ্গে বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি আমাদের এখনো হয়নি। পরীক্ষা না থাকলে গ্রামপর্যায়ে ঝরে পড়ার সংখ্যা বাড়বে। তাই কোনো না কোনো উপায়ে পরীক্ষা রাখা প্রয়োজন।
শেখ ইকরামুল কবীর আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের অংশীজনদের অর্থাৎ শিক্ষক-অভিভাবকদের বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। শিক্ষকদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দিতে হবে। একই সঙ্গে এর অভিভাবকদেরও সচেতন করতে হবে।
উল্লেখ্য, নতুন শিক্ষাক্রমের চাহিদা নিরূপণ ও বিশ্লেষণের কাজটি শুরু হয় ২০১৭ সালে। এরপর একাধিক গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে ২০২১ সালে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ তৈরি করা হয়। এরপর গত বছর থেকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন শুরু হয় নতুন শিক্ষাক্রম।
শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের দাবির মুখে নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন-পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সামষ্টিক মূল্যায়নে যুক্ত করা হচ্ছে ‘লিখিত পরীক্ষা’। এতে একটি নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা। তবে এই পরীক্ষা বর্তমানে প্রচলিত প্রথাগত পরীক্ষার মতো হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, সামষ্টিক মূল্যায়নে লিখিত পরীক্ষা যুক্ত করার পাশাপাশি ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপের মাধ্যমে তৈরি রিপোর্ট কার্ডের ভাষা ও মাঠপর্যায়ে পাঠানো নির্দেশনাগুলো আরও সহজ করা হবে, যাতে তা সবার কাছে বোধগম্য হয়।
নতুন শিক্ষাক্রম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমে বর্তমানে দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হয়। এর একটি বছরজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়ন, অন্যটি বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়ন। শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী, প্রাক্-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। এ তিন শ্রেণিতে হবে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে। দশম শ্রেণি শেষে ওই শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপর পাবলিক পরীক্ষা হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপর প্রতিটি বর্ষ শেষে একটি করে পরীক্ষা হবে। এসব পরীক্ষার ফলের সমন্বয়ে চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমের এই মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে অভিভাবক-শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট দিনে কোনো লিখিত পরীক্ষা না থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে না।
এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক বলেন, মূল্যায়নে ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিল করা উচিত। একই সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট দিনে নম্বরভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তাঁদের। যাতে পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হয়।
শিক্ষাবিদ-অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ, অসন্তোষ এবং লিখিত পরীক্ষা যুক্ত করার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নপদ্ধতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন মহিবুল হাসান চৌধুরী। গত ১৪ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাবর্ষ মাত্র শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজগুলোও শুরু হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে যদি কোনো সমস্যা মনে হয়, তাহলে পরিবর্তন অবশ্যই আসবে।’
জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এনসিটিবি এবং শিক্ষা কারিকুলামের সঙ্গে যুক্ত কর্তৃপক্ষ ও ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি মূল্যায়নপদ্ধতির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জন-অসন্তোষ নিরসনে তা যাচাই-বাছাইয়ের পরামর্শ দেন। এরপরই ৪ ফেব্রুয়ারি মূল্যায়নপদ্ধতি ও কারিকুলাম নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে। আর কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন এনসিটিবি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিরা।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে মূল্যায়নপদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। একাধিকবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। আর গতকাল শনিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রধানদের সঙ্গে এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আরেকটি বৈঠক হয়েছে। একই সঙ্গে মাঠপর্যায়ের তথ্যও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, যা চূড়ান্ত করে আগামী জুনে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার আগে মাঠপর্যায়ে পাঠানো হবে।
বৈঠকের বিষয়ে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈঠকে মূল্যায়নপদ্ধতি নিয়ে এনসিটিবি একটি উপস্থাপনা দিয়েছে। এতে বিভিন্ন ধরনের মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে লিখিত অংশ আছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আরও বৈঠক হবে। এরপর মূল্যায়নপদ্ধতি চূড়ান্ত হবে।
মূল্যায়নপদ্ধতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান ২৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল্যায়নপদ্ধতি নিয়ে অনেকের উদ্বেগ আছে। এ জন্য আমরা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। মূল্যায়নের চূড়ান্ত দিনে শিক্ষার্থী যেন পরীক্ষাকেন্দ্রে বসে কিছু করে, সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে, যা ভবিষ্যতে এভিডেন্স হিসেবে থাকবে। এটা কোনো কিছু তৈরি করা হতে পারে অথবা লিখিত পরীক্ষাও হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা প্রতিটি বিষয়েই করা হবে। এতে কোনো নম্বর থাকবে না। তবে এর ওয়েটেস থাকবে। অর্থাৎ কত শতাংশ ওয়েটেস এটা ক্যারি করবে তা নির্ধারণ হবে। তবে আগের পরীক্ষার মতো কোনো পরীক্ষা হবে না।’
মূল্যায়নপদ্ধতি পরিবর্তনে উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবীর। তিনি বলেন, এ উদ্যোগটি ভালো। পরীক্ষা একসঙ্গে বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি আমাদের এখনো হয়নি। পরীক্ষা না থাকলে গ্রামপর্যায়ে ঝরে পড়ার সংখ্যা বাড়বে। তাই কোনো না কোনো উপায়ে পরীক্ষা রাখা প্রয়োজন।
শেখ ইকরামুল কবীর আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের অংশীজনদের অর্থাৎ শিক্ষক-অভিভাবকদের বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। শিক্ষকদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দিতে হবে। একই সঙ্গে এর অভিভাবকদেরও সচেতন করতে হবে।
উল্লেখ্য, নতুন শিক্ষাক্রমের চাহিদা নিরূপণ ও বিশ্লেষণের কাজটি শুরু হয় ২০১৭ সালে। এরপর একাধিক গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে ২০২১ সালে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ তৈরি করা হয়। এরপর গত বছর থেকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন শুরু হয় নতুন শিক্ষাক্রম।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে