রিক্তা রিচি, ঢাকা
আভের কাকৈ দিয়া পাইট কইল সিথি।
নাসিকা উপরে দিলা রত্ন গজমতি।।
তোড়ল-মল পরিলা নূপুর চরণে।
সংসার মুহিত করে বেউলার সাজনে।।
অভ্রের চিরুনি দিয়ে চুল আচড়িয়ে নাকে গজমতির নোলক আর পায়ে মল পরে বেহুলা তার বিয়েতে যে সাজসজ্জা করেছিল, তা দেখে জগৎসংসার মোহিত হয়ে গিয়েছিল। প্রায় সোয়া পাঁচ শ বছর আগে কবি নারায়ণ দেব তাঁর ‘পদ্মাপুরাণ’ কাব্যে বেহুলার বিয়ের সাজসজ্জার এই বর্ণনা দিয়ে গেছেন। বিয়ের সাজসজ্জার ক্ষেত্রে এই একুশ শতকে এসেও তেমন কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না।
তবে হ্যাঁ, সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে ঢেউয়ের মতো বদলেছে ট্রেন্ড। দিনে দিনে কনের সাজে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। বিষয়টা সেই একই, কনের সাজসজ্জা দেখে যেন জগৎসংসার বিমোহিত হয়ে যায়।
তবে করোনাকালে বিয়ের সাজেও এসেছে পরিবর্তন। অনেকটা মিনিমালিস্টিক, অর্থাৎ ‘যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকু সাজ’ ঘরানার হয়ে গেছে বিয়ের সাজ। এ ধারার মেকআপে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ন্যাচারাল মেকআপ; অর্থাৎ বেজের মেকআপ এমন হবে যা দেখে মনে হবে খুব চাকচিক্য নেই।
রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘করোনাকালে পারলার বা স্যালনগুলো বন্ধ ছিল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া গেছে কনেরা নিজেরাই নিজেদের গেটআপ নিতে পছন্দ করেছেন। এ অবস্থা চলেছে ২০২১-এর প্রথম কয়েক মাস।’
শারমিন কচি জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে এখনো খুব ভারী মেকআপ চলছে না। তিনি বলেন, ‘আগে খুব বেশি পাউডার কেক বা প্যানকেক ব্যবহার করা হতো। এখন ফাউন্ডেশন দিয়েই চলছে। একটু হাইলাইট বা কনট্যুরের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এখন মেকআপ শুরু করছি প্রাইমার দিয়ে। দেড় বছর ধরে আমরা প্রাইমার ছাড়া চলতে পারছি না। তারপর মেকআপের বেজগুলো লাইট ডিপ করছি। স্কিনটোনের সঙ্গে মিল রেখেই মেকআপ করা হচ্ছে।’
এখন মেকআপের উপকরণে বৈচিত্র্য বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতেও এসেছে পরিবর্তন। আগে গায়ের রং ছাপিয়ে কনেকে ফরসা বানানোর একটা নীরব প্রচলন ছিল। ত্বকের রংকে এখন এক-দুই শেড উজ্জ্বল করা হচ্ছে মাত্র। আবার অনেক ক্ষেত্রে ত্বকের প্রাকৃতিক রংই রাখা হচ্ছে। গালে গোলাপি বা লাল আভা আনার জায়গাটা একটু বাড়ানো হচ্ছে। এখন আর আগের মতো বিয়ের মেকআপে ফেসে কনট্যুরিং করা হয় না। কালার কারেক্টরের ব্যবহার এখন হচ্ছে না। ফুল কাভারেজের ফাউন্ডেশন দিয়ে কাজগুলো হয়ে যাচ্ছে।
চোখের সাজ
কনের চোখের মেকআপের ক্ষেত্রে গ্লিটারিং ও হাইলাইটিং শেডের ব্যবহার হচ্ছে। একটু হাইলাইট, ন্যাচারাল টোন রেখে চোখ হালকা বা গাঢ় রঙে সাজানো হচ্ছে। চোখের মেকআপের ক্ষেত্রে আগে ভ্রু খুব গুরুত্ব দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হতো না। এখন মেকআপে ভ্রুকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখন স্মোকি আই করা হচ্ছে। চোখ বড় করে দেখানোর একটা প্রবণতাও শুরু হয়েছে। ফলস লেন্স, ফলস পাপড়ি, মাসকারা এসবের ব্যবহার হচ্ছে ব্যাপকভাবে। আগের তুলনায় এখনকার কনেরা লেন্সের প্রতি বেশি ঝুঁকছেন। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মেয়ে এখন চোখে লেন্স ব্যবহার করছেন।
যেহেতু বিয়েতে ছবি তোলা বা ভিডিও করার বিষয় থাকে, তাই ব্লাসন এরিয়া বেশ হাইলাইট করতে হয়। কারণ ইভেন্টের লোকেরা কনের বসার জায়গায় বিশেষ কিছু লাইট ব্যবহার করেন। সে সবের ওপর নির্ভর করে কনের সাজকেও বেশ আকর্ষণীয় হতে হয়। হাইলাইট টোন ব্যবহার করতে হয়।
আগে ব্লাসন এরিয়ায় লাইট পিংক ও গোল্ডেন দুটি কালার বেশি চোখে পড়ত। এখন লাইট পিংকের সঙ্গে ব্রোঞ্জের ব্যবহার লক্ষ করা যাচ্ছে।
ঠোঁটের সাজ
পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে লিপস্টিক ব্যবহার করার প্রবণতা ছিল একসময়। এখন তা হচ্ছে না। লাল রঙের শাড়ির সঙ্গে হালকা গোলাপি রঙের লিপস্টিককে ডবল টোন করে ন্যুড কালার দেওয়া হয় এখন।
চুলের সাজ
বিয়েতে আগের মতোই ফলস খোঁপা থাকছে। খোঁপায় বড় গোলাপ পরার প্রচলনও থাকছে। রিসেপশনের অনুষ্ঠানে লেহেঙ্গা ও গাউনের সঙ্গে মিলিয়ে সাইড খোঁপার প্রচলন বেড়েছে। চুল হালকা কার্ল করতেও দেখা যায়।
হাতের সাজ
হাতের সাজেও খুব বেশি ও ভারী আলপনা দেখা যাচ্ছে না এখন। কনেদের হাতে এখন খুব সাধারণ আলপনা করা হয়।
পোশাক
ভারতীয় ও পাকিস্তানি পোশাক, যেমন শাড়ি, লেহেঙ্গা, গাউন এসবের প্রচলনই বেশি। এখনকার বিয়েতে ঐতিহ্যবাহী লাল বেনারসি ছাড়াও পরা হয় সাদা ও অফ হোয়াইট রঙের জামদানি, লেহেঙ্গা, গাউন ইত্যাদি।
গয়না
আগে যেমন সোনার গয়না কিংবা সোনালি ধাঁচের গয়না বেশি প্রাধান্য দেওয়া হতো, এখন প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে জয়পুরি, মিনাকারি, সিলভার, অ্যান্টিকের গয়নায়। তবে ভারী গয়নাই বেছে নিচ্ছেন কনেরা। বাহারি রং ও নকশার কারণে এসব গয়নার চাহিদা বেশি। আবার ‘বাজেট ফ্রেন্ডলি’ করেও পছন্দমতো বানিয়ে নেওয়া যায় এসব গয়না।
আভের কাকৈ দিয়া পাইট কইল সিথি।
নাসিকা উপরে দিলা রত্ন গজমতি।।
তোড়ল-মল পরিলা নূপুর চরণে।
সংসার মুহিত করে বেউলার সাজনে।।
অভ্রের চিরুনি দিয়ে চুল আচড়িয়ে নাকে গজমতির নোলক আর পায়ে মল পরে বেহুলা তার বিয়েতে যে সাজসজ্জা করেছিল, তা দেখে জগৎসংসার মোহিত হয়ে গিয়েছিল। প্রায় সোয়া পাঁচ শ বছর আগে কবি নারায়ণ দেব তাঁর ‘পদ্মাপুরাণ’ কাব্যে বেহুলার বিয়ের সাজসজ্জার এই বর্ণনা দিয়ে গেছেন। বিয়ের সাজসজ্জার ক্ষেত্রে এই একুশ শতকে এসেও তেমন কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না।
তবে হ্যাঁ, সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে ঢেউয়ের মতো বদলেছে ট্রেন্ড। দিনে দিনে কনের সাজে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। বিষয়টা সেই একই, কনের সাজসজ্জা দেখে যেন জগৎসংসার বিমোহিত হয়ে যায়।
তবে করোনাকালে বিয়ের সাজেও এসেছে পরিবর্তন। অনেকটা মিনিমালিস্টিক, অর্থাৎ ‘যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকু সাজ’ ঘরানার হয়ে গেছে বিয়ের সাজ। এ ধারার মেকআপে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ন্যাচারাল মেকআপ; অর্থাৎ বেজের মেকআপ এমন হবে যা দেখে মনে হবে খুব চাকচিক্য নেই।
রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘করোনাকালে পারলার বা স্যালনগুলো বন্ধ ছিল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া গেছে কনেরা নিজেরাই নিজেদের গেটআপ নিতে পছন্দ করেছেন। এ অবস্থা চলেছে ২০২১-এর প্রথম কয়েক মাস।’
শারমিন কচি জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে এখনো খুব ভারী মেকআপ চলছে না। তিনি বলেন, ‘আগে খুব বেশি পাউডার কেক বা প্যানকেক ব্যবহার করা হতো। এখন ফাউন্ডেশন দিয়েই চলছে। একটু হাইলাইট বা কনট্যুরের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এখন মেকআপ শুরু করছি প্রাইমার দিয়ে। দেড় বছর ধরে আমরা প্রাইমার ছাড়া চলতে পারছি না। তারপর মেকআপের বেজগুলো লাইট ডিপ করছি। স্কিনটোনের সঙ্গে মিল রেখেই মেকআপ করা হচ্ছে।’
এখন মেকআপের উপকরণে বৈচিত্র্য বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতেও এসেছে পরিবর্তন। আগে গায়ের রং ছাপিয়ে কনেকে ফরসা বানানোর একটা নীরব প্রচলন ছিল। ত্বকের রংকে এখন এক-দুই শেড উজ্জ্বল করা হচ্ছে মাত্র। আবার অনেক ক্ষেত্রে ত্বকের প্রাকৃতিক রংই রাখা হচ্ছে। গালে গোলাপি বা লাল আভা আনার জায়গাটা একটু বাড়ানো হচ্ছে। এখন আর আগের মতো বিয়ের মেকআপে ফেসে কনট্যুরিং করা হয় না। কালার কারেক্টরের ব্যবহার এখন হচ্ছে না। ফুল কাভারেজের ফাউন্ডেশন দিয়ে কাজগুলো হয়ে যাচ্ছে।
চোখের সাজ
কনের চোখের মেকআপের ক্ষেত্রে গ্লিটারিং ও হাইলাইটিং শেডের ব্যবহার হচ্ছে। একটু হাইলাইট, ন্যাচারাল টোন রেখে চোখ হালকা বা গাঢ় রঙে সাজানো হচ্ছে। চোখের মেকআপের ক্ষেত্রে আগে ভ্রু খুব গুরুত্ব দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হতো না। এখন মেকআপে ভ্রুকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখন স্মোকি আই করা হচ্ছে। চোখ বড় করে দেখানোর একটা প্রবণতাও শুরু হয়েছে। ফলস লেন্স, ফলস পাপড়ি, মাসকারা এসবের ব্যবহার হচ্ছে ব্যাপকভাবে। আগের তুলনায় এখনকার কনেরা লেন্সের প্রতি বেশি ঝুঁকছেন। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মেয়ে এখন চোখে লেন্স ব্যবহার করছেন।
যেহেতু বিয়েতে ছবি তোলা বা ভিডিও করার বিষয় থাকে, তাই ব্লাসন এরিয়া বেশ হাইলাইট করতে হয়। কারণ ইভেন্টের লোকেরা কনের বসার জায়গায় বিশেষ কিছু লাইট ব্যবহার করেন। সে সবের ওপর নির্ভর করে কনের সাজকেও বেশ আকর্ষণীয় হতে হয়। হাইলাইট টোন ব্যবহার করতে হয়।
আগে ব্লাসন এরিয়ায় লাইট পিংক ও গোল্ডেন দুটি কালার বেশি চোখে পড়ত। এখন লাইট পিংকের সঙ্গে ব্রোঞ্জের ব্যবহার লক্ষ করা যাচ্ছে।
ঠোঁটের সাজ
পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে লিপস্টিক ব্যবহার করার প্রবণতা ছিল একসময়। এখন তা হচ্ছে না। লাল রঙের শাড়ির সঙ্গে হালকা গোলাপি রঙের লিপস্টিককে ডবল টোন করে ন্যুড কালার দেওয়া হয় এখন।
চুলের সাজ
বিয়েতে আগের মতোই ফলস খোঁপা থাকছে। খোঁপায় বড় গোলাপ পরার প্রচলনও থাকছে। রিসেপশনের অনুষ্ঠানে লেহেঙ্গা ও গাউনের সঙ্গে মিলিয়ে সাইড খোঁপার প্রচলন বেড়েছে। চুল হালকা কার্ল করতেও দেখা যায়।
হাতের সাজ
হাতের সাজেও খুব বেশি ও ভারী আলপনা দেখা যাচ্ছে না এখন। কনেদের হাতে এখন খুব সাধারণ আলপনা করা হয়।
পোশাক
ভারতীয় ও পাকিস্তানি পোশাক, যেমন শাড়ি, লেহেঙ্গা, গাউন এসবের প্রচলনই বেশি। এখনকার বিয়েতে ঐতিহ্যবাহী লাল বেনারসি ছাড়াও পরা হয় সাদা ও অফ হোয়াইট রঙের জামদানি, লেহেঙ্গা, গাউন ইত্যাদি।
গয়না
আগে যেমন সোনার গয়না কিংবা সোনালি ধাঁচের গয়না বেশি প্রাধান্য দেওয়া হতো, এখন প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে জয়পুরি, মিনাকারি, সিলভার, অ্যান্টিকের গয়নায়। তবে ভারী গয়নাই বেছে নিচ্ছেন কনেরা। বাহারি রং ও নকশার কারণে এসব গয়নার চাহিদা বেশি। আবার ‘বাজেট ফ্রেন্ডলি’ করেও পছন্দমতো বানিয়ে নেওয়া যায় এসব গয়না।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে