নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ওকালতি করে মাসে রোজগার হচ্ছিল শ দুয়েক টাকা। সেই টাকায় নিজের একটা বাড়ি করার সাধ জাগল কান্তকবি রজনীকান্ত সেনের। সাড়ে ২৭ শতক জমি পত্তন নিলেন। সেখানে টিন দিয়ে বানালেন একটি বাড়ি। ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে উঠলেন কবি। পরে ইট কিনে সেখানেই করলেন পাকা বাড়ি। নাম দিলেন ‘আনন্দ নিকেতন’।
ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে ওঠার প্রশান্তি প্রকাশ করতে কবি লিখেছিলেন, ‘বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই/ কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই...।’
কিন্তু কবির সাধের সেই বাড়ি এখন বড়ই অনাদরে। বাড়ির অনেক কিছুই এখন আর আগের মতো নেই। বাড়ির সামনে নেই পঞ্চকবির একজন রজনীকান্ত সেনের নামফলকটি পর্যন্ত।
রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্র জিরো পয়েন্টে সাহেব বাজার বড় মসজিদ। এখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কবি, গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক রজনীকান্ত সেনের বাড়ি।
কবির মৃত্যুর পর ১৯২৮ সালে এ বাড়িতে এসেছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাড়ি ছুঁয়ে রজনীকান্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রাচীন যুগের স্বদেশী গানের স্রষ্টা, গীতিকার, সুরকার, আজো আপনি গানের মাঝে অমর হয়ে আছেন, আপনাকে নমস্কার।’
সিরাজগঞ্জের ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামে ১৮৬৫ সালের ২৬ জুলাই রজনীকান্তের জন্ম। পূর্বপুরুষেরা থাকতেন রাজশাহীতে। সেই সূত্রে রাজশাহী এসে এখানেই শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষা। তিনি রাজশাহীর বোয়ালিয়া জিলা স্কুলে (এখনকার রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল) ভর্তি হন। এরপর কোচবিহার জেনকিন্স স্কুল থেকে ১৮৮২ সালে এন্ট্রান্স (মাধ্যমিক) পাস করেন। পরে রাজশাহী কলেজ থেকে ১৮৮৫ সালে এফএ (ফার্স্ট আর্টস বা উচ্চমাধ্যমিক) পাস করেন। পরে কলকাতা সিটি কলেজ থেকে ১৮৮৯ সালে বিএ এবং ১৮৯১ সালে বিএল পাস করে এসে রাজশাহী আদালতে ওকালতি শুরু করেন।
আইন পেশায় যুক্ত হলেও রজনীকান্তের মন পড়ে ছিল সাহিত্য সাধনায়। বাংলা গীতিকবিতার এই প্রবাদপুরুষ কবিতার পাশাপাশি রচনা করেছেন ‘তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’র মতো কালজয়ী অসংখ্য গান। তাঁর ব্রিটিশ শাসনবিরোধী স্বদেশি অনেক গান এখনো জনপ্রিয়।
সাহিত্যচর্চা শুরুর খুব অল্পদিনের মধ্যেই রজনীকান্ত সেনের নাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ১৯০৯ সালে কবির গলায় হঠাৎ একটা ঘা দেখা দেয়। তাই নিয়েও গান চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দিন দিন গলার অবস্থা খারাপই হলো। ওই বছরই চিকিৎসার জন্য সপরিবার কলকাতায় যান কবি। আর রাজশাহী ফিরে আসা হয়নি। ১৯১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত কবি কলকাতায় মারা যান।
কবির মৃত্যুর পর ফাঁকা পড়ে থাকে ‘আনন্দ নিকেতন’। ১৯৪৭ সালের পরে বাড়িসমেত ভিটাটি রাষ্ট্রের অধীনে চলে যায়। স্বাধীনতার পর ১৯৮০ সালে জেলা প্রশাসন বাড়িটি সোনালী ব্যাংককে বরাদ্দ দেয়। এখন বাড়িটি সোনালী ব্যাংকের রাজশাহী করপোরেট শাখার পাসপোর্ট বুথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কয়েক দফা বাড়িটির সংস্কার করেছে। এতে বাড়িটি তার আগের রূপ হারিয়েছে। পুরোনো বাড়ির ঘরগুলো ছাড়া কিছুই নেই এখন।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়িটিতে পুরোনো চওড়া দেয়ালের পাঁচটি ঘর। সামনে একটি বারান্দা। মূল বাড়িতে ঢোকার জন্য বারান্দার সঙ্গে দুটি দরজা। বাড়ির ভেতরে ছোট-বড় পাঁচটি ঘর। কাগজপত্র রাখা দুটি ঘর তালাবদ্ধ। একটি ঘর ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক কাজে। এক ঘরে থাকেন আনসার সদস্যরা, অন্যটি ব্যবহৃত হয় রান্নাবান্নায়। বাড়ির পেছনে উঁচু ঢিবি। শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলতে ফেলতে এই ঢিবি হয়েছে। ঝোপঝাড়ের জঙ্গলে ময়লা-আবর্জনা ঢেকে গেছে। কোথাও ‘আনন্দ নিকেতন’ কিংবা কবির স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে তাঁর নামফলক চোখে পড়েনি।
হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘ছোট্ট জীবনের বড় অংশই রাজশাহীতে কাটিয়েছেন কান্তকবি। কিন্তু তাঁর স্মৃতি রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি; বরং তাঁর যে স্মৃতি, তা ধ্বংস করা হচ্ছে। কবির বাড়িতে আগে ছাদ ছিল, ছাদের ওপরে গম্বুজের মতো পিলার ছিল। সেসব সরিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওপরে টিন দিয়েছে। জানালাগুলো বদলে ফেলা হয়েছে। সংরক্ষণ না করে এসব সংস্কার করা একেবারেই উচিত হয়নি।’
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের রাজশাহী করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক কাজী মেহেদী হাসান বলেন, তিনি এখানে যোগ দেওয়ার আগেই বাড়িটির সংস্কারের কাজগুলো হয়েছে। তিনি শুনেছেন, বাড়ির ছাদ চুইয়ে পানি পড়ত। তাই সংস্কার করা হয়। দাবিদার না থাকায় বাড়িটি সরকারের ‘ক’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তিতে পরিণত হয়। পরে জেলা প্রশাসন ১৯৮০ সালের ২২ এপ্রিল সোনালী ব্যাংককে বরাদ্দ দিয়েছে।
রাজশাহীর সাহিত্য সংগঠন কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন ও অতুলপ্রসাদ সেন শুধু কবি নন; তাঁরা গীতিকার, সুরকার ও গায়কও ছিলেন। তাঁদের বলা হয় পঞ্চকবি। এই পঞ্চকবির একজন রজনীকান্ত সেন। এটা চাট্টিখানি কথা নয়। তাঁর বাড়িটি সংরক্ষণ করে রজনীকান্ত সংগ্রহশালা করা উচিত। এটা আমরা অসংখ্যবার বলেছি। কিন্তু বাড়িটা সবার চেনার জন্য একটা নামফলক পর্যন্ত হয়নি। এটার জন্য আমরা ব্যথিত। বাড়িটাকে এখনো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য দাবি জানাই।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, রজনীকান্ত সেনের বাড়িসম্পর্কিত সব কাগজপত্র বের করে তিনি দেখবেন। সেটি কী অবস্থায় আছে, তা-ও দেখবেন। তারপর এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার থাকলে নেবেন।
ওকালতি করে মাসে রোজগার হচ্ছিল শ দুয়েক টাকা। সেই টাকায় নিজের একটা বাড়ি করার সাধ জাগল কান্তকবি রজনীকান্ত সেনের। সাড়ে ২৭ শতক জমি পত্তন নিলেন। সেখানে টিন দিয়ে বানালেন একটি বাড়ি। ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে উঠলেন কবি। পরে ইট কিনে সেখানেই করলেন পাকা বাড়ি। নাম দিলেন ‘আনন্দ নিকেতন’।
ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে ওঠার প্রশান্তি প্রকাশ করতে কবি লিখেছিলেন, ‘বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই/ কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই...।’
কিন্তু কবির সাধের সেই বাড়ি এখন বড়ই অনাদরে। বাড়ির অনেক কিছুই এখন আর আগের মতো নেই। বাড়ির সামনে নেই পঞ্চকবির একজন রজনীকান্ত সেনের নামফলকটি পর্যন্ত।
রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্র জিরো পয়েন্টে সাহেব বাজার বড় মসজিদ। এখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কবি, গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক রজনীকান্ত সেনের বাড়ি।
কবির মৃত্যুর পর ১৯২৮ সালে এ বাড়িতে এসেছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাড়ি ছুঁয়ে রজনীকান্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রাচীন যুগের স্বদেশী গানের স্রষ্টা, গীতিকার, সুরকার, আজো আপনি গানের মাঝে অমর হয়ে আছেন, আপনাকে নমস্কার।’
সিরাজগঞ্জের ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামে ১৮৬৫ সালের ২৬ জুলাই রজনীকান্তের জন্ম। পূর্বপুরুষেরা থাকতেন রাজশাহীতে। সেই সূত্রে রাজশাহী এসে এখানেই শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষা। তিনি রাজশাহীর বোয়ালিয়া জিলা স্কুলে (এখনকার রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল) ভর্তি হন। এরপর কোচবিহার জেনকিন্স স্কুল থেকে ১৮৮২ সালে এন্ট্রান্স (মাধ্যমিক) পাস করেন। পরে রাজশাহী কলেজ থেকে ১৮৮৫ সালে এফএ (ফার্স্ট আর্টস বা উচ্চমাধ্যমিক) পাস করেন। পরে কলকাতা সিটি কলেজ থেকে ১৮৮৯ সালে বিএ এবং ১৮৯১ সালে বিএল পাস করে এসে রাজশাহী আদালতে ওকালতি শুরু করেন।
আইন পেশায় যুক্ত হলেও রজনীকান্তের মন পড়ে ছিল সাহিত্য সাধনায়। বাংলা গীতিকবিতার এই প্রবাদপুরুষ কবিতার পাশাপাশি রচনা করেছেন ‘তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’র মতো কালজয়ী অসংখ্য গান। তাঁর ব্রিটিশ শাসনবিরোধী স্বদেশি অনেক গান এখনো জনপ্রিয়।
সাহিত্যচর্চা শুরুর খুব অল্পদিনের মধ্যেই রজনীকান্ত সেনের নাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ১৯০৯ সালে কবির গলায় হঠাৎ একটা ঘা দেখা দেয়। তাই নিয়েও গান চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দিন দিন গলার অবস্থা খারাপই হলো। ওই বছরই চিকিৎসার জন্য সপরিবার কলকাতায় যান কবি। আর রাজশাহী ফিরে আসা হয়নি। ১৯১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত কবি কলকাতায় মারা যান।
কবির মৃত্যুর পর ফাঁকা পড়ে থাকে ‘আনন্দ নিকেতন’। ১৯৪৭ সালের পরে বাড়িসমেত ভিটাটি রাষ্ট্রের অধীনে চলে যায়। স্বাধীনতার পর ১৯৮০ সালে জেলা প্রশাসন বাড়িটি সোনালী ব্যাংককে বরাদ্দ দেয়। এখন বাড়িটি সোনালী ব্যাংকের রাজশাহী করপোরেট শাখার পাসপোর্ট বুথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কয়েক দফা বাড়িটির সংস্কার করেছে। এতে বাড়িটি তার আগের রূপ হারিয়েছে। পুরোনো বাড়ির ঘরগুলো ছাড়া কিছুই নেই এখন।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়িটিতে পুরোনো চওড়া দেয়ালের পাঁচটি ঘর। সামনে একটি বারান্দা। মূল বাড়িতে ঢোকার জন্য বারান্দার সঙ্গে দুটি দরজা। বাড়ির ভেতরে ছোট-বড় পাঁচটি ঘর। কাগজপত্র রাখা দুটি ঘর তালাবদ্ধ। একটি ঘর ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক কাজে। এক ঘরে থাকেন আনসার সদস্যরা, অন্যটি ব্যবহৃত হয় রান্নাবান্নায়। বাড়ির পেছনে উঁচু ঢিবি। শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলতে ফেলতে এই ঢিবি হয়েছে। ঝোপঝাড়ের জঙ্গলে ময়লা-আবর্জনা ঢেকে গেছে। কোথাও ‘আনন্দ নিকেতন’ কিংবা কবির স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে তাঁর নামফলক চোখে পড়েনি।
হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘ছোট্ট জীবনের বড় অংশই রাজশাহীতে কাটিয়েছেন কান্তকবি। কিন্তু তাঁর স্মৃতি রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি; বরং তাঁর যে স্মৃতি, তা ধ্বংস করা হচ্ছে। কবির বাড়িতে আগে ছাদ ছিল, ছাদের ওপরে গম্বুজের মতো পিলার ছিল। সেসব সরিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওপরে টিন দিয়েছে। জানালাগুলো বদলে ফেলা হয়েছে। সংরক্ষণ না করে এসব সংস্কার করা একেবারেই উচিত হয়নি।’
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের রাজশাহী করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক কাজী মেহেদী হাসান বলেন, তিনি এখানে যোগ দেওয়ার আগেই বাড়িটির সংস্কারের কাজগুলো হয়েছে। তিনি শুনেছেন, বাড়ির ছাদ চুইয়ে পানি পড়ত। তাই সংস্কার করা হয়। দাবিদার না থাকায় বাড়িটি সরকারের ‘ক’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তিতে পরিণত হয়। পরে জেলা প্রশাসন ১৯৮০ সালের ২২ এপ্রিল সোনালী ব্যাংককে বরাদ্দ দিয়েছে।
রাজশাহীর সাহিত্য সংগঠন কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন ও অতুলপ্রসাদ সেন শুধু কবি নন; তাঁরা গীতিকার, সুরকার ও গায়কও ছিলেন। তাঁদের বলা হয় পঞ্চকবি। এই পঞ্চকবির একজন রজনীকান্ত সেন। এটা চাট্টিখানি কথা নয়। তাঁর বাড়িটি সংরক্ষণ করে রজনীকান্ত সংগ্রহশালা করা উচিত। এটা আমরা অসংখ্যবার বলেছি। কিন্তু বাড়িটা সবার চেনার জন্য একটা নামফলক পর্যন্ত হয়নি। এটার জন্য আমরা ব্যথিত। বাড়িটাকে এখনো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য দাবি জানাই।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, রজনীকান্ত সেনের বাড়িসম্পর্কিত সব কাগজপত্র বের করে তিনি দেখবেন। সেটি কী অবস্থায় আছে, তা-ও দেখবেন। তারপর এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার থাকলে নেবেন।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে