নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১১ দফা দাবিতে অনড় পুলিশ সদস্যরা। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাজারবাগে নবনিযুক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামের মতবিনিময় সভায় হট্টগোল করেছেন তাঁরা।
রাজারবাগে পুলিশ লাইনস অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় এক কনস্টেবল এই অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের গুলি করতে বলে সিনিয়র অফিসাররা সব জায়গা থেকে পালিয়ে যান। তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার আগে যদি আমাদের বলতেন, তোমরাও সরে যাও, তাহলে আমাদের সহকর্মীরা জীবন বাঁচাতে পারতেন। কিন্তু অফিসাররা কোনো নির্দেশনা দেননি। এই ঘটনায় একজন সিনিয়র অফিসারও মারা যাননি। মারা গেছে সব আমার ভাই। কেন? এর উত্তর কে দেবে?
পুলিশে জনগণের আস্থা নেই কেন?’
মঞ্চের আশপাশে এ রকম একের পর এক বক্তব্য দিতে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় আইজিপি চুপ করে তাঁদের বক্তব্য শোনেন। অডিটরিয়ামে হলভর্তি পুলিশ সদস্যরা বক্তব্যের সময় হাততালি দিয়ে সহমত জানান।
মতবিনিময় সভায় প্রথমে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের, তবে ব্যস্ততার কারণে তিনি সেখানে যেতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেনকে প্রধান অতিথি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে তিনিও আসেননি। বিকেল ৫টার দিকে মতবিনিময় সভায় আসেন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুর রহমান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) মো. মাঈনুল হাসান।
সভার শুরুর আগেই অডিটরিয়ামে দুই থেকে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য প্রবেশ করেন। হল কানায় কানায় ভরে যায়। আইজিপি প্রবেশের পর কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। এরপর নিহতদের জন্য দোয়া ও তাঁদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রথমেই র্যাবের মহাপরিচালককে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ডাকেন উপস্থাপক। তবে এ সময় একজন নারী পুলিশ সদস্য উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে এখানে আসতে হবে। এ সময় সবাই একযোগে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপর র্যাবের মহাপরিচালক বক্তব্য না দিয়ে বসে পড়েন। অডিটরিয়ামে তখন পুলিশ সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকেন।
এক পুলিশ সদস্য প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এখানে আসলেন না? তাঁরা এসে কথা বলুক। আমাদের দাবির কথা শুনুক।’
একপর্যায়ে আইজিপি ঘোষণা দেন, তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আজ শনি অথবা কাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এরপর দাবিদাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারকে নগদ টাকা এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে। কর্মঘণ্টা আট ঘণ্টা ও পদোন্নতিতে বৈষম্য থাকবে না। বরখাস্ত পুলিশ সদস্যদের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে পুলিশ সদস্যরা তাঁদের ১১ দফা দাবিতে অনড় থাকেন। মতবিনিময় সভা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।
এদিকে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আইজিপি সন্ধ্যা ৭টার দিকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বরখাস্তকৃত ও চাকরিচ্যুতরা তাঁর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন।
৩৬১ থানায় কার্যক্রম শুরু
জীবনের নিরাপত্তাসহ ১১ দফা দাবিতে অনড় অবস্থানের কথা জানালেও সারা দেশে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারা দেশে ৩৬১ থানা কার্যক্রম শুরু করেছে। এর মধ্যে পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট থাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ২৯টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাতের মধ্যে আরও কয়েকটি থানা কার্যক্রমে যাবে।
সাদাপোশাকে কাজ করছেন দায়িত্বে ফিরে আসা পুলিশ সদস্যরা। চালু হওয়া থানাগুলোতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সাধারণ ডায়েরিও হয়েছে। থানাগুলোর নিরাপত্তায় সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী।
নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করা পুলিশের অধস্তন সদস্যদের কাজে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বাহিনীর নতুন মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম। কিন্তু আইজিপির এই আদেশ মানেনি পুলিশের অধিকাংশ ইউনিট। সারা দেশে ৬৫২টি থানা রয়েছে। আর ডিএমপিতে আছে ৫০টি।
ছাত্র-জনতার বিপুল গণ-আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকেই দেশজুড়ে থানাসহ পুলিশের স্থাপনাগুলোতে একের পর এক হামলা হতে থাকে। নির্বিচারে আক্রমণ হতে থাকে থানায়; ভাঙচুর ও লুটপাটও করা হয় অনেক থানায়। এসব হামলায় বহুসংখ্যক পুলিশ হতাহত হলে অন্যরা নিরাপদে সরে যেতে থাকেন। গা ঢাকা দেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে দেশের পুলিশি ব্যবস্থা।
এরপর নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিশের অধস্তনরা। পুলিশ সদস্যদের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রাজনীতিবিদদের তাঁবেদারি করার কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুলিশ। এমনকি নিজেদের স্বার্থ রক্ষাতে সরকারকে বাঁচাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর হুকুম দেন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকলে সাধারণ মানুষ সরকার ছেড়ে পুলিশকে প্রতিপক্ষ মনে করতে থাকে। তাই তাঁরা পুলিশে সংস্কার চায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডিএমপি এলাকায় থানায় হামলা হয়নি বা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর যেসব থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসব থানায় পুলিশ সদস্যরা এলেও সেখানে পুলিশের বসার মতো অবস্থা ছিল না। তাই ডিএমপির ২১ থানায় এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।
এদিকে বেলা ১১টার দিকে ডিএমপির তেজগাঁও থানার কার্যক্রম শুরু হয়। থানার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি সেনাসদস্যরা কাজ করছেন, সঙ্গে দেখা গেছে আনসার সদস্যদের। থানার কার্যক্রম শুরুর আগে তেজগাঁও থানা-পুলিশের সহায়তায় স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠক করে সেনাবাহিনী।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘জনগণকে বলব, আমাদের আস্থায় নেওয়ার জন্য। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এটা অস্বীকার করব না যে আমাদের ভুল বা ব্যর্থতার জন্য আজকের এই অবস্থা। এগুলো ওভারকাম করে আগামী দিনে সত্যিকারে মানুষের প্রয়োজনে যাতে এই বাহিনী থাকতে পারে, আমি আমার সহকর্মীদের নিয়ে এই সেবাগুলো অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।’
গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে গুলশান থানায় হামলা হয়নি। আজ (গতকাল) থেকে তাঁদের থানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে সাদাপোশাকে বেশির ভাগ থানাসহ আদালতের প্রসিকিউশন কার্যক্রম সীমিত আকারে শুরু হয়েছে। তবে থানাগুলোতে এখনো যোগদান করেননি অনেক পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া যেসব থানা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, সেগুলোর কার্যক্রম এখনো বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দু-একটি বাদে সব থানার কার্যক্রম শুরু করেছি। যেসব থানা বন্ধ আছে, সেগুলোও চালুর চেষ্টা করছি। তবে আপাতত থানাগুলোতে সীমিত আকারে কার্যক্রম চলছে। আমরা নাগরিকদের সব ধরনের সেবাদানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর বাইরে অন্য মহানগর পুলিশসহ বেশ কয়েকটি জেলাতে পুলিশি কার্যক্রম শুরু হয়।’
১১ দফা দাবিতে অনড় পুলিশ সদস্যরা। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাজারবাগে নবনিযুক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামের মতবিনিময় সভায় হট্টগোল করেছেন তাঁরা।
রাজারবাগে পুলিশ লাইনস অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় এক কনস্টেবল এই অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের গুলি করতে বলে সিনিয়র অফিসাররা সব জায়গা থেকে পালিয়ে যান। তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার আগে যদি আমাদের বলতেন, তোমরাও সরে যাও, তাহলে আমাদের সহকর্মীরা জীবন বাঁচাতে পারতেন। কিন্তু অফিসাররা কোনো নির্দেশনা দেননি। এই ঘটনায় একজন সিনিয়র অফিসারও মারা যাননি। মারা গেছে সব আমার ভাই। কেন? এর উত্তর কে দেবে?
পুলিশে জনগণের আস্থা নেই কেন?’
মঞ্চের আশপাশে এ রকম একের পর এক বক্তব্য দিতে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় আইজিপি চুপ করে তাঁদের বক্তব্য শোনেন। অডিটরিয়ামে হলভর্তি পুলিশ সদস্যরা বক্তব্যের সময় হাততালি দিয়ে সহমত জানান।
মতবিনিময় সভায় প্রথমে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের, তবে ব্যস্ততার কারণে তিনি সেখানে যেতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেনকে প্রধান অতিথি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে তিনিও আসেননি। বিকেল ৫টার দিকে মতবিনিময় সভায় আসেন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুর রহমান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) মো. মাঈনুল হাসান।
সভার শুরুর আগেই অডিটরিয়ামে দুই থেকে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য প্রবেশ করেন। হল কানায় কানায় ভরে যায়। আইজিপি প্রবেশের পর কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। এরপর নিহতদের জন্য দোয়া ও তাঁদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রথমেই র্যাবের মহাপরিচালককে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ডাকেন উপস্থাপক। তবে এ সময় একজন নারী পুলিশ সদস্য উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে এখানে আসতে হবে। এ সময় সবাই একযোগে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপর র্যাবের মহাপরিচালক বক্তব্য না দিয়ে বসে পড়েন। অডিটরিয়ামে তখন পুলিশ সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকেন।
এক পুলিশ সদস্য প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এখানে আসলেন না? তাঁরা এসে কথা বলুক। আমাদের দাবির কথা শুনুক।’
একপর্যায়ে আইজিপি ঘোষণা দেন, তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আজ শনি অথবা কাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এরপর দাবিদাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারকে নগদ টাকা এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে। কর্মঘণ্টা আট ঘণ্টা ও পদোন্নতিতে বৈষম্য থাকবে না। বরখাস্ত পুলিশ সদস্যদের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে পুলিশ সদস্যরা তাঁদের ১১ দফা দাবিতে অনড় থাকেন। মতবিনিময় সভা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।
এদিকে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আইজিপি সন্ধ্যা ৭টার দিকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বরখাস্তকৃত ও চাকরিচ্যুতরা তাঁর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন।
৩৬১ থানায় কার্যক্রম শুরু
জীবনের নিরাপত্তাসহ ১১ দফা দাবিতে অনড় অবস্থানের কথা জানালেও সারা দেশে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারা দেশে ৩৬১ থানা কার্যক্রম শুরু করেছে। এর মধ্যে পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট থাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ২৯টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাতের মধ্যে আরও কয়েকটি থানা কার্যক্রমে যাবে।
সাদাপোশাকে কাজ করছেন দায়িত্বে ফিরে আসা পুলিশ সদস্যরা। চালু হওয়া থানাগুলোতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সাধারণ ডায়েরিও হয়েছে। থানাগুলোর নিরাপত্তায় সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী।
নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করা পুলিশের অধস্তন সদস্যদের কাজে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বাহিনীর নতুন মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম। কিন্তু আইজিপির এই আদেশ মানেনি পুলিশের অধিকাংশ ইউনিট। সারা দেশে ৬৫২টি থানা রয়েছে। আর ডিএমপিতে আছে ৫০টি।
ছাত্র-জনতার বিপুল গণ-আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকেই দেশজুড়ে থানাসহ পুলিশের স্থাপনাগুলোতে একের পর এক হামলা হতে থাকে। নির্বিচারে আক্রমণ হতে থাকে থানায়; ভাঙচুর ও লুটপাটও করা হয় অনেক থানায়। এসব হামলায় বহুসংখ্যক পুলিশ হতাহত হলে অন্যরা নিরাপদে সরে যেতে থাকেন। গা ঢাকা দেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে দেশের পুলিশি ব্যবস্থা।
এরপর নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিশের অধস্তনরা। পুলিশ সদস্যদের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রাজনীতিবিদদের তাঁবেদারি করার কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুলিশ। এমনকি নিজেদের স্বার্থ রক্ষাতে সরকারকে বাঁচাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর হুকুম দেন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকলে সাধারণ মানুষ সরকার ছেড়ে পুলিশকে প্রতিপক্ষ মনে করতে থাকে। তাই তাঁরা পুলিশে সংস্কার চায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডিএমপি এলাকায় থানায় হামলা হয়নি বা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর যেসব থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসব থানায় পুলিশ সদস্যরা এলেও সেখানে পুলিশের বসার মতো অবস্থা ছিল না। তাই ডিএমপির ২১ থানায় এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।
এদিকে বেলা ১১টার দিকে ডিএমপির তেজগাঁও থানার কার্যক্রম শুরু হয়। থানার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি সেনাসদস্যরা কাজ করছেন, সঙ্গে দেখা গেছে আনসার সদস্যদের। থানার কার্যক্রম শুরুর আগে তেজগাঁও থানা-পুলিশের সহায়তায় স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠক করে সেনাবাহিনী।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘জনগণকে বলব, আমাদের আস্থায় নেওয়ার জন্য। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এটা অস্বীকার করব না যে আমাদের ভুল বা ব্যর্থতার জন্য আজকের এই অবস্থা। এগুলো ওভারকাম করে আগামী দিনে সত্যিকারে মানুষের প্রয়োজনে যাতে এই বাহিনী থাকতে পারে, আমি আমার সহকর্মীদের নিয়ে এই সেবাগুলো অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।’
গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে গুলশান থানায় হামলা হয়নি। আজ (গতকাল) থেকে তাঁদের থানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে সাদাপোশাকে বেশির ভাগ থানাসহ আদালতের প্রসিকিউশন কার্যক্রম সীমিত আকারে শুরু হয়েছে। তবে থানাগুলোতে এখনো যোগদান করেননি অনেক পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া যেসব থানা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, সেগুলোর কার্যক্রম এখনো বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দু-একটি বাদে সব থানার কার্যক্রম শুরু করেছি। যেসব থানা বন্ধ আছে, সেগুলোও চালুর চেষ্টা করছি। তবে আপাতত থানাগুলোতে সীমিত আকারে কার্যক্রম চলছে। আমরা নাগরিকদের সব ধরনের সেবাদানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর বাইরে অন্য মহানগর পুলিশসহ বেশ কয়েকটি জেলাতে পুলিশি কার্যক্রম শুরু হয়।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে