ইজাজুল হক, ঢাকা
অন্যায়-অবিচার প্রতিরোধে কিংবা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে বৈশ্বিক জনমত গঠন করতে শিল্পীদের নিরন্তর কাজ করতে দেখা যায় দুনিয়াব্যাপী। পূর্ব জেরুজালেমে এবার দেখা গেল তেমনি একটি শৈল্পিক প্রচেষ্টা।
পূর্ব জেরুজালেমের একটি ফিলিস্তিনি এলাকা বিশাল আকারের অসংখ্য খোলা চোখের গ্রাফিতি দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন একদল শিল্পী। চোখগুলো প্রতিবেশী এলাকা সিলওয়ানের দিকে তাক করা, যেখানে প্রতিনিয়ত ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী জোরপূর্বক বসতি স্থাপন করে চলেছে এবং ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করছে।
চোখগুলো এতটাই বিশাল করে আঁকা হয়েছে যে দেখে মনে হবে আশপাশে চলাচলকারী সব মানুষকেই যেন সেগুলো কড়া নজরদারিতে রেখেছে। জীর্ণ ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ির দেয়ালে আঁকা এই গ্রাফিতিগুলোতে জায়গা পেয়েছে ফিলিস্তিনের জাতীয় নেতা, বিশ্বনেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের চোখ এবং ফিলিস্তিনের জাতীয় ফুল গোল্ডফিঞ্চ ও পপি। শুধু তা-ই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে নিহত আলোচিত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডও এই তালিকায় রয়েছেন।
‘আই উইটনেস সিলওয়ান’ নামের এ প্রকল্পটি ২০১৫ সাল থেকে যৌথভাবে শুরু করেছেন ‘মাদা-সিলওয়ান ক্রিয়েটিভ সেন্টার’ ও কয়েকজন মার্কিন শিল্পী। এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের শিল্পীরা প্রায় ২ হাজার ফুট গ্রাফিতি তৈরি করেছেন।
মাদা-সিলওয়ান ক্রিয়েটিভ সেন্টারের পরিচালক জাওয়াদ সিয়াম বলেন, ‘এসব অপলক চোখ মানুষকে জানান দেয় যে, আমরা তাদের দেখি; তাদেরও আমাদের দেখা উচিত। আমরা বলতে চাই, আমরা এখানে আছি; আমরা আমাদের মাতৃভূমি ও বসতি ভালোবাসি।’
আয়োজকেরা বলছেন, এই প্রজেক্টের লক্ষ্য হলো জেরুজালেম ওল্ড সিটির কাছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারি বন্ধের আহ্বান জানানো। তাঁরা আরও বলছেন, ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইহুদিদের উপস্থিতি বাড়াতে কাজ করে চলা অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মোকাবিলা করা এ শিল্প প্রকল্পটির অন্যতম লক্ষ্য।
১৯৬৭ সালে সংঘটিত আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েল জেরুজালেম দখল করে এবং পবিত্র এ শহরটিকে অবিভাজ্য রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবি করে। দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকেই চলতে থাকে ইসরায়েলের ব্যাপক রক্তক্ষয়ী আগ্রাসন। এতে বিভিন্ন বয়সী শত শত মানুষ মারা যায়। এই রক্তক্ষয় সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ভূমি রক্ষার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
জেরুজালেমে প্রতিনিয়ত আরব ও ফিলিস্তিনি এলাকাগুলোতে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করে চলে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীকে প্রতিরোধের আহ্বান জানায় সিলওয়ান প্রকল্প।
পূর্ব জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত ইসরায়েলি গ্রেপ্তার, অভিযান, ধ্বংস এবং উচ্ছেদের শিকার। এই এলাকায় ফিলিস্তিনিদের সংকটাপন্ন জীবন সম্পর্কে ইসরায়েলের ইহুদিবাদী সংগঠন বিতেসেলেম বলছে, ‘ইসরায়েল তাদের কর্মের জন্য কোনো জবাবদিহি ছাড়াই সুদূরপ্রসারী ক্ষমতা উপভোগ করছে।’
সূত্র: আরব নিউজ ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড
অন্যায়-অবিচার প্রতিরোধে কিংবা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে বৈশ্বিক জনমত গঠন করতে শিল্পীদের নিরন্তর কাজ করতে দেখা যায় দুনিয়াব্যাপী। পূর্ব জেরুজালেমে এবার দেখা গেল তেমনি একটি শৈল্পিক প্রচেষ্টা।
পূর্ব জেরুজালেমের একটি ফিলিস্তিনি এলাকা বিশাল আকারের অসংখ্য খোলা চোখের গ্রাফিতি দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন একদল শিল্পী। চোখগুলো প্রতিবেশী এলাকা সিলওয়ানের দিকে তাক করা, যেখানে প্রতিনিয়ত ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী জোরপূর্বক বসতি স্থাপন করে চলেছে এবং ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করছে।
চোখগুলো এতটাই বিশাল করে আঁকা হয়েছে যে দেখে মনে হবে আশপাশে চলাচলকারী সব মানুষকেই যেন সেগুলো কড়া নজরদারিতে রেখেছে। জীর্ণ ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ির দেয়ালে আঁকা এই গ্রাফিতিগুলোতে জায়গা পেয়েছে ফিলিস্তিনের জাতীয় নেতা, বিশ্বনেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের চোখ এবং ফিলিস্তিনের জাতীয় ফুল গোল্ডফিঞ্চ ও পপি। শুধু তা-ই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে নিহত আলোচিত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডও এই তালিকায় রয়েছেন।
‘আই উইটনেস সিলওয়ান’ নামের এ প্রকল্পটি ২০১৫ সাল থেকে যৌথভাবে শুরু করেছেন ‘মাদা-সিলওয়ান ক্রিয়েটিভ সেন্টার’ ও কয়েকজন মার্কিন শিল্পী। এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের শিল্পীরা প্রায় ২ হাজার ফুট গ্রাফিতি তৈরি করেছেন।
মাদা-সিলওয়ান ক্রিয়েটিভ সেন্টারের পরিচালক জাওয়াদ সিয়াম বলেন, ‘এসব অপলক চোখ মানুষকে জানান দেয় যে, আমরা তাদের দেখি; তাদেরও আমাদের দেখা উচিত। আমরা বলতে চাই, আমরা এখানে আছি; আমরা আমাদের মাতৃভূমি ও বসতি ভালোবাসি।’
আয়োজকেরা বলছেন, এই প্রজেক্টের লক্ষ্য হলো জেরুজালেম ওল্ড সিটির কাছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারি বন্ধের আহ্বান জানানো। তাঁরা আরও বলছেন, ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইহুদিদের উপস্থিতি বাড়াতে কাজ করে চলা অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মোকাবিলা করা এ শিল্প প্রকল্পটির অন্যতম লক্ষ্য।
১৯৬৭ সালে সংঘটিত আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েল জেরুজালেম দখল করে এবং পবিত্র এ শহরটিকে অবিভাজ্য রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবি করে। দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকেই চলতে থাকে ইসরায়েলের ব্যাপক রক্তক্ষয়ী আগ্রাসন। এতে বিভিন্ন বয়সী শত শত মানুষ মারা যায়। এই রক্তক্ষয় সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ভূমি রক্ষার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
জেরুজালেমে প্রতিনিয়ত আরব ও ফিলিস্তিনি এলাকাগুলোতে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করে চলে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীকে প্রতিরোধের আহ্বান জানায় সিলওয়ান প্রকল্প।
পূর্ব জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত ইসরায়েলি গ্রেপ্তার, অভিযান, ধ্বংস এবং উচ্ছেদের শিকার। এই এলাকায় ফিলিস্তিনিদের সংকটাপন্ন জীবন সম্পর্কে ইসরায়েলের ইহুদিবাদী সংগঠন বিতেসেলেম বলছে, ‘ইসরায়েল তাদের কর্মের জন্য কোনো জবাবদিহি ছাড়াই সুদূরপ্রসারী ক্ষমতা উপভোগ করছে।’
সূত্র: আরব নিউজ ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে