জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
২৫ মার্চ, ১৯৭১।
সেদিন পূর্ব পাকিস্তানিদের শায়েস্তা করতে চেয়েছিল ইয়াহিয়ার সেনাবাহিনী। রাস্তায় নেমে এসেছিল ট্যাংক আর অগণিত সেনাসদস্য। উদ্দেশ্য ছিল, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে। বাঙালি যেন আর কোনো দিন স্বাধিকারের দাবিতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, বাঙালি যেন আর কখনো ক্ষমতার আসনে বসার কথা না ভাবতে পারে—এই ছিল ইয়াহিয়া-প্রশাসনের ভাবনা। জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে মিলে যে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করেছিলেন ইয়াহিয়া, তারই নগ্ন প্রকাশ দেখা গেল এই দিন।
এই ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের নাম ছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিলেন ইয়াহিয়া খান। দুপক্ষে ছিলেন তাঁদের উপদেষ্টারা। কখনো মনে হচ্ছিল বরফ গলছে, কখনো মনে হচ্ছিল, সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। খবর পাওয়া যাচ্ছিল, সোয়াত জাহাজ এসেছে অস্ত্র নিয়ে। যেকোনো সময় হামলা হতে পারে। ইয়াহিয়া কিন্তু একধরনের সমঝোতার আশ্বাস দিয়েই যাচ্ছিলেন।
এ রকম এক পরিস্থিতিতে অকস্মাৎ রাজপথে নেমে এল ট্যাংক, ভারী অস্ত্রবাহী ট্রাক আর কারবাইন হাতে পাকিস্তানি সেনারা।
ওরা হত্যাকাণ্ড চালাল রাজধানীজুড়ে। কয়েকটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুও ছিল তাদের।
পিলখানা ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, সংবাদপত্র অফিসের মধ্যে দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ ও দ্য পিপল। হিন্দু বসতিগুলো, বিশেষ করে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারীবাজার এলাকা। ছাত্রদের বসবাসের স্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে ইকবাল হল (বর্তমান জহুরুল হক হল) ও জগন্নাথ হল। শিক্ষকদেরও চিহ্নিত করে হত্যা করেছে তারা।
এই অপারেশন সার্চলাইটে যে বিন্দুমাত্র নৈতিকতার স্থান ছিল না, তা বোঝা যাবে তাদের নির্দেশনামার দিকে চোখ দিলে। সেখানে লেখা আছে, ‘যেহেতু সেনাবাহিনীর মধ্যকার পূর্ব পাকিস্তানীয়দের মধ্যেও আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রভাব আছে, তাই অপারেশন সূচনা করতে হবে অত্যন্ত ধূর্ততা (কানিংনেস), আকস্মিকতা (সারপ্রাইজ), ধোঁকাবাজি (ডিসেপশন) এবং দ্রুতগতির (স্পিড) সমন্বয়ে। এই কাণ্ডের হোতারা সুপারিশ করেছিল, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া যেন শেখ মুজিবকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন, আর এরই ফাঁকে তারা নেমে যাবে রাস্তায়, হত্যা করবে পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিকদের।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য গ্রেপ্তার করতে হবে সর্বোচ্চসংখ্যক রাজনীতিক ও ছাত্রনেতাদের। শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের। ধানমন্ডি আর পুরান ঢাকা হবে বিশেষ আক্রমণের স্থান।
অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করেছিল দুটো কমান্ড। ঢাকা শহরের অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। তাঁর অধীনে ব্রিগেডিয়ার জেহানজেব আরবারের ৫৭ পদাতিক ব্রিগেড এই হত্যাকাণ্ড চালানোর কাজটি সম্পন্ন করে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা।
কবে এই বাঙালি নিধনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল?
এটা ঠিক, অপারেশন সার্চলাইট কোনো আকস্মিক সিদ্ধান্ত ছিল না। পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের আলোচনা থেকে অনুমান করা যায়, ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বৈঠক শেষে পশ্চিম পাকিস্তানে গিয়ে জুলফিকার আলী ভুট্টোর আমন্ত্রণে লারকানায় গিয়েছিলেন ইয়াহিয়া খান, হাঁস শিকার করতে। সেখানে প্রচুর মদ্যপান ও হাঁসের রোস্ট ভক্ষণ করতে করতেই কি বাঙালি নিধনের এই ষড়যন্ত্র করা হয়? অনেকে সেটাই সন্দেহ করেন। আর ২২ ফেব্রুয়ারি ইসলামাবাদে ইয়াহিয়া খান বিভিন্ন প্রদেশের কমান্ডারদের সঙ্গে যে সভা করেন, সেখানেও ‘অপারেশন ব্লিৎজ্’ নিয়ে কথাবার্তা হয়। সেখানেই সামরিক অভিযানের অনুমোদন দেওয়া হয়।
২৫ মার্চ প্রথম প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে। কিন্তু থ্রি নট থ্রি হাতে কতক্ষণ প্রতিরোধ করা যায়? ৮০০ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ১৫০ জন শহীদ হয়েছিলেন। ভোরের দিকে পাকিস্তানিরা ঢুকে পড়ল রাজারবাগে। চালাল নৃশংসতা। জগন্নাথ হল আর ইকবাল হলে জমল লাশের স্তূপ। দাউ দাউ আগুন জ্বলল তিনটি পত্রিকা অফিসে এবং রাজারবাগে, পিলখানায়। পুড়ল নয়াবাজার, ঠাটারীবাজার। সুযোগ পেয়ে মোহাম্মদপুর আর মিরপুরের বিহারিরা জবাই করতে থাকল বাঙালিদের। পাকিস্তানিদের হাত থেকে পলায়নপর শিশু-নারী-বৃদ্ধরাও বাঁচেনি।
সেই রাত বারোটা অতিক্রম করার পর গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেন স্বাধীনতার ডাক।
জেনোসাইড ঘটিয়ে বাঙালিকে চিরকাল পদানত করে রাখার খায়েশ পূর্ণ হয়নি পশ্চিম পাকিস্তানিদের। বেদনার্ত বাংলার জনগণ বুকে কষ্ট ধরে রেখেই ছিনিয়ে এনেছে বিজয়। পশ্চিম পাকিস্তান এখন শুধুই পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তান সাহসী লাল-সবুজ পতাকা হাতে এখন বাংলাদেশ।
২৫ মার্চ, ১৯৭১।
সেদিন পূর্ব পাকিস্তানিদের শায়েস্তা করতে চেয়েছিল ইয়াহিয়ার সেনাবাহিনী। রাস্তায় নেমে এসেছিল ট্যাংক আর অগণিত সেনাসদস্য। উদ্দেশ্য ছিল, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে। বাঙালি যেন আর কোনো দিন স্বাধিকারের দাবিতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, বাঙালি যেন আর কখনো ক্ষমতার আসনে বসার কথা না ভাবতে পারে—এই ছিল ইয়াহিয়া-প্রশাসনের ভাবনা। জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে মিলে যে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করেছিলেন ইয়াহিয়া, তারই নগ্ন প্রকাশ দেখা গেল এই দিন।
এই ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের নাম ছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিলেন ইয়াহিয়া খান। দুপক্ষে ছিলেন তাঁদের উপদেষ্টারা। কখনো মনে হচ্ছিল বরফ গলছে, কখনো মনে হচ্ছিল, সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। খবর পাওয়া যাচ্ছিল, সোয়াত জাহাজ এসেছে অস্ত্র নিয়ে। যেকোনো সময় হামলা হতে পারে। ইয়াহিয়া কিন্তু একধরনের সমঝোতার আশ্বাস দিয়েই যাচ্ছিলেন।
এ রকম এক পরিস্থিতিতে অকস্মাৎ রাজপথে নেমে এল ট্যাংক, ভারী অস্ত্রবাহী ট্রাক আর কারবাইন হাতে পাকিস্তানি সেনারা।
ওরা হত্যাকাণ্ড চালাল রাজধানীজুড়ে। কয়েকটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুও ছিল তাদের।
পিলখানা ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, সংবাদপত্র অফিসের মধ্যে দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ ও দ্য পিপল। হিন্দু বসতিগুলো, বিশেষ করে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারীবাজার এলাকা। ছাত্রদের বসবাসের স্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে ইকবাল হল (বর্তমান জহুরুল হক হল) ও জগন্নাথ হল। শিক্ষকদেরও চিহ্নিত করে হত্যা করেছে তারা।
এই অপারেশন সার্চলাইটে যে বিন্দুমাত্র নৈতিকতার স্থান ছিল না, তা বোঝা যাবে তাদের নির্দেশনামার দিকে চোখ দিলে। সেখানে লেখা আছে, ‘যেহেতু সেনাবাহিনীর মধ্যকার পূর্ব পাকিস্তানীয়দের মধ্যেও আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রভাব আছে, তাই অপারেশন সূচনা করতে হবে অত্যন্ত ধূর্ততা (কানিংনেস), আকস্মিকতা (সারপ্রাইজ), ধোঁকাবাজি (ডিসেপশন) এবং দ্রুতগতির (স্পিড) সমন্বয়ে। এই কাণ্ডের হোতারা সুপারিশ করেছিল, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া যেন শেখ মুজিবকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন, আর এরই ফাঁকে তারা নেমে যাবে রাস্তায়, হত্যা করবে পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিকদের।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য গ্রেপ্তার করতে হবে সর্বোচ্চসংখ্যক রাজনীতিক ও ছাত্রনেতাদের। শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের। ধানমন্ডি আর পুরান ঢাকা হবে বিশেষ আক্রমণের স্থান।
অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করেছিল দুটো কমান্ড। ঢাকা শহরের অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। তাঁর অধীনে ব্রিগেডিয়ার জেহানজেব আরবারের ৫৭ পদাতিক ব্রিগেড এই হত্যাকাণ্ড চালানোর কাজটি সম্পন্ন করে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা।
কবে এই বাঙালি নিধনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল?
এটা ঠিক, অপারেশন সার্চলাইট কোনো আকস্মিক সিদ্ধান্ত ছিল না। পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের আলোচনা থেকে অনুমান করা যায়, ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বৈঠক শেষে পশ্চিম পাকিস্তানে গিয়ে জুলফিকার আলী ভুট্টোর আমন্ত্রণে লারকানায় গিয়েছিলেন ইয়াহিয়া খান, হাঁস শিকার করতে। সেখানে প্রচুর মদ্যপান ও হাঁসের রোস্ট ভক্ষণ করতে করতেই কি বাঙালি নিধনের এই ষড়যন্ত্র করা হয়? অনেকে সেটাই সন্দেহ করেন। আর ২২ ফেব্রুয়ারি ইসলামাবাদে ইয়াহিয়া খান বিভিন্ন প্রদেশের কমান্ডারদের সঙ্গে যে সভা করেন, সেখানেও ‘অপারেশন ব্লিৎজ্’ নিয়ে কথাবার্তা হয়। সেখানেই সামরিক অভিযানের অনুমোদন দেওয়া হয়।
২৫ মার্চ প্রথম প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে। কিন্তু থ্রি নট থ্রি হাতে কতক্ষণ প্রতিরোধ করা যায়? ৮০০ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ১৫০ জন শহীদ হয়েছিলেন। ভোরের দিকে পাকিস্তানিরা ঢুকে পড়ল রাজারবাগে। চালাল নৃশংসতা। জগন্নাথ হল আর ইকবাল হলে জমল লাশের স্তূপ। দাউ দাউ আগুন জ্বলল তিনটি পত্রিকা অফিসে এবং রাজারবাগে, পিলখানায়। পুড়ল নয়াবাজার, ঠাটারীবাজার। সুযোগ পেয়ে মোহাম্মদপুর আর মিরপুরের বিহারিরা জবাই করতে থাকল বাঙালিদের। পাকিস্তানিদের হাত থেকে পলায়নপর শিশু-নারী-বৃদ্ধরাও বাঁচেনি।
সেই রাত বারোটা অতিক্রম করার পর গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেন স্বাধীনতার ডাক।
জেনোসাইড ঘটিয়ে বাঙালিকে চিরকাল পদানত করে রাখার খায়েশ পূর্ণ হয়নি পশ্চিম পাকিস্তানিদের। বেদনার্ত বাংলার জনগণ বুকে কষ্ট ধরে রেখেই ছিনিয়ে এনেছে বিজয়। পশ্চিম পাকিস্তান এখন শুধুই পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তান সাহসী লাল-সবুজ পতাকা হাতে এখন বাংলাদেশ।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে