সম্পাদকীয়
যিশুর জন্মের পবিত্র ক্ষণ স্মরণ করতে পৃথিবীজুড়ে আজ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে বড়দিন উদ্যাপন করছে। আজ থেকে দুই সহস্রাধিক বছর আগে বর্তমান জেরুজালেমের কাছে বেথেলেহেম শহরের এক গোয়ালঘরে জন্মেছিলেন খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। ৩৩ বছরের স্বল্পস্থায়ী জীবনে তিনি মানুষকে শুনিয়েছেন শান্তির বাণী। হিংসা-বিদ্বেষ, পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মানুষকে মুক্ত করা ছিল তাঁর প্রবর্তিত ধর্মের অন্যতম আদর্শ।
তবে তাঁর ধর্মীয় মতবাদ প্রচারের জন্য তাঁকে নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। কিন্তু কোনো নির্যাতন-নিগ্রহ তাঁকে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। মানুষের মনকে জয় করে সত্যের পথে নিয়ে আসাই ছিল তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্য। তিনি মানুষকে সন্ধান দিয়েছেন মুক্তির পথ। আজ যিশুর কোটি কোটি অনুসারীর তাঁর বন্দনা করার দিন।
এখন বড়দিন বলতে আমরা যা বুঝি, সেই সব প্রথার উদ্ভব কিন্তু যিশুর জন্মেরও অনেক পরে হয়েছে। আধুনিক বড়দিনে পালিত বেশির ভাগ রীতি, রেওয়াজ, ঐতিহ্যের শুরু উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে। এর আগে ধর্মীয় উৎসব হিসেবে বড়দিন পালিত হতো ঠিকই, কিন্তু সেই সব উৎসবে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল নগণ্য। পরবর্তীকালে সেই ধারার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। বড়দিন ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের পারিবারিক এবং সামাজিক অনুষ্ঠান।
আজ গির্জায় গির্জায় বেজে উঠবে ঘণ্টাধ্বনি, সমবেত সংগীত ও প্রার্থনার সুললিত সুর। বাহারি আলোকসজ্জা ও ক্রিসমাস ট্রিতে আলোকিত হবে ঘরবাড়ি। রাতের অন্ধকারে শিশুদের জন্য ঘরের দরজার সামনে উপহার রেখে যাবেন সান্তা ক্লজ। যাবতীয় বিদ্বেষ, হানাহানি, অশান্তি থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রার্থনায় নত হবে মানুষ।
প্রতিবছর এই দিনে বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরাও আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন পালন করে থাকে। দিনটি উপলক্ষে যিশুখ্রিষ্টের জন্মের কাহিনি পাঠ ও প্রার্থনা করা হয়। সেই কাহিনি অবলম্বনে গির্জায়, এমনকি প্রতিটি বাড়িতে গোশালা নির্মাণ করে ফুলপাতা দিয়ে সাজানো হয়। এর সঙ্গে গান-বাজনা, নাম-সংকীর্তন, ভোজন, আনন্দ-উল্লাস ইত্যাদি চলে।
যিশু তো এসেছিলেন পরিত্রাণের দূত হিসেবেই। বর্তমান যুদ্ধবিগ্রহ ও সংঘাতময় এই পৃথিবীতে যিশুর বাণী কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সভ্যতার ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, শুধু খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের জীবন ও দর্শনেই যিশুর প্রভাব পড়েনি, পুরো মানবসভ্যতাই কিছু না কিছু মাত্রায় প্রভাবিত হয়েছে তাঁর আদর্শ, নীতি ও বিশ্বাস দ্বারা।
বড়দিনের উৎসব সর্বজনীনতা লাভ করুক; এই ধর্মীয় উৎসবে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সংহতি গড়ে উঠুক, যা বিশ্বভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করবে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। বড়দিনের রোশনাই সবার জীবনকে আলোকিত করুক এবং বিশ্বে শান্তি ও সুখ বয়ে আনুক। বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানরত খ্রিষ্টানসহ পৃথিবীর খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবাইকে আমরা শুভেচ্ছা জানাই। শুভ বড়দিন।
যিশুর জন্মের পবিত্র ক্ষণ স্মরণ করতে পৃথিবীজুড়ে আজ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে বড়দিন উদ্যাপন করছে। আজ থেকে দুই সহস্রাধিক বছর আগে বর্তমান জেরুজালেমের কাছে বেথেলেহেম শহরের এক গোয়ালঘরে জন্মেছিলেন খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। ৩৩ বছরের স্বল্পস্থায়ী জীবনে তিনি মানুষকে শুনিয়েছেন শান্তির বাণী। হিংসা-বিদ্বেষ, পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মানুষকে মুক্ত করা ছিল তাঁর প্রবর্তিত ধর্মের অন্যতম আদর্শ।
তবে তাঁর ধর্মীয় মতবাদ প্রচারের জন্য তাঁকে নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। কিন্তু কোনো নির্যাতন-নিগ্রহ তাঁকে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। মানুষের মনকে জয় করে সত্যের পথে নিয়ে আসাই ছিল তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্য। তিনি মানুষকে সন্ধান দিয়েছেন মুক্তির পথ। আজ যিশুর কোটি কোটি অনুসারীর তাঁর বন্দনা করার দিন।
এখন বড়দিন বলতে আমরা যা বুঝি, সেই সব প্রথার উদ্ভব কিন্তু যিশুর জন্মেরও অনেক পরে হয়েছে। আধুনিক বড়দিনে পালিত বেশির ভাগ রীতি, রেওয়াজ, ঐতিহ্যের শুরু উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে। এর আগে ধর্মীয় উৎসব হিসেবে বড়দিন পালিত হতো ঠিকই, কিন্তু সেই সব উৎসবে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল নগণ্য। পরবর্তীকালে সেই ধারার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। বড়দিন ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের পারিবারিক এবং সামাজিক অনুষ্ঠান।
আজ গির্জায় গির্জায় বেজে উঠবে ঘণ্টাধ্বনি, সমবেত সংগীত ও প্রার্থনার সুললিত সুর। বাহারি আলোকসজ্জা ও ক্রিসমাস ট্রিতে আলোকিত হবে ঘরবাড়ি। রাতের অন্ধকারে শিশুদের জন্য ঘরের দরজার সামনে উপহার রেখে যাবেন সান্তা ক্লজ। যাবতীয় বিদ্বেষ, হানাহানি, অশান্তি থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রার্থনায় নত হবে মানুষ।
প্রতিবছর এই দিনে বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরাও আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন পালন করে থাকে। দিনটি উপলক্ষে যিশুখ্রিষ্টের জন্মের কাহিনি পাঠ ও প্রার্থনা করা হয়। সেই কাহিনি অবলম্বনে গির্জায়, এমনকি প্রতিটি বাড়িতে গোশালা নির্মাণ করে ফুলপাতা দিয়ে সাজানো হয়। এর সঙ্গে গান-বাজনা, নাম-সংকীর্তন, ভোজন, আনন্দ-উল্লাস ইত্যাদি চলে।
যিশু তো এসেছিলেন পরিত্রাণের দূত হিসেবেই। বর্তমান যুদ্ধবিগ্রহ ও সংঘাতময় এই পৃথিবীতে যিশুর বাণী কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সভ্যতার ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, শুধু খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের জীবন ও দর্শনেই যিশুর প্রভাব পড়েনি, পুরো মানবসভ্যতাই কিছু না কিছু মাত্রায় প্রভাবিত হয়েছে তাঁর আদর্শ, নীতি ও বিশ্বাস দ্বারা।
বড়দিনের উৎসব সর্বজনীনতা লাভ করুক; এই ধর্মীয় উৎসবে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সংহতি গড়ে উঠুক, যা বিশ্বভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করবে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। বড়দিনের রোশনাই সবার জীবনকে আলোকিত করুক এবং বিশ্বে শান্তি ও সুখ বয়ে আনুক। বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানরত খ্রিষ্টানসহ পৃথিবীর খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবাইকে আমরা শুভেচ্ছা জানাই। শুভ বড়দিন।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে