নাইমুর রহমান, নাটোর
আর কয়েক মাস পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের অন্য সংসদীয় আসনগুলোর মতো নাটোর-১ আসনেও নির্বাচনের হাওয়া লেগেছে। আসনটি টানা দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের দখলে। এবার বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বকুল ছাড়াও হাফ ডজনের মতো নেতা এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। অবশ্য বিএনপি এখানে কামরুন্নাহার শিরিনেই আস্থা রাখতে চায়।
নাটোরের লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা নিয়ে নাটোর-১ আসন গঠিত। স্থানীয় সূত্র বলেছে, এখানে আওয়ামী লীগ মূলত বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের বলয়ে বিভক্ত। তবে সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের পারিবারিক বিভক্তির সুযোগে গত চার বছরে লালপুরে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বকুল। দুই উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির অধিকাংশ নেতা-কর্মীই তাঁর অনুসারী।
দুই উপজেলার সাধারণ ভোটার ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান ও সাবেক দুই এমপির মধ্যে। সাবেক এমপি আবুল কালামই মমতাজ পরিবারের প্রধান প্রার্থী। লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু আবুল কালামের অনুসারী হলেও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ সাগর কালামের আপন ভাতিজা। তাই কালামের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ঝুলফু উপস্থিত থাকলেও থাকেন না সাগর। সাগর সম্পাদক হওয়ার আগে বর্তমান সংসদ সদস্য বকুলের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। এখন তিনি নিজেই মনোনয়নপ্রত্যাশী। বাগাতিপাড়ায় অবশ্য একচ্ছত্রভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করেন বকুল।
জানতে চাইলে সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘দুই উপজেলায় অনেক রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভৌত অবকাঠামোসহ লালপুরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছি। গত সাড়ে চার বছরে আমি ছাড়া মানুষের পাশে কেউ ছিলেন না। আমি বিশ্বাস করি, দল আমাকে আবারও মনোনয়ন দেবে।’
বর্তমান সংসদ সদস্য বকুল এবং প্রয়াত সংসদ সদস্য মমতাজ পরিবারের বাইরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান আরও হাফ ডজন নেতা। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) রমজান আলী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনিসুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক সিলভিয়া পারভীন লেনি, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক কাজল রায় এবং কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার পরিবারে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও তাদের তুলনায় মানুষের সঙ্গে আমার সংযোগ বেশি। আমার বিশ্বাস, দল আমাকে এবার মূল্যায়ন করবে।’
কর্নেল (অব.) রমজান আলী বলেন, ‘এ আসনের ভোটাররা পরিবর্তন চায়। রাজনীতি কোনো একক পরিবারে ঢুকে যাক, এটা কেউ চায় না। আমি মনোনয়ন পেলে নিজের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করতে চাই।’
এদিকে এই আসনে বিএনপির রাজনীতিক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের পরিবারকেন্দ্রিক। স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা মনে করেন, বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে রাজনীতির হাল ধরার মতো অবস্থা পটল পরিবারের ছাড়া অন্য কারও পক্ষে সম্ভব নয়। গত এক দশকে এখানে পটল পরিবারের বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন ফজুলর রহমান পটলের সহধর্মিণী অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার শিরিন। শিরিনেই আস্থা বিএনপি।
জানতে চাইলে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কামরুন্নাহার শিরিন বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে হলেই নির্বাচনে যাব আমরা। এ দাবি পূরণ হলে মনোনয়ন চাইব। আমি মনে করি, এই আসনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-ভোটাররা আমার পাশে আছেন।’
লালপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুনুর রশীদ পাপ্পু বলেন, গত এক দশকের দুঃসময়ে দলের হাল ধরে আছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের পরিবার। তাদের নেতৃত্বেই বিএনপি এখানে ঐক্যবদ্ধ। এখানকার সর্বস্তরের বিএনপির নেতা-কর্মীরাই চান, বিএনপি নির্বাচনে গেলে এবারও প্রার্থী হবেন কামরুন্নাহার শিরিন।
আর কয়েক মাস পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের অন্য সংসদীয় আসনগুলোর মতো নাটোর-১ আসনেও নির্বাচনের হাওয়া লেগেছে। আসনটি টানা দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের দখলে। এবার বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বকুল ছাড়াও হাফ ডজনের মতো নেতা এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। অবশ্য বিএনপি এখানে কামরুন্নাহার শিরিনেই আস্থা রাখতে চায়।
নাটোরের লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা নিয়ে নাটোর-১ আসন গঠিত। স্থানীয় সূত্র বলেছে, এখানে আওয়ামী লীগ মূলত বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের বলয়ে বিভক্ত। তবে সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের পারিবারিক বিভক্তির সুযোগে গত চার বছরে লালপুরে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বকুল। দুই উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির অধিকাংশ নেতা-কর্মীই তাঁর অনুসারী।
দুই উপজেলার সাধারণ ভোটার ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান ও সাবেক দুই এমপির মধ্যে। সাবেক এমপি আবুল কালামই মমতাজ পরিবারের প্রধান প্রার্থী। লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু আবুল কালামের অনুসারী হলেও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ সাগর কালামের আপন ভাতিজা। তাই কালামের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ঝুলফু উপস্থিত থাকলেও থাকেন না সাগর। সাগর সম্পাদক হওয়ার আগে বর্তমান সংসদ সদস্য বকুলের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। এখন তিনি নিজেই মনোনয়নপ্রত্যাশী। বাগাতিপাড়ায় অবশ্য একচ্ছত্রভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করেন বকুল।
জানতে চাইলে সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘দুই উপজেলায় অনেক রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভৌত অবকাঠামোসহ লালপুরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছি। গত সাড়ে চার বছরে আমি ছাড়া মানুষের পাশে কেউ ছিলেন না। আমি বিশ্বাস করি, দল আমাকে আবারও মনোনয়ন দেবে।’
বর্তমান সংসদ সদস্য বকুল এবং প্রয়াত সংসদ সদস্য মমতাজ পরিবারের বাইরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান আরও হাফ ডজন নেতা। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) রমজান আলী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনিসুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক সিলভিয়া পারভীন লেনি, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক কাজল রায় এবং কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার পরিবারে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও তাদের তুলনায় মানুষের সঙ্গে আমার সংযোগ বেশি। আমার বিশ্বাস, দল আমাকে এবার মূল্যায়ন করবে।’
কর্নেল (অব.) রমজান আলী বলেন, ‘এ আসনের ভোটাররা পরিবর্তন চায়। রাজনীতি কোনো একক পরিবারে ঢুকে যাক, এটা কেউ চায় না। আমি মনোনয়ন পেলে নিজের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করতে চাই।’
এদিকে এই আসনে বিএনপির রাজনীতিক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের পরিবারকেন্দ্রিক। স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা মনে করেন, বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে রাজনীতির হাল ধরার মতো অবস্থা পটল পরিবারের ছাড়া অন্য কারও পক্ষে সম্ভব নয়। গত এক দশকে এখানে পটল পরিবারের বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন ফজুলর রহমান পটলের সহধর্মিণী অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার শিরিন। শিরিনেই আস্থা বিএনপি।
জানতে চাইলে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কামরুন্নাহার শিরিন বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে হলেই নির্বাচনে যাব আমরা। এ দাবি পূরণ হলে মনোনয়ন চাইব। আমি মনে করি, এই আসনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-ভোটাররা আমার পাশে আছেন।’
লালপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুনুর রশীদ পাপ্পু বলেন, গত এক দশকের দুঃসময়ে দলের হাল ধরে আছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের পরিবার। তাদের নেতৃত্বেই বিএনপি এখানে ঐক্যবদ্ধ। এখানকার সর্বস্তরের বিএনপির নেতা-কর্মীরাই চান, বিএনপি নির্বাচনে গেলে এবারও প্রার্থী হবেন কামরুন্নাহার শিরিন।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে