সুবল রায়, বিরল (দিনাজপুর)
দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ৫৩ কিলোমিটার দূরের সীমান্তবর্তী জনপদ বোচাগঞ্জ। ছোট্ট পৌর শহর। নিস্তরঙ্গ এ শহরে হঠাৎ আলোড়ন তুলেছে কয়েকটি চিত্রা হরিণ। দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন আসছে এসব চিত্রা হরিণ দেখতে। হরিণগুলো এক ব্যক্তির পোষা। তবে এরা দর্শনার্থী দেখেই ছুটে পালাতে চায়। কিন্তু বারবার বেড়ায় আটকে যায়। তবে পালানোর পথ নেই বুঝতে পেরে থমকে দাঁড়ায়। সবিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে দর্শনার্থীদের দিকে। ঠিক যেমন বিস্ময়-বিস্ফারিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা চিত্রা হরিণ একসময় দেখা যেত আমাদের এক টাকার নোটে। মালিকের কড়া নিষেধের কারণে কেউ এই পোষা হরিণগুলোকে কষ্ট দিতে পারে না বটে। কিন্তু এদের বিস্ময়ের ঘোর কাটে না। পুরো শরীরে সাদা ছোপ ছোপ দাগ। অনিন্দ্য সুন্দর এ হরিণকে উপমহাদেশের হরিণ প্রজাতির মধ্যে সুন্দর প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অনেকেই বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় দেখে থাকবেন চিত্রা হরিণ। চিড়িয়াখানায় অনেক প্রাণীর আবাস হলেও উত্তরবঙ্গে হরিণের খামার এর আগে ছিল বলে শোনা যায় না। কিন্তু এবার এক শৌখিন মানুষের করা চিত্রা হরিণের খামার দেখা গেল বোচাগঞ্জে।
বোচাগঞ্জের জহুরা অটোমেটিক রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী আবদুল হান্নান শখের বসে নিজের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন হরিণের খামার। ঐতিহাসিক রামসাগর জাতীয় উদ্যান ও বরিশালে এক বন্ধুর বাসায় হরিণের খামার দেখেছিলেন হান্নান। সে খামার দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি বন বিভাগের অনুমোদন নিয়ে গড়ে তোলেন নিজের হরিণের খামারটি। প্রায় চার বছর আগে একটি নারী ও একটি পুরুষ চিত্রা হরিণ দিয়ে শুরু হয় এই খামারের পথচলা। পরবর্তী সময়ে খামারের হরিণ দম্পতি দুটি শাবকের জন্ম দেয়। শত ব্যস্ততার মধ্যেও হান্নান তাঁর খামারে পরম যত্নে মোট ছয়টি চিত্রা হরিণ লালন-পালন করছেন। তিনি মনে করেন, এই হরিণের সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।
সম্প্রতি কথা হয় খামারি আবদুল হান্নানের সঙ্গে। তিনি বলেন, নিতান্ত শখের বশে হরিণ পুষতে শুরু করেন। তবে এখন কেমন মায়া পড়ে গেছে। হরিণগুলোর দিকে তাকালে তাঁর মন ভরে যায়। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন, হরিণগুলোর যাতে কোনো সমস্যা না হয়। তিনি আরও বলেন, হরিণ সাধারণত ১৬ মাসে ৩ বার বাচ্চা দেয়। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সমস্যা হয়নি তাঁর খামারের হরিণগুলোর। এই খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয় দুই যুবকের। মূলত তাঁরাই হরিণগুলোর দেখাশোনা করেন। শাক, পাতা, ঘাস ও দেশি লতাপাতাই চিত্রা হরিণের প্রিয় খাবার। এই দুই যুবক এসব খাদ্য সংগ্রহ করেন। তাঁরা বেশ দায়িত্ব নিয়ে হরিণগুলোর যত্ন নেন। হরিণগুলো খুব ভীরু স্বভাবের। তাই এই যুবকেরা চেষ্টা করেন কেউ যেন হরিণের সৌন্দর্য দেখতে এসে এদের উপদ্রব না করেন। এ ছাড়া রোগবালাই থেকে হরিণগুলো রক্ষায় নিয়মিত প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয় বলেও জানান আবদুল হান্নান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হরিণের এই খামার দেখতে আজকাল অনেকেই ভিড় করছেন। কারণ, চিড়িয়াখানা ছাড়া এই চিত্রা হরিণের দেখা সচরাচর মেলে না। রংপুর চিড়িয়াখানা এবং দিনাজপুরের রামসাগর ছাড়া এ অঞ্চলে আর কোনো চিড়িয়াখানা নেই। তাই হান্নানের খামারের হরিণ দেখতে আসা লোকজন অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। এত কাছে থেকে হরিণ দেখতে পেয়ে তাঁদের চোখেমুখে বিস্ময় আর ধরে না।
দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ৫৩ কিলোমিটার দূরের সীমান্তবর্তী জনপদ বোচাগঞ্জ। ছোট্ট পৌর শহর। নিস্তরঙ্গ এ শহরে হঠাৎ আলোড়ন তুলেছে কয়েকটি চিত্রা হরিণ। দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন আসছে এসব চিত্রা হরিণ দেখতে। হরিণগুলো এক ব্যক্তির পোষা। তবে এরা দর্শনার্থী দেখেই ছুটে পালাতে চায়। কিন্তু বারবার বেড়ায় আটকে যায়। তবে পালানোর পথ নেই বুঝতে পেরে থমকে দাঁড়ায়। সবিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে দর্শনার্থীদের দিকে। ঠিক যেমন বিস্ময়-বিস্ফারিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা চিত্রা হরিণ একসময় দেখা যেত আমাদের এক টাকার নোটে। মালিকের কড়া নিষেধের কারণে কেউ এই পোষা হরিণগুলোকে কষ্ট দিতে পারে না বটে। কিন্তু এদের বিস্ময়ের ঘোর কাটে না। পুরো শরীরে সাদা ছোপ ছোপ দাগ। অনিন্দ্য সুন্দর এ হরিণকে উপমহাদেশের হরিণ প্রজাতির মধ্যে সুন্দর প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অনেকেই বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় দেখে থাকবেন চিত্রা হরিণ। চিড়িয়াখানায় অনেক প্রাণীর আবাস হলেও উত্তরবঙ্গে হরিণের খামার এর আগে ছিল বলে শোনা যায় না। কিন্তু এবার এক শৌখিন মানুষের করা চিত্রা হরিণের খামার দেখা গেল বোচাগঞ্জে।
বোচাগঞ্জের জহুরা অটোমেটিক রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী আবদুল হান্নান শখের বসে নিজের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন হরিণের খামার। ঐতিহাসিক রামসাগর জাতীয় উদ্যান ও বরিশালে এক বন্ধুর বাসায় হরিণের খামার দেখেছিলেন হান্নান। সে খামার দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি বন বিভাগের অনুমোদন নিয়ে গড়ে তোলেন নিজের হরিণের খামারটি। প্রায় চার বছর আগে একটি নারী ও একটি পুরুষ চিত্রা হরিণ দিয়ে শুরু হয় এই খামারের পথচলা। পরবর্তী সময়ে খামারের হরিণ দম্পতি দুটি শাবকের জন্ম দেয়। শত ব্যস্ততার মধ্যেও হান্নান তাঁর খামারে পরম যত্নে মোট ছয়টি চিত্রা হরিণ লালন-পালন করছেন। তিনি মনে করেন, এই হরিণের সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।
সম্প্রতি কথা হয় খামারি আবদুল হান্নানের সঙ্গে। তিনি বলেন, নিতান্ত শখের বশে হরিণ পুষতে শুরু করেন। তবে এখন কেমন মায়া পড়ে গেছে। হরিণগুলোর দিকে তাকালে তাঁর মন ভরে যায়। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন, হরিণগুলোর যাতে কোনো সমস্যা না হয়। তিনি আরও বলেন, হরিণ সাধারণত ১৬ মাসে ৩ বার বাচ্চা দেয়। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সমস্যা হয়নি তাঁর খামারের হরিণগুলোর। এই খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয় দুই যুবকের। মূলত তাঁরাই হরিণগুলোর দেখাশোনা করেন। শাক, পাতা, ঘাস ও দেশি লতাপাতাই চিত্রা হরিণের প্রিয় খাবার। এই দুই যুবক এসব খাদ্য সংগ্রহ করেন। তাঁরা বেশ দায়িত্ব নিয়ে হরিণগুলোর যত্ন নেন। হরিণগুলো খুব ভীরু স্বভাবের। তাই এই যুবকেরা চেষ্টা করেন কেউ যেন হরিণের সৌন্দর্য দেখতে এসে এদের উপদ্রব না করেন। এ ছাড়া রোগবালাই থেকে হরিণগুলো রক্ষায় নিয়মিত প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয় বলেও জানান আবদুল হান্নান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হরিণের এই খামার দেখতে আজকাল অনেকেই ভিড় করছেন। কারণ, চিড়িয়াখানা ছাড়া এই চিত্রা হরিণের দেখা সচরাচর মেলে না। রংপুর চিড়িয়াখানা এবং দিনাজপুরের রামসাগর ছাড়া এ অঞ্চলে আর কোনো চিড়িয়াখানা নেই। তাই হান্নানের খামারের হরিণ দেখতে আসা লোকজন অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। এত কাছে থেকে হরিণ দেখতে পেয়ে তাঁদের চোখেমুখে বিস্ময় আর ধরে না।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে