সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
শুষ্ক মৌসুমেও সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই থেকে চরসলিমাবাদ ভূতের মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। এলাকাবাসীর দাবি, সাত দিনে ভাঙনের কবলে পড়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমিসহ অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বলেছেন, চৌহালীতে ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প জমা দেওয়া আছে মন্ত্রণালয়ে। প্রকল্পটি পাস হলে কাজ শুরু করা হবে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে চৌহালীবাসী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও এখনো দেখা মেলেনি স্থায়ী বাঁধের। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে চৌহালী নদীভাঙনের কবলে থাকলেও সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে চৌহালী ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এখনো স্থায়ী সমাধান না মিললে আবারও গৃহ হারাবে হাজারো মানুষ।
এদিকে, হুমকির মুখে রয়েছে বিনাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সম্ভুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সম্ভুদিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, বাঘুটিয়া কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সম্ভুদিয়া আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসা, মঞ্জুর কাদের কলেজ সম্ভুদিয়া, বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, পয়লা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, চৌবারিয়া বিএম কলেজসহ ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই গ্রামের জসিম উদ্দিন জানান, চৌহালীতে নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে নেই কোনো উদ্যোগ। দীর্ঘ এক যুগ ধরে নদীভাঙন চললেও, গত তিন বছরে খণ্ড খণ্ড পরিকল্পনায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে যুগোপযোগী পরিকল্পনার অভাবেই বারবার ভাঙনের কবলে পড়ছে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল।
একই গ্রামের জব্বার আলী বলেন, অসময়ে যমুনার তাণ্ডব শুরু হয়েছে; কিন্তু ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ঘরবাড়ি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকে ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। দ্রুত নদীভাঙনে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তা না হলে চৌহালী উপজেলা রক্ষা করা কঠিন হবে।
চরসলিমাবাদ গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ৬০ বছর বয়সে পৌষ মাসে নদীভাঙন কখনো দেখিনাই। এখন ঘরবাড়ি নিয়ে কোথায় যাব তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নাই। আমাদের এলাকার অবশিষ্ট অংশটুকু বাঁধ দিয়ে রক্ষা করা হলে নদীর পাড়ে আমরা বাস করতে পারতাম।’
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (বেলকুচি-চৌহালী অংশ) মিল্টন হোসেন বলেন, ‘চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকায় কিছুটা নদীভাঙন আছে। ভাঙন এলাকায় লোক পাঠানো হয়েছে। এ এলাকার ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প দেওয়া আছে মন্ত্রণালয়ে। প্রকল্পটি অচিরেই পাস হবে। এ কাজের জন্য আমি এখন ঢাকায় অবস্থান করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যেই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য নতুন পরিকল্পনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়ছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
শুষ্ক মৌসুমেও সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই থেকে চরসলিমাবাদ ভূতের মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। এলাকাবাসীর দাবি, সাত দিনে ভাঙনের কবলে পড়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমিসহ অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বলেছেন, চৌহালীতে ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প জমা দেওয়া আছে মন্ত্রণালয়ে। প্রকল্পটি পাস হলে কাজ শুরু করা হবে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে চৌহালীবাসী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও এখনো দেখা মেলেনি স্থায়ী বাঁধের। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে চৌহালী নদীভাঙনের কবলে থাকলেও সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে চৌহালী ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এখনো স্থায়ী সমাধান না মিললে আবারও গৃহ হারাবে হাজারো মানুষ।
এদিকে, হুমকির মুখে রয়েছে বিনাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সম্ভুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সম্ভুদিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, বাঘুটিয়া কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সম্ভুদিয়া আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসা, মঞ্জুর কাদের কলেজ সম্ভুদিয়া, বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, পয়লা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, চৌবারিয়া বিএম কলেজসহ ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই গ্রামের জসিম উদ্দিন জানান, চৌহালীতে নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে নেই কোনো উদ্যোগ। দীর্ঘ এক যুগ ধরে নদীভাঙন চললেও, গত তিন বছরে খণ্ড খণ্ড পরিকল্পনায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে যুগোপযোগী পরিকল্পনার অভাবেই বারবার ভাঙনের কবলে পড়ছে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল।
একই গ্রামের জব্বার আলী বলেন, অসময়ে যমুনার তাণ্ডব শুরু হয়েছে; কিন্তু ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ঘরবাড়ি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকে ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। দ্রুত নদীভাঙনে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তা না হলে চৌহালী উপজেলা রক্ষা করা কঠিন হবে।
চরসলিমাবাদ গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ৬০ বছর বয়সে পৌষ মাসে নদীভাঙন কখনো দেখিনাই। এখন ঘরবাড়ি নিয়ে কোথায় যাব তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নাই। আমাদের এলাকার অবশিষ্ট অংশটুকু বাঁধ দিয়ে রক্ষা করা হলে নদীর পাড়ে আমরা বাস করতে পারতাম।’
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (বেলকুচি-চৌহালী অংশ) মিল্টন হোসেন বলেন, ‘চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকায় কিছুটা নদীভাঙন আছে। ভাঙন এলাকায় লোক পাঠানো হয়েছে। এ এলাকার ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প দেওয়া আছে মন্ত্রণালয়ে। প্রকল্পটি অচিরেই পাস হবে। এ কাজের জন্য আমি এখন ঢাকায় অবস্থান করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যেই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য নতুন পরিকল্পনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়ছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে