নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চার মাসেও সংস্কার হয়নি একটি সেতুর ভেঙে যাওয়া সংযোগ সড়ক। ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতুতে উঠতে হলে এখন বাঁশের সাঁকোই ভরসা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আট গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
অভিযোগ রয়েছে, সেতুটির নিচে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে পানির প্রবাহ বন্ধ করায় চলতি বছরের জুলাইয়ে এই সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নের তন্তর কান্দাপাড়া মাদ্রাসা মোড় থেকে কালাকুমা যাওয়ার পথে ইরফান আলীর বাড়ি এলাকায় এলজিইডি ১৯৯৯ সালে একটি সেতু নির্মাণ করে। তিন বছর আগে স্থানীয় কৃষক ইরফান আলী ওই সেতুর নিচে ১০ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনি দিয়ে ছয় ফুট উচ্চতার স্থায়ী বাঁধ দেন। এতে তন্তর বিলের প্রায় ৩৬০ একর জমির পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এবারের বর্ষায় উজানে নেমে আসা পানির চাপে গত ২৫ জুলাই সেতুর সংযোগ সড়কের প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট ভেঙে যায়।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সেতুতে ওঠার জন্য বাঁশের সাঁকো বানিয়ে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সেতু দিয়ে তন্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালাকুমা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। এ ছাড়া কালাকুমা, তন্তর, বেলতৈল, মণ্ডলিয়াপাড়া, ঘাকপাড়া, পিঠাপুনি, ফুলপুরসহ আটটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলের সহজ মাধ্যম এই সেতু। সেতুর সংযোগ সড়কে ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় চার কিলোমিটার ঘুরে পাশের চারআলী ও বৈশাখী বাজার এলাকায় যেতে হয়। ফলে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
তন্তর গ্রামের দিনমজুর মজিবুর রহমান (৪৮) বলেন, ‘বাঁশের সাঁকো দিয়া জীবনের ঝুঁকি লইয়া সেতুতে ওঠা লাগে। পুলাপানগরে স্কুলে পাঠাইতেও ভয় লাগে। তাড়াতাড়ি রাস্তাটা ঠিক হইয়া গেলে খুব উপকার হইতো।’
অটোচালক আজিজুল ইসলাম (৩২) বলেন, ‘সেতু পার হইলেই আমার বাড়ি। আগে তো অটো বাসায় লইয়া যাইতামগা। অহন চার কিলোমিটার ঘুইরা বাসা থাইক্কা অটো বাইর করি। আবার চার কিলো ঘুইরা রাতে বাসায় অটো লইয়া যাই। সড়ক ভাইঙ্গা যাওয়ায় খুব কষ্টে আছি।’
শিক্ষার্থী আবু হানিফ বলেন, ‘বাসা থেকে সাইকেল চালাইয়া সেতু পর্যন্ত আসি। পরে সাইকেল কাঁধে লইয়া এই সাঁকো পার হইয়া স্কুলে যাই। খুব ভয় করে, যদি পইড়া যাই তাইলে তো হাত-পা ভাঙব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইরফান আলী বলেন, ‘ওখানে আমার নিজেরও জমি আছে। এইদিকে বেশি নিচু থাকায় জমির সব পানি নেমে যায়। তাই আমি বাঁধ দিছিলাম, যেন ওই জমিগুলাতে সব সময় পানি থাকে। কিন্তু এখন বেশি পানি হইয়া সড়কটাই ভেঙে গেছে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা বলেন, ওই সেতুসংলগ্ন সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকো বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সড়ক মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। আর সেতুর নিচে ইট দিয়ে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে, তা-ও ভেঙে দেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল আলম রাকিব বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। খুব শিগগির সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চার মাসেও সংস্কার হয়নি একটি সেতুর ভেঙে যাওয়া সংযোগ সড়ক। ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতুতে উঠতে হলে এখন বাঁশের সাঁকোই ভরসা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আট গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
অভিযোগ রয়েছে, সেতুটির নিচে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে পানির প্রবাহ বন্ধ করায় চলতি বছরের জুলাইয়ে এই সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নের তন্তর কান্দাপাড়া মাদ্রাসা মোড় থেকে কালাকুমা যাওয়ার পথে ইরফান আলীর বাড়ি এলাকায় এলজিইডি ১৯৯৯ সালে একটি সেতু নির্মাণ করে। তিন বছর আগে স্থানীয় কৃষক ইরফান আলী ওই সেতুর নিচে ১০ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনি দিয়ে ছয় ফুট উচ্চতার স্থায়ী বাঁধ দেন। এতে তন্তর বিলের প্রায় ৩৬০ একর জমির পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এবারের বর্ষায় উজানে নেমে আসা পানির চাপে গত ২৫ জুলাই সেতুর সংযোগ সড়কের প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট ভেঙে যায়।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সেতুতে ওঠার জন্য বাঁশের সাঁকো বানিয়ে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সেতু দিয়ে তন্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালাকুমা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। এ ছাড়া কালাকুমা, তন্তর, বেলতৈল, মণ্ডলিয়াপাড়া, ঘাকপাড়া, পিঠাপুনি, ফুলপুরসহ আটটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলের সহজ মাধ্যম এই সেতু। সেতুর সংযোগ সড়কে ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় চার কিলোমিটার ঘুরে পাশের চারআলী ও বৈশাখী বাজার এলাকায় যেতে হয়। ফলে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
তন্তর গ্রামের দিনমজুর মজিবুর রহমান (৪৮) বলেন, ‘বাঁশের সাঁকো দিয়া জীবনের ঝুঁকি লইয়া সেতুতে ওঠা লাগে। পুলাপানগরে স্কুলে পাঠাইতেও ভয় লাগে। তাড়াতাড়ি রাস্তাটা ঠিক হইয়া গেলে খুব উপকার হইতো।’
অটোচালক আজিজুল ইসলাম (৩২) বলেন, ‘সেতু পার হইলেই আমার বাড়ি। আগে তো অটো বাসায় লইয়া যাইতামগা। অহন চার কিলোমিটার ঘুইরা বাসা থাইক্কা অটো বাইর করি। আবার চার কিলো ঘুইরা রাতে বাসায় অটো লইয়া যাই। সড়ক ভাইঙ্গা যাওয়ায় খুব কষ্টে আছি।’
শিক্ষার্থী আবু হানিফ বলেন, ‘বাসা থেকে সাইকেল চালাইয়া সেতু পর্যন্ত আসি। পরে সাইকেল কাঁধে লইয়া এই সাঁকো পার হইয়া স্কুলে যাই। খুব ভয় করে, যদি পইড়া যাই তাইলে তো হাত-পা ভাঙব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইরফান আলী বলেন, ‘ওখানে আমার নিজেরও জমি আছে। এইদিকে বেশি নিচু থাকায় জমির সব পানি নেমে যায়। তাই আমি বাঁধ দিছিলাম, যেন ওই জমিগুলাতে সব সময় পানি থাকে। কিন্তু এখন বেশি পানি হইয়া সড়কটাই ভেঙে গেছে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা বলেন, ওই সেতুসংলগ্ন সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকো বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সড়ক মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। আর সেতুর নিচে ইট দিয়ে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে, তা-ও ভেঙে দেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল আলম রাকিব বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। খুব শিগগির সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে