ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
চলতি মৌসুমে পাটের ফলন ভালো হলেও পানির অভাবে ঠিকমতো জাগ দিতে পারেননি কৃষকেরা। এতে পাটের আঁশ কালচে হয়ে গেছে। এসব পাট বাজারে বিক্রি করতে এসে ভাল দাম পাচ্ছেন না তাঁরা। গুনতে হচ্ছে লোকসান।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাট বিক্রি করতে এসে দাম না পেয়ে খরচের টাকা তোলাই এখন চাষিদের লক্ষ্য। এ নিয়ে চাষিদের মধ্যে হতাশা দেখা গেছে।
গতকাল বুধবার মাগুরা নতুনবাজারের পাশের পাইকারি পাটের হাটে সদরের আঠারখাদা থেকে পাট বিক্রি করতে আসেন কৃষক শুকুর মিয়া। তিনি ভ্যানে করে পাট নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তাঁর পাট কেউ কিনছেন না। পাইকাররা বলছেন, ‘এই পাট কেনার মতো নয়। সব পাট নষ্ট হয়ে গেছে।’
কৃষক শুকুর মিয়া জানান, পাট মাঠ থেকে কাটার পর পানির অভাবে ঠিকমতো জাগ দিতে পারেননি। পরে বাড়ির পাশে একটা গর্ত খুঁড়ে তাতে টিউবওয়েলের পানিতে ১৫ দিন ভিজিয়ে রেখেছিলেন। এখন পাটের আঁশ তুলে রোদে শুকিয়ে বাজারে এনে দেখেন, তাঁর পাট কেউ নিতে চাইছেন না।
অপর কৃষক খাইরুল বিশ্বাস সদরের মঘী ইউনিয়ন থেকে পাট এনে এখানে বিক্রি করেছেন ৫ মণ। তিনি বলেন, ‘হিসাব ছিল প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৬০০ টাকা করে পাব। কিন্তু পাটের মান খারাপ হওয়ায় ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছি। এখন খরচ ওঠানোই দায় হয়ে গেছে।’
খাইরুল বিশ্বাস আরও জানান, এবার অনাবৃষ্টির কারণে ঠিকমতো পাট জাগ দিতে পারেননি। শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে পানির সেচ দিতে হয়েছে। টানা ২০ দিন সেচখরচ প্রতি মণে ২০০ টাকা, শ্রমিকখরচ ৭০০ টাকা করে পড়েছে। এ ছাড়া পাটের আঁশ ছাড়ানো থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজে শ্রমিক লেগেছে। এতে কৃষকদের হাতে নিজের শ্রমের টাকাও থাকবে না।
পাট ব্যবসায়ী ইমন হোসেন বলেন, ‘সোনালি রঙের পাটের চাহিদা বেশি। কিন্তু এবার যে পাট বাজারে আসছে তার বেশির ভাগই কালচে। এ জন্য আমরাও বিপাকে পড়েছি। কারণ, ভালো পাট এবার শত ভাগের মধ্যে ৫ ভাগ পাচ্ছি। এতে নিম্নমানের এসব পাট কিনতে হচ্ছে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে।’
মাগুরা পাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালাম জানান, এবার অনাবৃষ্টির কারণে পাট চাষের প্রথম থেকেই কৃষকদের খুব বেগ পেতে হয়েছে। পাট কাটার পর জলাশয়ে পানি না থাকায় ভালো করে পাট জাগ দেওয়া যায়নি। ফলে আমাদের কাছে যেসব পাট আসছে তার মান খুবই খারাপ। এসব পাট মান বুঝে প্রতি মণ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, ‘এবার বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে পাট নিয়ে কৃষকেরা খুব বিপদের মধ্যে আছেন। জাগ দেওয়ার মতো পানি খালবিলে তেমন নেই। ফলে অনেকে সেচ দিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। এটা খুবই ব্যয়বহুল। আমরা পরামর্শ দিয়েছি, পাট ফেলে না রেখে এভাবে সেচ দিয়ে হলেও যেন পাট জাগ দেওয়া হয়।’
রফিকুজ্জামান আরও বলেন, জেলায় ৯০ শতাংশ পাট কাটা হয়ে গেছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার ৮৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ। হয়েছে ৩৬ হাজার ৯৩০ হাজার হেক্টর জমিতে। তবে পাটের মান নির্ভর করে অনেকটাই জাগ দেওয়ার ওপর। যত পানি থাকবে ততটাই পাটের সোনালি রং ফুটে উঠবে। এবার পানির স্বল্পতার কারণে আঁশে ভালো রঙ আসেনি। তাই মানসম্মত পাট এবার কমই দেখা যেতে পারে।
চলতি মৌসুমে পাটের ফলন ভালো হলেও পানির অভাবে ঠিকমতো জাগ দিতে পারেননি কৃষকেরা। এতে পাটের আঁশ কালচে হয়ে গেছে। এসব পাট বাজারে বিক্রি করতে এসে ভাল দাম পাচ্ছেন না তাঁরা। গুনতে হচ্ছে লোকসান।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাট বিক্রি করতে এসে দাম না পেয়ে খরচের টাকা তোলাই এখন চাষিদের লক্ষ্য। এ নিয়ে চাষিদের মধ্যে হতাশা দেখা গেছে।
গতকাল বুধবার মাগুরা নতুনবাজারের পাশের পাইকারি পাটের হাটে সদরের আঠারখাদা থেকে পাট বিক্রি করতে আসেন কৃষক শুকুর মিয়া। তিনি ভ্যানে করে পাট নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তাঁর পাট কেউ কিনছেন না। পাইকাররা বলছেন, ‘এই পাট কেনার মতো নয়। সব পাট নষ্ট হয়ে গেছে।’
কৃষক শুকুর মিয়া জানান, পাট মাঠ থেকে কাটার পর পানির অভাবে ঠিকমতো জাগ দিতে পারেননি। পরে বাড়ির পাশে একটা গর্ত খুঁড়ে তাতে টিউবওয়েলের পানিতে ১৫ দিন ভিজিয়ে রেখেছিলেন। এখন পাটের আঁশ তুলে রোদে শুকিয়ে বাজারে এনে দেখেন, তাঁর পাট কেউ নিতে চাইছেন না।
অপর কৃষক খাইরুল বিশ্বাস সদরের মঘী ইউনিয়ন থেকে পাট এনে এখানে বিক্রি করেছেন ৫ মণ। তিনি বলেন, ‘হিসাব ছিল প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৬০০ টাকা করে পাব। কিন্তু পাটের মান খারাপ হওয়ায় ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছি। এখন খরচ ওঠানোই দায় হয়ে গেছে।’
খাইরুল বিশ্বাস আরও জানান, এবার অনাবৃষ্টির কারণে ঠিকমতো পাট জাগ দিতে পারেননি। শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে পানির সেচ দিতে হয়েছে। টানা ২০ দিন সেচখরচ প্রতি মণে ২০০ টাকা, শ্রমিকখরচ ৭০০ টাকা করে পড়েছে। এ ছাড়া পাটের আঁশ ছাড়ানো থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজে শ্রমিক লেগেছে। এতে কৃষকদের হাতে নিজের শ্রমের টাকাও থাকবে না।
পাট ব্যবসায়ী ইমন হোসেন বলেন, ‘সোনালি রঙের পাটের চাহিদা বেশি। কিন্তু এবার যে পাট বাজারে আসছে তার বেশির ভাগই কালচে। এ জন্য আমরাও বিপাকে পড়েছি। কারণ, ভালো পাট এবার শত ভাগের মধ্যে ৫ ভাগ পাচ্ছি। এতে নিম্নমানের এসব পাট কিনতে হচ্ছে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে।’
মাগুরা পাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালাম জানান, এবার অনাবৃষ্টির কারণে পাট চাষের প্রথম থেকেই কৃষকদের খুব বেগ পেতে হয়েছে। পাট কাটার পর জলাশয়ে পানি না থাকায় ভালো করে পাট জাগ দেওয়া যায়নি। ফলে আমাদের কাছে যেসব পাট আসছে তার মান খুবই খারাপ। এসব পাট মান বুঝে প্রতি মণ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, ‘এবার বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে পাট নিয়ে কৃষকেরা খুব বিপদের মধ্যে আছেন। জাগ দেওয়ার মতো পানি খালবিলে তেমন নেই। ফলে অনেকে সেচ দিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। এটা খুবই ব্যয়বহুল। আমরা পরামর্শ দিয়েছি, পাট ফেলে না রেখে এভাবে সেচ দিয়ে হলেও যেন পাট জাগ দেওয়া হয়।’
রফিকুজ্জামান আরও বলেন, জেলায় ৯০ শতাংশ পাট কাটা হয়ে গেছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার ৮৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ। হয়েছে ৩৬ হাজার ৯৩০ হাজার হেক্টর জমিতে। তবে পাটের মান নির্ভর করে অনেকটাই জাগ দেওয়ার ওপর। যত পানি থাকবে ততটাই পাটের সোনালি রং ফুটে উঠবে। এবার পানির স্বল্পতার কারণে আঁশে ভালো রঙ আসেনি। তাই মানসম্মত পাট এবার কমই দেখা যেতে পারে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে