সম্পাদকীয়
এটা স্বীকার করতেই হবে যে আমাদের রাজনীতিতে নানা ধরনের সমস্যা আছে। রাজনীতির অসুস্থ ধারার প্রভাব লক্ষ করা যায় দলের শৃঙ্খলার ক্ষেত্রেও। একটি রাজনৈতিক দল পরিচালিত হয় দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক কাঠামোর মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত পালন করা নিচের সব কমিটির জন্য বাধ্যতামূলক। এখানে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে দলের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে, দলের মধ্যে কলহ-কোন্দল দেখা দেয়। নিয়মিত দলের সম্মেলন না করা, কমিটি গঠনে গণতান্ত্রিক রীতি না মানার কারণে দেশের বড় দলগুলোর মধ্যে ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়ার লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের মন্ত্রী ও এমপির স্বজনেরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এই সিদ্ধান্ত না মানার ঘটনাও ঘটছে। আবার বিএনপির সিদ্ধান্ত হলো উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়া। কিন্তু বিএনপির কমপক্ষে ৩৮ জন প্রার্থী এই সিদ্ধান্ত না মেনে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করা আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংকটের একটি। বড় দলগুলোতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি দিন দিন বাড়ছে।
দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য এবং নিকটাত্মীয়দের প্রার্থী না হওয়ার যে নির্দেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে, তা না মানার খবরই পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। যাঁরা এরই মধ্যে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদেরও নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু দলের এই নির্দেশনা উপেক্ষা করছেন অনেকেই।
আজকের পত্রিকায় ২২ এপ্রিল ‘এমপিদের ৪৭ স্বজন প্রার্থী’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মানার তথ্য উঠে এসেছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরও ২০ উপজেলায় ২৯ জন প্রার্থীর খোঁজ পাওয়া গেছে, যাঁরা স্থানীয় এমপির স্বজন ও নিকটাত্মীয়। এ ছাড়া তফসিল হয়নি এমন বেশ কিছু উপজেলায় এমপিদের আরও ২৬ জন আত্মীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগসহ নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বজনদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে এরই মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখিও হয়েছেন কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি।
দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মানা না হলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও সেটা পালনে কঠোরতা দেখানোর নজির নেই। আগে যাঁরা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আবার ক্ষমা করে দলে ফিরিয়ে নেওয়ায়, এটা মনে করা হয়, শৃঙ্খলার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ যত গর্জে তত বর্ষে না।
এবারও বলা হচ্ছে, যেসব এমপি-মন্ত্রী দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিজের স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনের মাঠে রাখবেন, তাঁরা ভবিষ্যতে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। দল তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। আগামী নির্বাচনে তাঁদের মনোনয়নও হুমকির মুখে পড়তে পারে। কিন্তু সত্যি সত্যি এমন অবস্থা হবে, সেটা অনেকেই মনে করেন না। সিদ্ধান্ত অমান্য করলে শাস্তির বিষয়ে আগে সব সময়ই নমনীয়তা দেখানো হয়েছে।
এটা স্বীকার করতেই হবে যে আমাদের রাজনীতিতে নানা ধরনের সমস্যা আছে। রাজনীতির অসুস্থ ধারার প্রভাব লক্ষ করা যায় দলের শৃঙ্খলার ক্ষেত্রেও। একটি রাজনৈতিক দল পরিচালিত হয় দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক কাঠামোর মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত পালন করা নিচের সব কমিটির জন্য বাধ্যতামূলক। এখানে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে দলের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে, দলের মধ্যে কলহ-কোন্দল দেখা দেয়। নিয়মিত দলের সম্মেলন না করা, কমিটি গঠনে গণতান্ত্রিক রীতি না মানার কারণে দেশের বড় দলগুলোর মধ্যে ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়ার লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের মন্ত্রী ও এমপির স্বজনেরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এই সিদ্ধান্ত না মানার ঘটনাও ঘটছে। আবার বিএনপির সিদ্ধান্ত হলো উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়া। কিন্তু বিএনপির কমপক্ষে ৩৮ জন প্রার্থী এই সিদ্ধান্ত না মেনে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করা আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংকটের একটি। বড় দলগুলোতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি দিন দিন বাড়ছে।
দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য এবং নিকটাত্মীয়দের প্রার্থী না হওয়ার যে নির্দেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে, তা না মানার খবরই পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। যাঁরা এরই মধ্যে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদেরও নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু দলের এই নির্দেশনা উপেক্ষা করছেন অনেকেই।
আজকের পত্রিকায় ২২ এপ্রিল ‘এমপিদের ৪৭ স্বজন প্রার্থী’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মানার তথ্য উঠে এসেছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরও ২০ উপজেলায় ২৯ জন প্রার্থীর খোঁজ পাওয়া গেছে, যাঁরা স্থানীয় এমপির স্বজন ও নিকটাত্মীয়। এ ছাড়া তফসিল হয়নি এমন বেশ কিছু উপজেলায় এমপিদের আরও ২৬ জন আত্মীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগসহ নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বজনদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে এরই মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখিও হয়েছেন কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি।
দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মানা না হলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও সেটা পালনে কঠোরতা দেখানোর নজির নেই। আগে যাঁরা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আবার ক্ষমা করে দলে ফিরিয়ে নেওয়ায়, এটা মনে করা হয়, শৃঙ্খলার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ যত গর্জে তত বর্ষে না।
এবারও বলা হচ্ছে, যেসব এমপি-মন্ত্রী দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিজের স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনের মাঠে রাখবেন, তাঁরা ভবিষ্যতে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। দল তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। আগামী নির্বাচনে তাঁদের মনোনয়নও হুমকির মুখে পড়তে পারে। কিন্তু সত্যি সত্যি এমন অবস্থা হবে, সেটা অনেকেই মনে করেন না। সিদ্ধান্ত অমান্য করলে শাস্তির বিষয়ে আগে সব সময়ই নমনীয়তা দেখানো হয়েছে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে