বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
যুগে যুগে শিক্ষার্থীদের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অনেক দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। বিভিন্ন দাবিতে সরব হয়েছে শিক্ষার্থীরা, ফলে তাদের ওপর নেমে এসেছে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা জয়ী হয়েছে, কখনো পরাজিত। তবে শেষ পর্যন্ত ছাত্রদের প্রতিটি আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ইতিহাসের বাঁকবদলে। অধিকার আদায়ে ছাত্রদের আন্দোলন, প্রতিবাদ উঠে এসেছে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে।
দ্য স্ট্রবেরি স্টেটমেন্ট (১৯৭০)
ষাটের দশকের এক ছাত্র আন্দোলনের ঘটনা নিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছেন আমেরিকান পরিচালক স্টুয়ার্ট হ্যাগম্যান। অভিনয়ে ব্রুস ডেভিসন, কিম ডারবি, বার্ড কোর্ট প্রমুখ। সিনেমার গল্পে দেখা যায়, ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে ছাত্ররা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্কের বিরুদ্ধেও ফুঁসে ওঠে তারা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন আরও ঘনীভূত হয়, যখন তাদেরকে দমন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করে।
দ্য রেভল্যুশনারি (১৯৭০)
পল উইলিয়ামস পরিচালিত দ্য রেভল্যুশনারি সিনেমার কেন্দ্রে আছে ‘এ’ নামের এক ছাত্র। এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জন ভইট। বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। প্রেমিকা তাকে ছেড়ে যায়। এরপর সে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দেয়। সরকারি বাহিনীর ব্যাপক দমন-পীড়নের ফলে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে হয় তাকে। তবু সে দমে যায় না। নতুনভাবে বিপ্লবীদের সংগঠিত করে ফিরে আসে।
১৯৮৭: হোয়েন দ্য ডে কামস (২০১৭)
১৯৮৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমাটি বানিয়েছেন জ্যান জুন-হো। অভিনয়ে কিম ইয়োন-সিওক, হা জং-উ, ইউ হে-জিন প্রমুখ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এক কলেজছাত্র মারা যায়। সরকারি কর্মকর্তারা খুব চেষ্টা করে এ মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে। মৃতদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে ছাত্র-জনতা।
সামথিং ইন দ্য এয়ার (২০১২)
ফরাসি নির্মাতা অলিভিয়ার অ্যাসায়াস পরিচালিত এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে ১৯৭১ সালের একটি ঘটনা। ফ্রান্সজুড়ে তখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে গিলস নামের এক শিক্ষার্থী। যদিও তার ইচ্ছা ছিল শিল্পী হওয়ার। তবে সময়ের প্রয়োজনে বিপ্লবীদের কাতারে নাম লেখায় গিলস।
দ্য স্কুল উই ওয়েন্ট টু (১৯৮০)
ইরানি নির্মাতা দারিয়ুশ মেহেরজুঁইয়ের এ সিনেমায় তিনি দেখিয়েছেন স্কুলশিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের চিত্র। স্কুলছাত্র কাভেহ কামালির নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী স্কুলে একটি মঞ্চনাটকের আয়োজন করে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রধান শিক্ষক তখন ছুটিতে, দায়িত্বে অন্য শিক্ষক। তিনি সব সময় শিক্ষার্থীদের স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা আদায়ের দিকেই বেশি মনোযোগী। ছাত্রদের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন ওই শিক্ষক, কাভেহকে শাস্তি দেওয়া হয়। এরপর ফুঁসে ওঠে শিক্ষার্থীরা।
ফাগুন হাওয়ায় (২০১৯)
এক মফস্বলের প্রেক্ষাপটে ভাষা আন্দোলনকে ধারণ করে সিনেমাটি বানিয়েছেন তৌকীর আহমেদ। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাসিরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী দীপ্তির চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা। তারা এলাকার সবাইকে একত্র করে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনে নামে। সরাসরি একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন না হলেও ছাত্রদের প্রতিবাদের ঐতিহাসিক গৌরবের কথা কিছুটা রূপকভাবে উঠে এসেছে এ সিনেমায়।
যুগে যুগে শিক্ষার্থীদের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অনেক দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। বিভিন্ন দাবিতে সরব হয়েছে শিক্ষার্থীরা, ফলে তাদের ওপর নেমে এসেছে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা জয়ী হয়েছে, কখনো পরাজিত। তবে শেষ পর্যন্ত ছাত্রদের প্রতিটি আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ইতিহাসের বাঁকবদলে। অধিকার আদায়ে ছাত্রদের আন্দোলন, প্রতিবাদ উঠে এসেছে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে।
দ্য স্ট্রবেরি স্টেটমেন্ট (১৯৭০)
ষাটের দশকের এক ছাত্র আন্দোলনের ঘটনা নিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছেন আমেরিকান পরিচালক স্টুয়ার্ট হ্যাগম্যান। অভিনয়ে ব্রুস ডেভিসন, কিম ডারবি, বার্ড কোর্ট প্রমুখ। সিনেমার গল্পে দেখা যায়, ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে ছাত্ররা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্কের বিরুদ্ধেও ফুঁসে ওঠে তারা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন আরও ঘনীভূত হয়, যখন তাদেরকে দমন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করে।
দ্য রেভল্যুশনারি (১৯৭০)
পল উইলিয়ামস পরিচালিত দ্য রেভল্যুশনারি সিনেমার কেন্দ্রে আছে ‘এ’ নামের এক ছাত্র। এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জন ভইট। বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। প্রেমিকা তাকে ছেড়ে যায়। এরপর সে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দেয়। সরকারি বাহিনীর ব্যাপক দমন-পীড়নের ফলে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে হয় তাকে। তবু সে দমে যায় না। নতুনভাবে বিপ্লবীদের সংগঠিত করে ফিরে আসে।
১৯৮৭: হোয়েন দ্য ডে কামস (২০১৭)
১৯৮৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমাটি বানিয়েছেন জ্যান জুন-হো। অভিনয়ে কিম ইয়োন-সিওক, হা জং-উ, ইউ হে-জিন প্রমুখ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এক কলেজছাত্র মারা যায়। সরকারি কর্মকর্তারা খুব চেষ্টা করে এ মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে। মৃতদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে ছাত্র-জনতা।
সামথিং ইন দ্য এয়ার (২০১২)
ফরাসি নির্মাতা অলিভিয়ার অ্যাসায়াস পরিচালিত এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে ১৯৭১ সালের একটি ঘটনা। ফ্রান্সজুড়ে তখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে গিলস নামের এক শিক্ষার্থী। যদিও তার ইচ্ছা ছিল শিল্পী হওয়ার। তবে সময়ের প্রয়োজনে বিপ্লবীদের কাতারে নাম লেখায় গিলস।
দ্য স্কুল উই ওয়েন্ট টু (১৯৮০)
ইরানি নির্মাতা দারিয়ুশ মেহেরজুঁইয়ের এ সিনেমায় তিনি দেখিয়েছেন স্কুলশিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের চিত্র। স্কুলছাত্র কাভেহ কামালির নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী স্কুলে একটি মঞ্চনাটকের আয়োজন করে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রধান শিক্ষক তখন ছুটিতে, দায়িত্বে অন্য শিক্ষক। তিনি সব সময় শিক্ষার্থীদের স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা আদায়ের দিকেই বেশি মনোযোগী। ছাত্রদের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন ওই শিক্ষক, কাভেহকে শাস্তি দেওয়া হয়। এরপর ফুঁসে ওঠে শিক্ষার্থীরা।
ফাগুন হাওয়ায় (২০১৯)
এক মফস্বলের প্রেক্ষাপটে ভাষা আন্দোলনকে ধারণ করে সিনেমাটি বানিয়েছেন তৌকীর আহমেদ। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাসিরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী দীপ্তির চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা। তারা এলাকার সবাইকে একত্র করে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনে নামে। সরাসরি একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন না হলেও ছাত্রদের প্রতিবাদের ঐতিহাসিক গৌরবের কথা কিছুটা রূপকভাবে উঠে এসেছে এ সিনেমায়।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে