সম্পাদকীয়
প্রযোজক হেমেন গঙ্গোপাধ্যায় এলেন পূর্ণেন্দু পত্রীর কাছে। বললেন, ‘পূর্ণেন্দু বাবু, আপনার সঙ্গে একটা ছবি করতে চাই।’
ঠিক হলো রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাস থেকে তৈরি হবে ছবি। সে ছবি করার বেলায় হেমেন গঙ্গোপাধ্যায় শুধু একটি শর্ত দিয়েছিলেন। ‘দামিনী’ চরিত্রটি করাতে হবে সুচিত্রা সেনকে দিয়ে।
পূর্ণেন্দু পত্রী এলেন সুচিত্রা সেনের বাড়ি। তার আগে নিজের বাড়িতে প্রজেক্টর আনিয়ে পূর্ণেন্দু পত্রীর ‘স্ত্রীর পত্র’ ছবিটা সুচিত্রা সেন দেখে নিয়েছিলেন। ভালো লেগেছিল তাঁর।
সুচিত্রা চতুরঙ্গের চিত্রনাট্য শুনতে চেয়েছিলেন। পূর্ণেন্দু পত্রী পড়ে শোনাচ্ছিলেন সেই চিত্রনাট্য। কিছুটা পড়ার পরই সুচিত্রা জানতে চাইলেন, ‘আচ্ছা, শচীশের সঙ্গে দামিনীর প্রথম আলাপের দৃশ্যটা আপনি কীভাবে ভেবেছেন?’
পূর্ণেন্দু পত্রী নিজের ভাবনার কথা বললেন। সুচিত্রা সেটা শুনে উত্তর দিলেন, ‘আর শোনাতে হবে না। আপনি তো একজন কবি, তাই দৃশ্যটা এভাবে ভাবতে পেরেছেন।’
ব্যস, আর কোনো সমস্যা রইল না।
বারুইপুরের জমিদারবাড়িতে রঞ্জিত মল্লিক, সুচিত্রা সেন, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে শুটিং শুরু হলো। এই ছবির জন্য সবাই খুব খেটেছিল। সুচিত্রা সেন রাজি ছিলেন বিধবা দামিনী সেজে থানকাপড় পরে এবং প্রায় নো মেকআপ লুকে কাজ করতে। আবার বিবাহিত দামিনীর হবে একেবারে রাজবেশ। অর্থাৎ, ছবিটির জন্য জীবন উজাড় করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
ক্ল্যাপস্টিক দেওয়ার সময় সুচিত্রা সেন বিশাল খোঁপা, এক গা গয়না নিয়ে হাজির হয়েছিলেন, কিন্তু ছবিটা আর হয়নি। এত ভালো গল্প, এত ভালো চিত্রনাট্য, এত ভালো ভালো অভিনয়শিল্পী, অথচ ছবিটা আর হলো না! আর এর জন্য দায়ী প্রযোজক হেমেন গঙ্গোপাধ্যায়।
শুটিং শুরুর আড়াই দিনের মাথায় হেমেন গঙ্গোপাধ্যায় আত্মহত্যা করেছিলেন। তাই বন্ধ হয়ে গেল ছবি। কী কারণে হঠাৎ তিনি জীবনের সঙ্গে সব লেনদেন মিটিয়ে ফেললেন, তা রহস্যই হয়ে রইল। সুচিত্রা সেনের আর দামিনী হওয়া হলো না।
সূত্র: উমা পত্রী, আনন্দলোক, ২৭ জানুয়ারি ২০১৪
প্রযোজক হেমেন গঙ্গোপাধ্যায় এলেন পূর্ণেন্দু পত্রীর কাছে। বললেন, ‘পূর্ণেন্দু বাবু, আপনার সঙ্গে একটা ছবি করতে চাই।’
ঠিক হলো রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাস থেকে তৈরি হবে ছবি। সে ছবি করার বেলায় হেমেন গঙ্গোপাধ্যায় শুধু একটি শর্ত দিয়েছিলেন। ‘দামিনী’ চরিত্রটি করাতে হবে সুচিত্রা সেনকে দিয়ে।
পূর্ণেন্দু পত্রী এলেন সুচিত্রা সেনের বাড়ি। তার আগে নিজের বাড়িতে প্রজেক্টর আনিয়ে পূর্ণেন্দু পত্রীর ‘স্ত্রীর পত্র’ ছবিটা সুচিত্রা সেন দেখে নিয়েছিলেন। ভালো লেগেছিল তাঁর।
সুচিত্রা চতুরঙ্গের চিত্রনাট্য শুনতে চেয়েছিলেন। পূর্ণেন্দু পত্রী পড়ে শোনাচ্ছিলেন সেই চিত্রনাট্য। কিছুটা পড়ার পরই সুচিত্রা জানতে চাইলেন, ‘আচ্ছা, শচীশের সঙ্গে দামিনীর প্রথম আলাপের দৃশ্যটা আপনি কীভাবে ভেবেছেন?’
পূর্ণেন্দু পত্রী নিজের ভাবনার কথা বললেন। সুচিত্রা সেটা শুনে উত্তর দিলেন, ‘আর শোনাতে হবে না। আপনি তো একজন কবি, তাই দৃশ্যটা এভাবে ভাবতে পেরেছেন।’
ব্যস, আর কোনো সমস্যা রইল না।
বারুইপুরের জমিদারবাড়িতে রঞ্জিত মল্লিক, সুচিত্রা সেন, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে শুটিং শুরু হলো। এই ছবির জন্য সবাই খুব খেটেছিল। সুচিত্রা সেন রাজি ছিলেন বিধবা দামিনী সেজে থানকাপড় পরে এবং প্রায় নো মেকআপ লুকে কাজ করতে। আবার বিবাহিত দামিনীর হবে একেবারে রাজবেশ। অর্থাৎ, ছবিটির জন্য জীবন উজাড় করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
ক্ল্যাপস্টিক দেওয়ার সময় সুচিত্রা সেন বিশাল খোঁপা, এক গা গয়না নিয়ে হাজির হয়েছিলেন, কিন্তু ছবিটা আর হয়নি। এত ভালো গল্প, এত ভালো চিত্রনাট্য, এত ভালো ভালো অভিনয়শিল্পী, অথচ ছবিটা আর হলো না! আর এর জন্য দায়ী প্রযোজক হেমেন গঙ্গোপাধ্যায়।
শুটিং শুরুর আড়াই দিনের মাথায় হেমেন গঙ্গোপাধ্যায় আত্মহত্যা করেছিলেন। তাই বন্ধ হয়ে গেল ছবি। কী কারণে হঠাৎ তিনি জীবনের সঙ্গে সব লেনদেন মিটিয়ে ফেললেন, তা রহস্যই হয়ে রইল। সুচিত্রা সেনের আর দামিনী হওয়া হলো না।
সূত্র: উমা পত্রী, আনন্দলোক, ২৭ জানুয়ারি ২০১৪
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে