রেজা করিম, ঢাকা
নির্বাচন এলেই আলোচনায় সরগরম হয়ে ওঠে জাতীয় পার্টি (জাপা), শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবদ্দশায় বিগত নির্বাচনগুলোতে এমনটাই হতে দেখা গেছে। এখন এরশাদ নেই। কিন্তু নাটকীয়তা থেকে বের হতে পারেনি তাঁর দল। দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সাম্প্রতিক তৎপরতায় আবারও সেই পুরোনো নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে জাপায়।
এ নিয়ে দলটির সূত্রগুলো বলছে, আসলে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে কোনো পক্ষেরই আপত্তি নেই, যা কিছু ঘটছে সবই নির্বাচনকে ঘিরে নিজ নিজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য। জি এম কাদের একক কর্তৃত্বে নির্বাচনের বিষয়ে সব কাজ করতে চান। কিন্তু কাদেরের কাছে হার মেনে গুরুত্বহীন হতে চান না রওশনপন্থীরা। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই পক্ষের নেতারা।
১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নেবে কি না সেই তথ্য জানতে চেয়ে নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে চিঠি পাঠায় ইসি। চিঠির জবাবে আওয়ামী লীগসহ ১০টি দল ইসিতে জোটের বিষয়ে অবস্থান জানিয়ে ইসিতে চিঠি দিয়েছে। তবে জাপা দিয়েছে দুটি পৃথক চিঠি।
রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলা হলেও জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর চিঠিতে দলগতভাবে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। পরে অবশ্য ইসিতে চিঠি পাঠানোর কথা জানতেন না বলে গণমাধ্যমকে জানান রওশন এরশাদ। রওশনের চিঠি নিয়ে তাঁর বলয়েরই অনেক নেতা বলছেন যে অতি উৎসাহী কেউ কেউ ভুলভাল বুঝিয়ে রওশনকে দিয়ে ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন। এই আলোচনার মধ্যেই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছেন রওশন এরশাদ। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা ও রওশনপুত্র রাহগীর এরশাদও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পরে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।
বৈঠক প্রসঙ্গে মশিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতিকে রওশন এরশাদ যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। একই সঙ্গে তফসিলের বিরোধিতা করা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার তাগিদ দেন তিনি। পাশাপাশি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো কথাও বলেন রওশন।
কমিশনে পৃথক চিঠি দেওয়া এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রওশন এরশাদের বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা ওনার (রওশন এরশাদ) বিষয়। তাঁদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তাঁরা কি করছে না করছে, সেটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না।’
নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলেও এ বিষয়ে প্রস্তুতি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
এর আগে চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার পদত্যাগ করে চলে যাক এটাও চাই না, আবার সরকারকে বাধ্য করব, এটাও চাই না। আমরা একটি মাঝামাঝি পথ চাই যে সংবিধানের আলোকে একটি ওয়ে বের করে যাতে সবাই নির্বাচনে আসে। একটি পরিবেশ দরকার নির্বাচনের, সেই পরিবেশটি এখনো হয়নি।’
নির্বাচন এলেই আলোচনায় সরগরম হয়ে ওঠে জাতীয় পার্টি (জাপা), শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবদ্দশায় বিগত নির্বাচনগুলোতে এমনটাই হতে দেখা গেছে। এখন এরশাদ নেই। কিন্তু নাটকীয়তা থেকে বের হতে পারেনি তাঁর দল। দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সাম্প্রতিক তৎপরতায় আবারও সেই পুরোনো নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে জাপায়।
এ নিয়ে দলটির সূত্রগুলো বলছে, আসলে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে কোনো পক্ষেরই আপত্তি নেই, যা কিছু ঘটছে সবই নির্বাচনকে ঘিরে নিজ নিজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য। জি এম কাদের একক কর্তৃত্বে নির্বাচনের বিষয়ে সব কাজ করতে চান। কিন্তু কাদেরের কাছে হার মেনে গুরুত্বহীন হতে চান না রওশনপন্থীরা। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই পক্ষের নেতারা।
১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নেবে কি না সেই তথ্য জানতে চেয়ে নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে চিঠি পাঠায় ইসি। চিঠির জবাবে আওয়ামী লীগসহ ১০টি দল ইসিতে জোটের বিষয়ে অবস্থান জানিয়ে ইসিতে চিঠি দিয়েছে। তবে জাপা দিয়েছে দুটি পৃথক চিঠি।
রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলা হলেও জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর চিঠিতে দলগতভাবে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। পরে অবশ্য ইসিতে চিঠি পাঠানোর কথা জানতেন না বলে গণমাধ্যমকে জানান রওশন এরশাদ। রওশনের চিঠি নিয়ে তাঁর বলয়েরই অনেক নেতা বলছেন যে অতি উৎসাহী কেউ কেউ ভুলভাল বুঝিয়ে রওশনকে দিয়ে ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন। এই আলোচনার মধ্যেই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছেন রওশন এরশাদ। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা ও রওশনপুত্র রাহগীর এরশাদও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পরে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।
বৈঠক প্রসঙ্গে মশিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতিকে রওশন এরশাদ যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। একই সঙ্গে তফসিলের বিরোধিতা করা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার তাগিদ দেন তিনি। পাশাপাশি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো কথাও বলেন রওশন।
কমিশনে পৃথক চিঠি দেওয়া এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রওশন এরশাদের বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা ওনার (রওশন এরশাদ) বিষয়। তাঁদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তাঁরা কি করছে না করছে, সেটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না।’
নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলেও এ বিষয়ে প্রস্তুতি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
এর আগে চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার পদত্যাগ করে চলে যাক এটাও চাই না, আবার সরকারকে বাধ্য করব, এটাও চাই না। আমরা একটি মাঝামাঝি পথ চাই যে সংবিধানের আলোকে একটি ওয়ে বের করে যাতে সবাই নির্বাচনে আসে। একটি পরিবেশ দরকার নির্বাচনের, সেই পরিবেশটি এখনো হয়নি।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে