ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বেশ কিছু বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় এসব অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা বিদ্যালয়গুলো হলো জৈন্তিয়াপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মাওলানা আব্দুল লতিফ জুলেখা গার্লস হাইস্কুল, চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়, এম আহমেদ পাবলিক জুনিয়র স্কুল ও আমিনা হেলালি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট। জেলা-উপজেলার বেশির ভাগ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা এগুলোর মতোই বলে মনে করছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জৈন্তিয়াপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে গত বছরের ১৭ জানুয়ারি ৫টি পদে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসংগতির কথা জানিয়ে ৫ জন প্রার্থী আলাদাভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টির তদন্ত হয়। তবে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে চলে লুকোচুরি। এ জন্য সুষ্ঠু তদন্ত ও আপিল চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ওই প্রার্থীরা
নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. হায়দার আলী বলেন, ‘উকিল নোটিশের জবাব দিয়েছি। শুনতেছি কম্প্রোমাইজের চেষ্টা চলছে। এসব বিষয় আমি জানি না।’ একইভাবে প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম বলেন, ‘যথাযথভাবে চলছে। ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব।’
এদিকে মাওলানা আব্দুল লতিফ জুলেখা গার্লস হাইস্কুল ২০২২ সালের মাঝামাঝি নিম্নমাধ্যমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হয়। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির জন্য মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা যাচাই কমিটি প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্রের মূল কপি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ সরেজমিন যাচাই করে। এতে তখন সবকিছু ঠিকঠাক পাওয়ার কথা জানায় যাচাই কমিটি। তবে ২০২৩ সালের ১১ জুন যাচাই কমিটি স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদনে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মনিরুল আলমের (সমাজবিজ্ঞান) নিয়োগে অসংগতি থাকায় এমপিওভুক্তির যোগ্য নয় বলে মন্তব্য পাঠানো হয়।
অবশ্য এর আগেই শিক্ষক মোহাম্মদ মনিরুল আলম ২০২২ সালের ২৮ মে মাউশি সিলেট অঞ্চলের ডিডি বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৪ সালের ২০ মার্চ তিনি মাধ্যমিক শাখায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে বিধি মোতাবেক নিয়োগ পান। তারপর থেকে বিভিন্ন সরকারি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্কুলটিতে ২০০৪ সালে সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) পদের নিয়োগ পরীক্ষা হয়। তাতে আজাদ আহমেদ নামের একজন সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৪ সালের ২০ মার্চ যোগ দেন। স্কুলটি মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হলে একই নিয়োগে মোহাম্মদ মনিরুল আলম নামের একজন সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) পদে যোগদান দেখিয়ে পদ সমন্বয় সাপেক্ষে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে এমপিওভুক্তির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন
আজাদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই নিয়োগ পরীক্ষায় মোহাম্মদ মনিরুল আলম নামে কেউ ছিলেন না। বর্তমান প্রধান শিক্ষকও ছিলেন না। তিনি সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে না যাওয়ায় আমি নিয়োগ পেয়েছিলাম। স্কুলে সকল কাগজপত্র রয়েছে।’
তবে প্রধান শিক্ষক অঞ্জনা দেবীনাথ কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। আর অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মোহাম্মদ মনিরুল আলম বলেন, ‘স্কুলের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বা কমিটির কাছে এলে সঠিক বিষয়টি জানতে পারবেন। আমার কাছে বৈধ শিক্ষক হওয়ার জন্য নিয়োগপত্রসহ যা যা লাগে, সব আছে।’
মাউশির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে চারিকাটা উচ্চবিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসংগতি প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে শোকজ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সাল থেকে স্কুলটিতে কর্মচারী নিয়োগের এমপিও কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপে একজনকে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়। সেটি নিয়মবহির্ভূত বলেছে মাউশি। কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি। যিনি এই নিয়োগ দিয়েছিলেন, তিনিও এখন আর স্কুলে নেই। ওই নিয়োগ স্থগিত করা আছে। আমরা নতুন নিয়োগের চিন্তা করছি।’
এ ছাড়া ২০২২ সালের ৬ জুলাই এম আহমেদ পাবলিক জুনিয়র স্কুলটি নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হয়। এখানেও অনিয়মের মাধ্যমে ২০০৪ সালের শিক্ষক নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্তির কাজ চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক রমেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘কেউ ২০০১, কেউ ২০০৩ সালে নিয়োগ পেয়েছে। তখন আমরা ছিলাম না। যেসব কাগজপত্র পেয়েছি। সেগুলো পাঠিয়েছি।’
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, আমিনা হেলালি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে মো. ফারুক হোসেন নামের একজন ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর (ড্রেস) পদে ভুয়া বিএ পাস সনদ দিয়ে ২০০৩ সাল থেকে চাকরি করে যাচ্ছেন। তবে ফারুক হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। তদন্তাধীন বিষয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারব না। আগে তদন্ত শেষ হোক।’
সিলেট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাউশির আঞ্চলিক উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘জেলার আর কোনো উপজেলায় এসব অভিযোগ নেই। শুধু জৈন্তাপুরে এসব আছে। এককভাবে তো কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় না, বোর্ডের সবাই মিলে সবকিছু ঠিকঠাক হলে নিয়োগ দেওয়া হয়। আর মাওলানা আব্দুল লতিফ জুলেখা গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে সকল কাগজপত্র দেয়নি, পরে সবকিছু দেওয়ায় যাচাই-বাচাই করে প্রতিবেদনের মন্তব্য পরিবর্তন করা হয়।’
মাউশির শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক-১) মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এমপিও কমিটি রয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আর অনিয়মের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বেশ কিছু বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় এসব অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা বিদ্যালয়গুলো হলো জৈন্তিয়াপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মাওলানা আব্দুল লতিফ জুলেখা গার্লস হাইস্কুল, চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়, এম আহমেদ পাবলিক জুনিয়র স্কুল ও আমিনা হেলালি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট। জেলা-উপজেলার বেশির ভাগ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা এগুলোর মতোই বলে মনে করছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জৈন্তিয়াপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে গত বছরের ১৭ জানুয়ারি ৫টি পদে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসংগতির কথা জানিয়ে ৫ জন প্রার্থী আলাদাভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টির তদন্ত হয়। তবে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে চলে লুকোচুরি। এ জন্য সুষ্ঠু তদন্ত ও আপিল চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ওই প্রার্থীরা
নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. হায়দার আলী বলেন, ‘উকিল নোটিশের জবাব দিয়েছি। শুনতেছি কম্প্রোমাইজের চেষ্টা চলছে। এসব বিষয় আমি জানি না।’ একইভাবে প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম বলেন, ‘যথাযথভাবে চলছে। ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব।’
এদিকে মাওলানা আব্দুল লতিফ জুলেখা গার্লস হাইস্কুল ২০২২ সালের মাঝামাঝি নিম্নমাধ্যমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হয়। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির জন্য মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা যাচাই কমিটি প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্রের মূল কপি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ সরেজমিন যাচাই করে। এতে তখন সবকিছু ঠিকঠাক পাওয়ার কথা জানায় যাচাই কমিটি। তবে ২০২৩ সালের ১১ জুন যাচাই কমিটি স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদনে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মনিরুল আলমের (সমাজবিজ্ঞান) নিয়োগে অসংগতি থাকায় এমপিওভুক্তির যোগ্য নয় বলে মন্তব্য পাঠানো হয়।
অবশ্য এর আগেই শিক্ষক মোহাম্মদ মনিরুল আলম ২০২২ সালের ২৮ মে মাউশি সিলেট অঞ্চলের ডিডি বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৪ সালের ২০ মার্চ তিনি মাধ্যমিক শাখায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে বিধি মোতাবেক নিয়োগ পান। তারপর থেকে বিভিন্ন সরকারি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্কুলটিতে ২০০৪ সালে সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) পদের নিয়োগ পরীক্ষা হয়। তাতে আজাদ আহমেদ নামের একজন সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৪ সালের ২০ মার্চ যোগ দেন। স্কুলটি মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হলে একই নিয়োগে মোহাম্মদ মনিরুল আলম নামের একজন সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) পদে যোগদান দেখিয়ে পদ সমন্বয় সাপেক্ষে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে এমপিওভুক্তির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন
আজাদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই নিয়োগ পরীক্ষায় মোহাম্মদ মনিরুল আলম নামে কেউ ছিলেন না। বর্তমান প্রধান শিক্ষকও ছিলেন না। তিনি সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে না যাওয়ায় আমি নিয়োগ পেয়েছিলাম। স্কুলে সকল কাগজপত্র রয়েছে।’
তবে প্রধান শিক্ষক অঞ্জনা দেবীনাথ কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। আর অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মোহাম্মদ মনিরুল আলম বলেন, ‘স্কুলের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বা কমিটির কাছে এলে সঠিক বিষয়টি জানতে পারবেন। আমার কাছে বৈধ শিক্ষক হওয়ার জন্য নিয়োগপত্রসহ যা যা লাগে, সব আছে।’
মাউশির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে চারিকাটা উচ্চবিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসংগতি প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে শোকজ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সাল থেকে স্কুলটিতে কর্মচারী নিয়োগের এমপিও কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপে একজনকে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়। সেটি নিয়মবহির্ভূত বলেছে মাউশি। কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি। যিনি এই নিয়োগ দিয়েছিলেন, তিনিও এখন আর স্কুলে নেই। ওই নিয়োগ স্থগিত করা আছে। আমরা নতুন নিয়োগের চিন্তা করছি।’
এ ছাড়া ২০২২ সালের ৬ জুলাই এম আহমেদ পাবলিক জুনিয়র স্কুলটি নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হয়। এখানেও অনিয়মের মাধ্যমে ২০০৪ সালের শিক্ষক নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্তির কাজ চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক রমেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘কেউ ২০০১, কেউ ২০০৩ সালে নিয়োগ পেয়েছে। তখন আমরা ছিলাম না। যেসব কাগজপত্র পেয়েছি। সেগুলো পাঠিয়েছি।’
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, আমিনা হেলালি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে মো. ফারুক হোসেন নামের একজন ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর (ড্রেস) পদে ভুয়া বিএ পাস সনদ দিয়ে ২০০৩ সাল থেকে চাকরি করে যাচ্ছেন। তবে ফারুক হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। তদন্তাধীন বিষয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারব না। আগে তদন্ত শেষ হোক।’
সিলেট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাউশির আঞ্চলিক উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘জেলার আর কোনো উপজেলায় এসব অভিযোগ নেই। শুধু জৈন্তাপুরে এসব আছে। এককভাবে তো কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় না, বোর্ডের সবাই মিলে সবকিছু ঠিকঠাক হলে নিয়োগ দেওয়া হয়। আর মাওলানা আব্দুল লতিফ জুলেখা গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে সকল কাগজপত্র দেয়নি, পরে সবকিছু দেওয়ায় যাচাই-বাচাই করে প্রতিবেদনের মন্তব্য পরিবর্তন করা হয়।’
মাউশির শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক-১) মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এমপিও কমিটি রয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আর অনিয়মের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে