নাজমুস সাকিব সোহান, মিরপুর
‘শবেবরাতের রাতে কান্ত ও তাঁর বন্ধুরা পাঁচতলা বাড়ির ছাদে বাজি ফুটিয়ে নিচে নামছিল। তখন আমি কান্তকে বকা দিই বাজি ফোটানোর জন্য। কান্ত আমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিয়েছিল। আমি সেই হাসি আজও ভুলতে পারি না। আমার চোখের সামনে আমার ছেলের এটাই শেষ হাসি।’ এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন কামরুজ্জামান কান্তের মা লুৎফর নাহার।
আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলারচরে ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতের রাতে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁদেরই একজন কামরুজ্জামান কান্ত। কান্তর পরিবার থাকে দারুস সালামের মাদবরবাড়ি মসজিদ এলাকার ৩/৭৫ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায়। সেই দিন সেই বাড়ির ছাদ থেকে নামতে গিয়ে মায়ের সামনে শেষ হাসি হেসেছিল কান্ত।
আর সেই হত্যাকাণ্ডের মামলায় আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। এ ছাড়া ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ২৫ আসামিকে খালাস দেন আদালত। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান এ রায় ঘোষণা করেন। বিচার চলাকালে মামলায় ৫৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ঘটনার পর এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ১৪ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
লুৎফর নাহার বলেন, ‘সরকারের প্রতি আমার আকুল আবেদন, এ রায়ে ফাঁসি যাতে কার্যকর হয়। আমার ছেলেকে ফেরত পাব না, তবে রায় বাস্তবায়ন হলে একজন মা হিসেবে মনে শান্তি পাব।’
দারুস সালামের মাদবরবাড়ি মসজিদ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো। তাতে সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা হয়েছে। গতকাল রায়ের কথা শুনে প্রতিবেশীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তাঁদের একজন বলেন, ফুটফুটে ছয়টি ছেলে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে। আজ বেঁচে থাকলে তারা কত ভালো কিছু করতে পারত। এই ছেলেগুলা আমাদের এলাকার অহংকার ছিল।’
সেদিন নিহত ইব্রাহিম খলিলের চাচা রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারের কাছে আবেদন করছি, যাতে কেউ কোনোভাবেই ছাড়া না পায়।’
২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতের রাতে আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলারচরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত যুবকেরা হলেন ধানমন্ডির ম্যাপললিফ স্কুলের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান।
নিহত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রথমে ডাকাতির মামলা করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় প্রকৃত ঘটনা জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে এই ঘটনায় আরেকটি মামলা করা হয়।
‘শবেবরাতের রাতে কান্ত ও তাঁর বন্ধুরা পাঁচতলা বাড়ির ছাদে বাজি ফুটিয়ে নিচে নামছিল। তখন আমি কান্তকে বকা দিই বাজি ফোটানোর জন্য। কান্ত আমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিয়েছিল। আমি সেই হাসি আজও ভুলতে পারি না। আমার চোখের সামনে আমার ছেলের এটাই শেষ হাসি।’ এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন কামরুজ্জামান কান্তের মা লুৎফর নাহার।
আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলারচরে ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতের রাতে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁদেরই একজন কামরুজ্জামান কান্ত। কান্তর পরিবার থাকে দারুস সালামের মাদবরবাড়ি মসজিদ এলাকার ৩/৭৫ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায়। সেই দিন সেই বাড়ির ছাদ থেকে নামতে গিয়ে মায়ের সামনে শেষ হাসি হেসেছিল কান্ত।
আর সেই হত্যাকাণ্ডের মামলায় আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। এ ছাড়া ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ২৫ আসামিকে খালাস দেন আদালত। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান এ রায় ঘোষণা করেন। বিচার চলাকালে মামলায় ৫৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ঘটনার পর এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ১৪ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
লুৎফর নাহার বলেন, ‘সরকারের প্রতি আমার আকুল আবেদন, এ রায়ে ফাঁসি যাতে কার্যকর হয়। আমার ছেলেকে ফেরত পাব না, তবে রায় বাস্তবায়ন হলে একজন মা হিসেবে মনে শান্তি পাব।’
দারুস সালামের মাদবরবাড়ি মসজিদ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো। তাতে সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা হয়েছে। গতকাল রায়ের কথা শুনে প্রতিবেশীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তাঁদের একজন বলেন, ফুটফুটে ছয়টি ছেলে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে। আজ বেঁচে থাকলে তারা কত ভালো কিছু করতে পারত। এই ছেলেগুলা আমাদের এলাকার অহংকার ছিল।’
সেদিন নিহত ইব্রাহিম খলিলের চাচা রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারের কাছে আবেদন করছি, যাতে কেউ কোনোভাবেই ছাড়া না পায়।’
২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতের রাতে আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলারচরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত যুবকেরা হলেন ধানমন্ডির ম্যাপললিফ স্কুলের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান।
নিহত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রথমে ডাকাতির মামলা করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় প্রকৃত ঘটনা জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে এই ঘটনায় আরেকটি মামলা করা হয়।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে