রাহুল শর্মা, ঢাকা
এবার হাতে গোনা কয়েকটি পাঠ্যবই দিয়েই বছরের প্রথম দিন স্কুলে স্কুলে বই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন নীতিনির্ধারকেরা আশা প্রকাশ করেছিলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাবে নতুন বই। কিন্তু নতুন শিক্ষাবর্ষের এক মাসের বেশি সময় পরও শিক্ষার্থীদের হাতে সব পাঠ্যবই পৌঁছায়নি। বই ছাপা ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, এখনো প্রায় এক কোটি পাঠ্যবই মাঠপর্যায়ে (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে) পৌঁছায়নি। এসবের মধ্যে ১০-১২ শতাংশ বই প্রাথমিকের আর বাকিগুলো মাধ্যমিক পর্যায়ের। গত বুধবার পর্যন্ত ছাপা বাকি ছিল প্রায় ৫০ লাখ বই। বাকি ৫০ লাখ ছাপা হলেও প্রি-ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) বা বিতরণপূর্ব পরিদর্শন হয়নি।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গতকাল চাঁদপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘যাদের বাকি ছিল তাদের ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সব বই দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। যদি কোথাও পৌঁছাতে দেরি হয়ে থাকে, অবশ্যই আমি তা দেখব। তবে সবাইকে এটা বলব, আমাদের কিন্তু ওয়েবসাইটে প্রতিটি বই দেওয়া আছে। কোথাও যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটেও থাকে, তাহলে যেন সেই ওয়েবসাইট থেকে, বিশেষ করে শিক্ষকেরা পড়াতে পারেন। আর টিচার্স গাইডও আছে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা সত্য যে কিছু বই এখনো ছাপা বাকি, তবে তা পরিমাণে খুবই কম। গত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু চার লটের বিলম্বিত টেন্ডারের কারণে বই ছাপা শেষ হয়নি। তবে আমি আশাবাদী, ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে।’
বেশি বাকি ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণির
এনসিটিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বেশি বই ছাপা বাকি। এর জন্য মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানসহ এনসিটিবিরও কিছু গাফিলতি আছে। সপ্তম শ্রেণির বইয়ের পাণ্ডুলিপিই দেওয়া হয়েছে ডিসেম্বর মাসে। এখনো প্রায় ৫৭টি লটের বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছায়নি। আশা করছি, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছয়-সাতটি প্রেসের কারণেও এখনো সব বই ছাপা শেষ হয়নি। আর মান যাচাইয়ে নিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ইনডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্ভিস বিডির দেওয়া ভুল তথ্যের কারণেও এনসিটিবি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি।’
দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ২০১০ সাল থেকে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই দিয়ে আসছে সরকার। এনসিটিবি সূত্রমতে, এবার ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৩ কপি পাঠ্যবই বিতরণ করা হচ্ছে। মানসম্পন্ন মণ্ডের সংকটসহ কিছু কারণে এবার সময়মতো সব শিক্ষার্থীর হাতে মানসম্মত সব বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।
হতাশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক
কয়েকটি জেলার বেশ কিছু বিদ্যালয় ঘুরে জানা গেছে, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থী বিনা মূল্যের নতুন বই হাতে পায়নি। এর মধ্যে নাটোর, গাইবান্ধা, পাবনা, বাগেরহাট, নওগাঁ, বগুড়া, যশোর, চাঁদপুর, নীলফামারী, ভোলা, খুলনা, মাদারীপুর, গাইবান্ধা, পাবনা জেলা অন্যতম। কয়েকটি জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সব বই দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় পড়ালেখা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
নতুন শিক্ষাবর্ষের এক মাস পরও সব বই না পাওয়ায় হতাশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। তাদের ভাষ্য, সময়মতো বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।
নাটোর সদর উপজেলার ঝিনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমুল হোসেন বলেন, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে এখনো শতভাগ বই না আসায় শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কম। এতে রুটিন তৈরি ও নিয়মিত পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না।
বাগেরহাট যদুনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আলী আশরাফ রাহাত বলেছে, ‘মাত্র তিনটি বই পেয়েছি। কবে বাকি বই পাওয়া যাবে সে বিষয়ে স্যাররা কিছু জানাননি।’ একই শ্রেণির ইশরাত বিনতে ইমরুল জানায়, এবার বইয়ের মান খুবই খারাপ।
বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন আলহাজ আব্দুল মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘নবম শ্রেণির বাংলা, গণিত, ইংরেজি বিষয়ের বই এখনো পাইনি। সপ্তম শ্রেণির চারটি বইও পাওয়া যায়নি। এতে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।’ নগরের মথুরানাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, সপ্তম শ্রেণির কোনো বই যায়নি। নবম শ্রেণির কেবল ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র গেছে।
বরিশালের অভিভাবক নজরুল ইসলাম বলেন, নতুন শিক্ষাবর্ষের এক মাস পরও সব বই না পাওয়ায় পাঠবিমুখ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এটি ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত। আরেক অভিভাবক তমাল পাল বলেন, এক মাস পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পায়নি। এর থেকে দুঃখজনক আর কী হতে পারে! এখনই সরকারের উচিত যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।
ভুল তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানের
বই ছাপা ও বিতরণের ভুল তথ্যের কারণে এনসিটিবি সময়মতো পদক্ষেপ নিতে পারেনি বলে দাবি করেছেন একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানান, এনসিটিবির তথ্য আর ইনডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্ভিস বিডির দেওয়া তথ্যে গরমিল ছিল। মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাপানো বইয়ের সংখ্যাকে অনেক বাড়িয়ে তথ্য দেয় যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানটি। এতে মাঠপর্যায়ে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইনডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্ভিস বিডির কর্ণধার বেলাল আহমেদকে ফোন করে এবং এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘কারও গাফিলতিই সহ্য করব না। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এবার হাতে গোনা কয়েকটি পাঠ্যবই দিয়েই বছরের প্রথম দিন স্কুলে স্কুলে বই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন নীতিনির্ধারকেরা আশা প্রকাশ করেছিলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাবে নতুন বই। কিন্তু নতুন শিক্ষাবর্ষের এক মাসের বেশি সময় পরও শিক্ষার্থীদের হাতে সব পাঠ্যবই পৌঁছায়নি। বই ছাপা ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, এখনো প্রায় এক কোটি পাঠ্যবই মাঠপর্যায়ে (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে) পৌঁছায়নি। এসবের মধ্যে ১০-১২ শতাংশ বই প্রাথমিকের আর বাকিগুলো মাধ্যমিক পর্যায়ের। গত বুধবার পর্যন্ত ছাপা বাকি ছিল প্রায় ৫০ লাখ বই। বাকি ৫০ লাখ ছাপা হলেও প্রি-ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) বা বিতরণপূর্ব পরিদর্শন হয়নি।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গতকাল চাঁদপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘যাদের বাকি ছিল তাদের ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সব বই দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। যদি কোথাও পৌঁছাতে দেরি হয়ে থাকে, অবশ্যই আমি তা দেখব। তবে সবাইকে এটা বলব, আমাদের কিন্তু ওয়েবসাইটে প্রতিটি বই দেওয়া আছে। কোথাও যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটেও থাকে, তাহলে যেন সেই ওয়েবসাইট থেকে, বিশেষ করে শিক্ষকেরা পড়াতে পারেন। আর টিচার্স গাইডও আছে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা সত্য যে কিছু বই এখনো ছাপা বাকি, তবে তা পরিমাণে খুবই কম। গত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু চার লটের বিলম্বিত টেন্ডারের কারণে বই ছাপা শেষ হয়নি। তবে আমি আশাবাদী, ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে।’
বেশি বাকি ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণির
এনসিটিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বেশি বই ছাপা বাকি। এর জন্য মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানসহ এনসিটিবিরও কিছু গাফিলতি আছে। সপ্তম শ্রেণির বইয়ের পাণ্ডুলিপিই দেওয়া হয়েছে ডিসেম্বর মাসে। এখনো প্রায় ৫৭টি লটের বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছায়নি। আশা করছি, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছয়-সাতটি প্রেসের কারণেও এখনো সব বই ছাপা শেষ হয়নি। আর মান যাচাইয়ে নিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ইনডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্ভিস বিডির দেওয়া ভুল তথ্যের কারণেও এনসিটিবি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি।’
দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ২০১০ সাল থেকে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই দিয়ে আসছে সরকার। এনসিটিবি সূত্রমতে, এবার ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৩ কপি পাঠ্যবই বিতরণ করা হচ্ছে। মানসম্পন্ন মণ্ডের সংকটসহ কিছু কারণে এবার সময়মতো সব শিক্ষার্থীর হাতে মানসম্মত সব বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।
হতাশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক
কয়েকটি জেলার বেশ কিছু বিদ্যালয় ঘুরে জানা গেছে, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থী বিনা মূল্যের নতুন বই হাতে পায়নি। এর মধ্যে নাটোর, গাইবান্ধা, পাবনা, বাগেরহাট, নওগাঁ, বগুড়া, যশোর, চাঁদপুর, নীলফামারী, ভোলা, খুলনা, মাদারীপুর, গাইবান্ধা, পাবনা জেলা অন্যতম। কয়েকটি জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সব বই দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় পড়ালেখা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
নতুন শিক্ষাবর্ষের এক মাস পরও সব বই না পাওয়ায় হতাশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। তাদের ভাষ্য, সময়মতো বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।
নাটোর সদর উপজেলার ঝিনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমুল হোসেন বলেন, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে এখনো শতভাগ বই না আসায় শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কম। এতে রুটিন তৈরি ও নিয়মিত পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না।
বাগেরহাট যদুনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আলী আশরাফ রাহাত বলেছে, ‘মাত্র তিনটি বই পেয়েছি। কবে বাকি বই পাওয়া যাবে সে বিষয়ে স্যাররা কিছু জানাননি।’ একই শ্রেণির ইশরাত বিনতে ইমরুল জানায়, এবার বইয়ের মান খুবই খারাপ।
বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন আলহাজ আব্দুল মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘নবম শ্রেণির বাংলা, গণিত, ইংরেজি বিষয়ের বই এখনো পাইনি। সপ্তম শ্রেণির চারটি বইও পাওয়া যায়নি। এতে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।’ নগরের মথুরানাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, সপ্তম শ্রেণির কোনো বই যায়নি। নবম শ্রেণির কেবল ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র গেছে।
বরিশালের অভিভাবক নজরুল ইসলাম বলেন, নতুন শিক্ষাবর্ষের এক মাস পরও সব বই না পাওয়ায় পাঠবিমুখ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এটি ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত। আরেক অভিভাবক তমাল পাল বলেন, এক মাস পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পায়নি। এর থেকে দুঃখজনক আর কী হতে পারে! এখনই সরকারের উচিত যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।
ভুল তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানের
বই ছাপা ও বিতরণের ভুল তথ্যের কারণে এনসিটিবি সময়মতো পদক্ষেপ নিতে পারেনি বলে দাবি করেছেন একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানান, এনসিটিবির তথ্য আর ইনডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্ভিস বিডির দেওয়া তথ্যে গরমিল ছিল। মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাপানো বইয়ের সংখ্যাকে অনেক বাড়িয়ে তথ্য দেয় যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানটি। এতে মাঠপর্যায়ে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইনডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্ভিস বিডির কর্ণধার বেলাল আহমেদকে ফোন করে এবং এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘কারও গাফিলতিই সহ্য করব না। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে