আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
যশোরের মনিরামপুরে সরকার নির্ধারিত দামে সার পাচ্ছেন না কৃষক। সব ধরনের সারের দাম কেজিপ্রতি ৪ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বোরো মৌসুম ঘিরে চাহিদা বেশি থাকায় সংকটের দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম নিচ্ছেন বলে কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন।
গত এক সপ্তাহ ধরে মনিরামপুরে সারের বিভিন্ন সাব-ডিলারের দোকান ঘুরে এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে বাড়তি দামে বিক্রির তথ্য জানা গেছে। দোকানগুলোতে সরকার নির্ধারিত মূল্য তালিকা ঝোলানো থাকলেও কৃষকেরা এই দামে সার পাচ্ছেন না।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে সারের দাম বেড়েই চলেছে। কৃষি অফিসের সঠিক তদারকি না থাকায় এমনি ঘটছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, প্রতি কেজি ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ২২ টাকা, ইউরিয়া ১৬ টাকা, মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) ১৫ টাকা এবং ডায়ামনিয়াম ফসফেট (ড্যাপ) ১৬ টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার কালিবাড়ি, গোপালপুর, রাজগঞ্জ, খেদাপাড়া ও রোহিতাসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি টিএসপি ২২ টাকার পরিবর্তে ৩০-৩২ টাকা, ইউরিয়া ১৬ টাকার পরিবর্তে ১৮-২২ টাকা এবং এমওপি ১৫ টাকার পরিবর্তে ১৯-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিএপি সার সরকার নির্ধারিত ১৬ টাকা দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এ ছাড়া সালফারের দাম সরকার নির্ধারিত না থাকায় গত আমন মৌসুমের চেয়ে ১৪ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। সালফারের কেজি আমনের সময় বিক্রি হয়েছিল ২৬ টাকায়, এখন বোরো মৌসুমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের কৃষক মশিয়ার রহমান বলেন, ‘দেড় বিঘায় ইরি ধান চাষ করিছি। ইউরিয়ার কেজি ১৭ টাকা, টিএসপি ৩০ টাকা ও পটাশ ২০ টাকা দরে কিনিছি।’
মাহমুদকাটি গ্রামের কৃষক নূর ইসলাম বলেন, ‘সাড়ে ৫ বিঘা বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছি। মনিরামপুর বাজার থেকে দেড় হাজার টাকা দরে টিএসপি ও ৮২০ টাকা করে ইউরিয়ার ৫০ কেজির বস্তা কিনে আনিছি। এবার সারের খুব দাম।’
কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি অফিসের যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁরা বাজার তদারকি সঠিকভাবে করেন না।
সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, সারের এক সাব-ডিলারের ঘরে সরকারি মূল্য তালিকা ঝুলছে। ওই দোকানি টিএসপির কেজি ৩০, ইউরিয়া ১৭ টাকা, পটাশ ২০ টাকা ও সালফার ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ডিলার বলেন, ‘আমি একজন সাব ডিলার হয়েও ন্যায্য দামে সার কিনতে পারছি না। সরকারি রেটে বেচব কি করে।’
তিনি বলেন, ‘৫০ কেজি ইউরিয়ার বস্তা আমার প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত ৭৭৫ টাকায় পৌঁছানোর কথা। কিন্তু ইউরিয়ার বস্তা আমাকে ৮২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাহলে কৃষকেরা কীভাবে সরকারি দামে পাবেন।’
উপজেলার গোপালপুর বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিএসপি ২৬-৩০ টাকা, ইউরিয়া ১৮-২২ টাকা ও পটাশ ১৮-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দোকানিরা যাঁর কাছে যেমন পারছেন তেমন বিক্রি করছেন।
সূত্রটি বলছে, চলতি মাসে টিএসপির বরাদ্দ এসেছে ৪২৫ মেট্রিক টন, ইউরিয়া ২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ও পটাশ ৫৫৩ মেট্রিক টন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষকেরা জমিতে যে পরিমাণ সার ব্যবহার করেন, তা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাবের তুলনায় অনেক বেশি। এ জন্য চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ পাওয়া যায় না।
উপজেলার বাসুদেবপুর বাজারের সাব-ডিলার জামাল হোসেন বলেন, ‘এ মৌসুমে আমার ৪০০ বস্তা টিএসপির চাহিদা, পেয়েছি মাত্র ৭০ বস্তা। ইউরিয়া বরাদ্দ অনুযায়ী পেয়েছি। তবে পটাশের কোনো বরাদ্দ পাইনি।’
জামাল হোসেন বলেন, ‘মরক্কোর টিএসপির চাহিদা কম। এ সার ২৫ টাকা কেজি বেচতে হচ্ছে। তিউনিশিয়ার টিএসপির চাহিদা বেশি। এ সার আমাদের ১ হাজার ৫০০ টাকায় বস্তা কেনা পড়ছে। ৩২ টাকার নিচে কেজি বিক্রি করা যাচ্ছে না।’
রোহিতা ইউনিয়নের সার ডিলার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা সার উত্তোলন করে সঠিক দামে বিক্রি করছি। তবে আমদানিকারকদের কারসাজির কারণে সারের দাম বাজারে বাড়তি। তাঁরা বেশি দামে বাইরে সার বিক্রি করছেন।’
খেদাপাড়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে ডিলারের কাছে খোঁজ নিয়েছি। সারের দাম ঠিক আছে। আমরা যখন ডিলারের ঘরে বসে থাকি তখন বেশি দামে বিক্রি করতে দেখি না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘সারের দাম বাড়েনি। আমরা তদারকি করছি। ত্রুটি পেলে জরিমানা করা হচ্ছে।’
যশোরের মনিরামপুরে সরকার নির্ধারিত দামে সার পাচ্ছেন না কৃষক। সব ধরনের সারের দাম কেজিপ্রতি ৪ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বোরো মৌসুম ঘিরে চাহিদা বেশি থাকায় সংকটের দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম নিচ্ছেন বলে কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন।
গত এক সপ্তাহ ধরে মনিরামপুরে সারের বিভিন্ন সাব-ডিলারের দোকান ঘুরে এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে বাড়তি দামে বিক্রির তথ্য জানা গেছে। দোকানগুলোতে সরকার নির্ধারিত মূল্য তালিকা ঝোলানো থাকলেও কৃষকেরা এই দামে সার পাচ্ছেন না।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে সারের দাম বেড়েই চলেছে। কৃষি অফিসের সঠিক তদারকি না থাকায় এমনি ঘটছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, প্রতি কেজি ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ২২ টাকা, ইউরিয়া ১৬ টাকা, মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) ১৫ টাকা এবং ডায়ামনিয়াম ফসফেট (ড্যাপ) ১৬ টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার কালিবাড়ি, গোপালপুর, রাজগঞ্জ, খেদাপাড়া ও রোহিতাসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি টিএসপি ২২ টাকার পরিবর্তে ৩০-৩২ টাকা, ইউরিয়া ১৬ টাকার পরিবর্তে ১৮-২২ টাকা এবং এমওপি ১৫ টাকার পরিবর্তে ১৯-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিএপি সার সরকার নির্ধারিত ১৬ টাকা দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এ ছাড়া সালফারের দাম সরকার নির্ধারিত না থাকায় গত আমন মৌসুমের চেয়ে ১৪ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। সালফারের কেজি আমনের সময় বিক্রি হয়েছিল ২৬ টাকায়, এখন বোরো মৌসুমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের কৃষক মশিয়ার রহমান বলেন, ‘দেড় বিঘায় ইরি ধান চাষ করিছি। ইউরিয়ার কেজি ১৭ টাকা, টিএসপি ৩০ টাকা ও পটাশ ২০ টাকা দরে কিনিছি।’
মাহমুদকাটি গ্রামের কৃষক নূর ইসলাম বলেন, ‘সাড়ে ৫ বিঘা বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছি। মনিরামপুর বাজার থেকে দেড় হাজার টাকা দরে টিএসপি ও ৮২০ টাকা করে ইউরিয়ার ৫০ কেজির বস্তা কিনে আনিছি। এবার সারের খুব দাম।’
কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি অফিসের যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁরা বাজার তদারকি সঠিকভাবে করেন না।
সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, সারের এক সাব-ডিলারের ঘরে সরকারি মূল্য তালিকা ঝুলছে। ওই দোকানি টিএসপির কেজি ৩০, ইউরিয়া ১৭ টাকা, পটাশ ২০ টাকা ও সালফার ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ডিলার বলেন, ‘আমি একজন সাব ডিলার হয়েও ন্যায্য দামে সার কিনতে পারছি না। সরকারি রেটে বেচব কি করে।’
তিনি বলেন, ‘৫০ কেজি ইউরিয়ার বস্তা আমার প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত ৭৭৫ টাকায় পৌঁছানোর কথা। কিন্তু ইউরিয়ার বস্তা আমাকে ৮২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাহলে কৃষকেরা কীভাবে সরকারি দামে পাবেন।’
উপজেলার গোপালপুর বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিএসপি ২৬-৩০ টাকা, ইউরিয়া ১৮-২২ টাকা ও পটাশ ১৮-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দোকানিরা যাঁর কাছে যেমন পারছেন তেমন বিক্রি করছেন।
সূত্রটি বলছে, চলতি মাসে টিএসপির বরাদ্দ এসেছে ৪২৫ মেট্রিক টন, ইউরিয়া ২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ও পটাশ ৫৫৩ মেট্রিক টন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষকেরা জমিতে যে পরিমাণ সার ব্যবহার করেন, তা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাবের তুলনায় অনেক বেশি। এ জন্য চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ পাওয়া যায় না।
উপজেলার বাসুদেবপুর বাজারের সাব-ডিলার জামাল হোসেন বলেন, ‘এ মৌসুমে আমার ৪০০ বস্তা টিএসপির চাহিদা, পেয়েছি মাত্র ৭০ বস্তা। ইউরিয়া বরাদ্দ অনুযায়ী পেয়েছি। তবে পটাশের কোনো বরাদ্দ পাইনি।’
জামাল হোসেন বলেন, ‘মরক্কোর টিএসপির চাহিদা কম। এ সার ২৫ টাকা কেজি বেচতে হচ্ছে। তিউনিশিয়ার টিএসপির চাহিদা বেশি। এ সার আমাদের ১ হাজার ৫০০ টাকায় বস্তা কেনা পড়ছে। ৩২ টাকার নিচে কেজি বিক্রি করা যাচ্ছে না।’
রোহিতা ইউনিয়নের সার ডিলার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা সার উত্তোলন করে সঠিক দামে বিক্রি করছি। তবে আমদানিকারকদের কারসাজির কারণে সারের দাম বাজারে বাড়তি। তাঁরা বেশি দামে বাইরে সার বিক্রি করছেন।’
খেদাপাড়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে ডিলারের কাছে খোঁজ নিয়েছি। সারের দাম ঠিক আছে। আমরা যখন ডিলারের ঘরে বসে থাকি তখন বেশি দামে বিক্রি করতে দেখি না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘সারের দাম বাড়েনি। আমরা তদারকি করছি। ত্রুটি পেলে জরিমানা করা হচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে