কোরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব

মুনীরুল ইসলাম
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২২, ০৬: ৩৩
আপডেট : ২৫ জুন ২০২২, ১৩: ১০

পবিত্র কোরআন আমাদের ধর্মগ্রন্থ। আমাদের জীবন চলার পাথেয়। মানবজীবনের সব মৌলিক বিষয়ের দিকনির্দেশনা রয়েছে এই পবিত্র গ্রন্থে। কোরআনের তরজমা ও তাফসির পড়ার মাধ্যমে আমরা তা জানতে পারব। কোরআন এমন এক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, যার যথাযথ তিলাওয়াত ছাড়া নামাজ শুদ্ধ হয় না। সুরা ফাতিহাসহ কমপক্ষে পাঁচটি সুরা নামাজিদের ভালোভাবে মুখস্থ থাকতে হয়। কোরআনের অর্থ না বুঝে পড়লেও প্রতি হরফের বিনিময়ে দশটি করে নেকি পাওয়ার কথা হাদিসে এসেছে।

হাদিসে এসেছে, কোরআন তিলাওয়াত সর্বোত্তম নফল ইবাদত। যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করে এবং তাতে যা আছে সে অনুযায়ী আমল করে, কেয়ামতের দিন তার বাবা-মাকে এমন এক টুপি পরানো হবে যার আলো সূর্যের আলোর চেয়ে উজ্জ্বল দেখাবে। এখন যে কোরআন পড়ে এবং তা অনুযায়ী আমল করে, তার মর্যাদা কত বেশি হবে, চিন্তা করুন? যে ব্যক্তি কোরআন শেখে, নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করে এবং কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে, সে কেয়ামতের দিন তার পরিবারের সদস্যদের জন্য সুপারিশ করতে পারবে। তার জন্য বেহেশতের সুসংবাদ রয়েছে।

হাদিসে আরও এসেছে, কোরআন কেয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে। তিলাওয়াতকারীর অন্তরের ইচ্ছা আল্লাহর কাছে চাওয়ার আগেই পূরণ করে দেওয়া হয়। কোরআন তিলাওয়াত করলে অন্তরের আবর্জনা দূর হয়। আল্লাহর ভালোবাসা বাড়ে। অন্তর সতেজ হয়। এ ছাড়া কোরআন তিলাওয়াতের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। কোরআনহীন হৃদয় শূন্য ঘরের মতো। তাই কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা প্রত্যেক মুমিনের একান্ত কর্তব্য।

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত