জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
জামালপুরে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড দাবদাহ আর অনাবৃষ্টিতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। এতে নিত্যদিনের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে বলা হয়েছে, সমস্যা সমাধানে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
জামালপুর শহরে পাইপলাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ কোনো প্রকল্প নিয়ে এ সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে কি না, সেটা নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, জামালপুর শহরে দুই মাস ধরে ৮০ শতাংশ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। এতে হুমকির মুখে পড়েছে মানুষে জীবনযাত্রা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় মানুষ ঠিকমতো বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না। নোংরা পানি ব্যবহার করে অনেকেই ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস।
আরও জানা গেছে, জামালপুরে শহরের বেশির ভাগ খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়, নদী-নালা ভরাট করে বহুতল ভবনসহ নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। শহরের আশপাশে জলাশয় নেই বললেই চলে। এতে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে কিছু পানি পাওয়া গেলেও সাধারণ পাম্পগুলো পানি তুলতে পারছে না। টিউবওয়েলগুলোর শতকরা ৮০টিতেই পানি নেই। অনেক বাসাবাড়ির মানুষ বোতলজাত পানি কিনে পান করছেন। পানি সংগ্রহে দূর-দূরান্তে ছুটছেন ভুক্তভোগীরা। রমজানে পানির সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
শহরের পাখালিয়া, কাচারীপাড়া, বোষপাড়া, ফুলবাড়িয়া, ইকবালপুর, মুসলিমাবাদ, মুকন্দবাড়ি, মৃধাপাড়া, বজ্রাপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানির জন্য মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। অনেকে মসজিদসহ অন্যের বাড়িতে গিয়ে পানি সংগ্রহ করছেন। তবে চাহিদামতো পানি পাচ্ছেন না।
পাথালিয়া গ্রামের আমেনা থাতুন বলেন, ‘আমার টিউবওয়েলে ১৫ দিন ধরে পানি উঠছে না। রমজান মাস, হাতে টাকাও নেই। গভীর নলকূপ বসানোর সাধ্য নেই। অন্যের বাড়িতে পানি নিতে গেলেও দিতে চায় না। রান্নার পানিই পাচ্ছি না। গোসল করার চিন্তাও করা যাচ্ছে না।
কাচারীপাড়া গ্রামের রহিমা বেগম বলেন, পানির জন্য সবকিছু যেন উলট-পালট হয়ে যাচ্ছে। মানুষের কাছে হাত পেতে পানি আনতে হচ্ছে। বিদ্যুৎতের দাম বেড়েছে, মোটর চালু করে কেউ পানি দিতে চায় না।
বাড়ি বাড়ি ঘুরে রান্নার জন্য এক কলসি পানি এনে কোনো রকমে চলছি। আমাদের তো এত টাকা নেই যে, সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে পানি খাব। সরকার পানির ব্যবস্থা করে দিক। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে পুকুর, নদী-নালা, জলাশয় ভরাট বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরাও।
জামালপুর পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুরসহ জলাশয় ভরাট করা এবং ভূগর্ভস্থ পানির অতিমাত্রায় ব্যবহারের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। ফলে জামালপুর শহর এবং আশপাশের এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। সুপেয় পানির সংকটে কলেরা, ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে জলাশয়গুলো পুনঃখনন এবং ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার না বাড়ালে আগামী দিনে পানির জন্য হাহাকার পড়ে যাবে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের ওপর মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশল মো. সুলতান মাহমুদ বলেছেন, ‘পানির সমস্যা সমাধানে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জামালপুর শহরে পাইপলাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ কোনো প্রকল্প নিয়ে এই সমস্যা সমাধান করা যায় কি না, সেটা নিয়েও চিন্তা করা হচ্ছে।’
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস বলেছেন, ‘স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উপরিভাগের পানি পান করে অনেকেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন।’
জামালপুরে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড দাবদাহ আর অনাবৃষ্টিতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। এতে নিত্যদিনের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে বলা হয়েছে, সমস্যা সমাধানে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
জামালপুর শহরে পাইপলাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ কোনো প্রকল্প নিয়ে এ সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে কি না, সেটা নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, জামালপুর শহরে দুই মাস ধরে ৮০ শতাংশ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। এতে হুমকির মুখে পড়েছে মানুষে জীবনযাত্রা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় মানুষ ঠিকমতো বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না। নোংরা পানি ব্যবহার করে অনেকেই ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস।
আরও জানা গেছে, জামালপুরে শহরের বেশির ভাগ খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়, নদী-নালা ভরাট করে বহুতল ভবনসহ নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। শহরের আশপাশে জলাশয় নেই বললেই চলে। এতে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে কিছু পানি পাওয়া গেলেও সাধারণ পাম্পগুলো পানি তুলতে পারছে না। টিউবওয়েলগুলোর শতকরা ৮০টিতেই পানি নেই। অনেক বাসাবাড়ির মানুষ বোতলজাত পানি কিনে পান করছেন। পানি সংগ্রহে দূর-দূরান্তে ছুটছেন ভুক্তভোগীরা। রমজানে পানির সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
শহরের পাখালিয়া, কাচারীপাড়া, বোষপাড়া, ফুলবাড়িয়া, ইকবালপুর, মুসলিমাবাদ, মুকন্দবাড়ি, মৃধাপাড়া, বজ্রাপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানির জন্য মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। অনেকে মসজিদসহ অন্যের বাড়িতে গিয়ে পানি সংগ্রহ করছেন। তবে চাহিদামতো পানি পাচ্ছেন না।
পাথালিয়া গ্রামের আমেনা থাতুন বলেন, ‘আমার টিউবওয়েলে ১৫ দিন ধরে পানি উঠছে না। রমজান মাস, হাতে টাকাও নেই। গভীর নলকূপ বসানোর সাধ্য নেই। অন্যের বাড়িতে পানি নিতে গেলেও দিতে চায় না। রান্নার পানিই পাচ্ছি না। গোসল করার চিন্তাও করা যাচ্ছে না।
কাচারীপাড়া গ্রামের রহিমা বেগম বলেন, পানির জন্য সবকিছু যেন উলট-পালট হয়ে যাচ্ছে। মানুষের কাছে হাত পেতে পানি আনতে হচ্ছে। বিদ্যুৎতের দাম বেড়েছে, মোটর চালু করে কেউ পানি দিতে চায় না।
বাড়ি বাড়ি ঘুরে রান্নার জন্য এক কলসি পানি এনে কোনো রকমে চলছি। আমাদের তো এত টাকা নেই যে, সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে পানি খাব। সরকার পানির ব্যবস্থা করে দিক। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে পুকুর, নদী-নালা, জলাশয় ভরাট বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরাও।
জামালপুর পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুরসহ জলাশয় ভরাট করা এবং ভূগর্ভস্থ পানির অতিমাত্রায় ব্যবহারের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। ফলে জামালপুর শহর এবং আশপাশের এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। সুপেয় পানির সংকটে কলেরা, ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে জলাশয়গুলো পুনঃখনন এবং ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার না বাড়ালে আগামী দিনে পানির জন্য হাহাকার পড়ে যাবে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের ওপর মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশল মো. সুলতান মাহমুদ বলেছেন, ‘পানির সমস্যা সমাধানে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জামালপুর শহরে পাইপলাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ কোনো প্রকল্প নিয়ে এই সমস্যা সমাধান করা যায় কি না, সেটা নিয়েও চিন্তা করা হচ্ছে।’
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস বলেছেন, ‘স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উপরিভাগের পানি পান করে অনেকেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে