আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
ধুলো আর কুয়াশামাখা গোধূলি পেরিয়ে এই মধ্য নভেম্বরে মৃদু শীতের সন্ধ্যা নেমেছে একটু আগে। ঢেপা নদীর পূর্ব তীর থেকে এখন আর কান্তজিউ মন্দির চূড়ার গেরুয়া নিশান চোখে পড়ছে না। বদলে সেখানে ঘিরে আছে একরাশ অন্ধকার। কিন্তু ঢেপা নদীর পশ্চিম তীরে কান্তজিউ মন্দিরের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রায় ৩০০ বছরের গল্প নিয়ে বসেছে রাসমেলা! সারি সারি দোকান তখনো ঝাঁপ বন্ধ করেনি। কাঁসা-পিতলের তৈজসপত্রের দোকান, মিষ্টি-মণ্ডা আর খেলনার দোকান কিংবা কাঠের আসবাবের দোকানে তখনো বিজলিবাতি জ্বলছে।
সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে কিছুক্ষণ আগে। ইট-সিমেন্টে তৈরি করা চত্বরে বসার জায়গা আছে বেশ কিছু। ফিরে যাওয়ার আগে শানবাঁধানো গাছের গোড়ায় বসে জিরোচ্ছেন মেলায় আসা মানুষেরা। হঠাৎ অন্ধকার ফুঁড়ে বেরিয়ে এলেন পর্যটক এলিজা বিনতে এলাহী! সুযোগ হাতছাড়া না করে কথা জমালাম। পুরো মেলা ঘুরে দেখেছেন তিনি। জানালেন, কান্তজিউ মন্দিরের রাসেমেলা সময় খারাপ কাটেনি তাঁর।
দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তরে ঢেপা নদীর পশ্চিম তীরে কান্তনগর নামের গ্রামটি বেশ প্রাচীন। আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে দিনাজপুরের রাজারা এখানে নির্মাণ করেছিলেন টেরাকোটাশোভিত বিখ্যাত কান্তজিউ মন্দির। ‘প্রায়’ বলা হচ্ছে, কারণ মন্দিরটি তৈরির সময় নিয়ে কিছুটা মতপার্থক্য আছে। এ বি এম হুসাইন কিংবা আহমেদ নাজিমুদ্দিনের মতো গবেষকেরা বলেছেন, এর নির্মাণকাজ ১৭০৪ সালে শুরু হয়ে ১৭২২ সালে শেষ হয়। আর জনপ্রিয় মত হচ্ছে, এর নির্মাণকাজ ১৭২২ সালে শুরু হয়ে শেষ হয় ১৭৫২ সালে।
মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথা অনুসারে, জন্মাষ্টমীর আগের দিন পুনর্ভবা নদী ধরে বিশাল নৌবহরে কান্তজিউ মন্দির থেকে কৃষ্ণের মূর্তি দিনাজপুর রাজবাড়ির মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ মূর্তি সেখানে থাকে তিন মাস। তারপর রাস পূর্ণিমার এক দিন আগে ভক্ত-পুণ্যার্থীরা হেঁটে কৃষ্ণের বিগ্রহ রাজবাড়ি মন্দির থেকে কান্তজিউ মন্দিরে নিয়ে আসেন। প্রতিবছর এ সময় মাসব্যাপী মেলা বসে মন্দির প্রাঙ্গণে। ধারণা করা হয়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ মন্দির প্রাঙ্গণে রাস উৎসব এবং মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সে সূত্রে এ মেলার বয়স ৩০০ বছর, মতান্তরে ২৭০ বছর।
করোনার জন্য গত দুই বছর মেলা না হলেও এবার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ মেলা বসেছে মন্দিরের বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণজুড়ে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা, ঘোরাঘুরি আর খাওয়াদাওয়া। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মেলায় আসছেন ভক্ত, পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা।
৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া কান্তজিউ মন্দিরের রাস মেলা চলবে মাসব্যাপী। অগ্রহায়ণের এই মৃদু শীতে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন দেশের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা থেকে। ঢাকা থেকে সড়কপথ ও রেলপথে যেতে হবে দিনাজপুর শহরে। আকাশপথে গেলে সৈয়দপুরে নেমে সোজা চলে যাওয়া যায় কান্তজিউ মন্দিরে। দিনাজপুর থেকে বাসে বা যেকোনো বাহনে যেতে হবে কান্তনগর মোড়। সেখান থেকে ঢেপা নদী পেরিয়ে কান্তজিউ মন্দিরের মেলা। মধ্য নভেম্বরে উত্তরবঙ্গে শীত বেশ। তাই গরম কাপড় নিতে যেতে ভুলবেন না।
ধুলো আর কুয়াশামাখা গোধূলি পেরিয়ে এই মধ্য নভেম্বরে মৃদু শীতের সন্ধ্যা নেমেছে একটু আগে। ঢেপা নদীর পূর্ব তীর থেকে এখন আর কান্তজিউ মন্দির চূড়ার গেরুয়া নিশান চোখে পড়ছে না। বদলে সেখানে ঘিরে আছে একরাশ অন্ধকার। কিন্তু ঢেপা নদীর পশ্চিম তীরে কান্তজিউ মন্দিরের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রায় ৩০০ বছরের গল্প নিয়ে বসেছে রাসমেলা! সারি সারি দোকান তখনো ঝাঁপ বন্ধ করেনি। কাঁসা-পিতলের তৈজসপত্রের দোকান, মিষ্টি-মণ্ডা আর খেলনার দোকান কিংবা কাঠের আসবাবের দোকানে তখনো বিজলিবাতি জ্বলছে।
সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে কিছুক্ষণ আগে। ইট-সিমেন্টে তৈরি করা চত্বরে বসার জায়গা আছে বেশ কিছু। ফিরে যাওয়ার আগে শানবাঁধানো গাছের গোড়ায় বসে জিরোচ্ছেন মেলায় আসা মানুষেরা। হঠাৎ অন্ধকার ফুঁড়ে বেরিয়ে এলেন পর্যটক এলিজা বিনতে এলাহী! সুযোগ হাতছাড়া না করে কথা জমালাম। পুরো মেলা ঘুরে দেখেছেন তিনি। জানালেন, কান্তজিউ মন্দিরের রাসেমেলা সময় খারাপ কাটেনি তাঁর।
দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তরে ঢেপা নদীর পশ্চিম তীরে কান্তনগর নামের গ্রামটি বেশ প্রাচীন। আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে দিনাজপুরের রাজারা এখানে নির্মাণ করেছিলেন টেরাকোটাশোভিত বিখ্যাত কান্তজিউ মন্দির। ‘প্রায়’ বলা হচ্ছে, কারণ মন্দিরটি তৈরির সময় নিয়ে কিছুটা মতপার্থক্য আছে। এ বি এম হুসাইন কিংবা আহমেদ নাজিমুদ্দিনের মতো গবেষকেরা বলেছেন, এর নির্মাণকাজ ১৭০৪ সালে শুরু হয়ে ১৭২২ সালে শেষ হয়। আর জনপ্রিয় মত হচ্ছে, এর নির্মাণকাজ ১৭২২ সালে শুরু হয়ে শেষ হয় ১৭৫২ সালে।
মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথা অনুসারে, জন্মাষ্টমীর আগের দিন পুনর্ভবা নদী ধরে বিশাল নৌবহরে কান্তজিউ মন্দির থেকে কৃষ্ণের মূর্তি দিনাজপুর রাজবাড়ির মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ মূর্তি সেখানে থাকে তিন মাস। তারপর রাস পূর্ণিমার এক দিন আগে ভক্ত-পুণ্যার্থীরা হেঁটে কৃষ্ণের বিগ্রহ রাজবাড়ি মন্দির থেকে কান্তজিউ মন্দিরে নিয়ে আসেন। প্রতিবছর এ সময় মাসব্যাপী মেলা বসে মন্দির প্রাঙ্গণে। ধারণা করা হয়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ মন্দির প্রাঙ্গণে রাস উৎসব এবং মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সে সূত্রে এ মেলার বয়স ৩০০ বছর, মতান্তরে ২৭০ বছর।
করোনার জন্য গত দুই বছর মেলা না হলেও এবার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ মেলা বসেছে মন্দিরের বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণজুড়ে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা, ঘোরাঘুরি আর খাওয়াদাওয়া। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মেলায় আসছেন ভক্ত, পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা।
৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া কান্তজিউ মন্দিরের রাস মেলা চলবে মাসব্যাপী। অগ্রহায়ণের এই মৃদু শীতে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন দেশের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা থেকে। ঢাকা থেকে সড়কপথ ও রেলপথে যেতে হবে দিনাজপুর শহরে। আকাশপথে গেলে সৈয়দপুরে নেমে সোজা চলে যাওয়া যায় কান্তজিউ মন্দিরে। দিনাজপুর থেকে বাসে বা যেকোনো বাহনে যেতে হবে কান্তনগর মোড়। সেখান থেকে ঢেপা নদী পেরিয়ে কান্তজিউ মন্দিরের মেলা। মধ্য নভেম্বরে উত্তরবঙ্গে শীত বেশ। তাই গরম কাপড় নিতে যেতে ভুলবেন না।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪