রাঙামাটি প্রতিনিধি
করোনার কারণে থমকে গেছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা। চর্চার অভাবে শিক্ষকেরাও অনেক কিছু ভুলে গেছেন। গতকাল রোববার রাঙামাটি জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মাতৃভাষায় শিক্ষার অগ্রগতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেছেন শিক্ষকেরা।
বক্তারা বলেন, করোনা মহামারিকালে অন্য বিষয়গুলো অনলাইনে পাঠদানের আয়োজন থাকলেও, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা শিশুদের মাতৃভাষার বইয়ের ওপর কোনো আয়োজন ছিল না। এতে একদিকে শিশুরা তাদের মাতৃভাষা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে চর্চার অভাবে শিক্ষকেরা অনেক কিছু ভুলে গেছেন। করোনাকালে যে শিশুরা নতুন ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা মাতৃভাষা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষকেরা আরও বলেন, বিদ্যালয়ে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষার বই বিতরণ করা হলেও, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তাই শিক্ষকদের দক্ষতার অভাবে এসব বই পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে সরকার যে উদ্দেশ্যে মাতৃভাষায় বই প্রচলন করেছে, তা পূরণ হবে না।
মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, চর্চা না থাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করলেও, তাঁরা তাঁদের মাতৃভাষার লিখিত রূপ জানেন না। তাঁরা মুখে বলতে পারেন কিন্তু লিখতে পারেন না। এসব সমস্যা চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে কী করলে মাতৃভাষা শিক্ষার উন্নয়ন হবে, তা নিয়ে জেলা পরিষদ কাজ করবে। প্রয়োজনে শিক্ষকদের আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, পরিষদের সদস্য প্রবর্তক চাকমা, ইলিপন চাকমা, আব্দুর রহিম ও নিউচিং মারমা।
স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সদস্য ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক আহ্বায়ক প্রিয় নন্দ চাকমা। বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, জুরাছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা, কাউখালী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানস মুকুর চাকমা, রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীপিকা খীসা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মংসানু চৌধুরী, নিরূপা দেওয়ান, প্রমুখ।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগটি জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে জেলা পরিষদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে তদারক করে। ২০১৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষার বই বিতরণ করে সরকার।
করোনার কারণে থমকে গেছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা। চর্চার অভাবে শিক্ষকেরাও অনেক কিছু ভুলে গেছেন। গতকাল রোববার রাঙামাটি জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মাতৃভাষায় শিক্ষার অগ্রগতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেছেন শিক্ষকেরা।
বক্তারা বলেন, করোনা মহামারিকালে অন্য বিষয়গুলো অনলাইনে পাঠদানের আয়োজন থাকলেও, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা শিশুদের মাতৃভাষার বইয়ের ওপর কোনো আয়োজন ছিল না। এতে একদিকে শিশুরা তাদের মাতৃভাষা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে চর্চার অভাবে শিক্ষকেরা অনেক কিছু ভুলে গেছেন। করোনাকালে যে শিশুরা নতুন ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা মাতৃভাষা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষকেরা আরও বলেন, বিদ্যালয়ে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষার বই বিতরণ করা হলেও, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তাই শিক্ষকদের দক্ষতার অভাবে এসব বই পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে সরকার যে উদ্দেশ্যে মাতৃভাষায় বই প্রচলন করেছে, তা পূরণ হবে না।
মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, চর্চা না থাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করলেও, তাঁরা তাঁদের মাতৃভাষার লিখিত রূপ জানেন না। তাঁরা মুখে বলতে পারেন কিন্তু লিখতে পারেন না। এসব সমস্যা চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে কী করলে মাতৃভাষা শিক্ষার উন্নয়ন হবে, তা নিয়ে জেলা পরিষদ কাজ করবে। প্রয়োজনে শিক্ষকদের আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, পরিষদের সদস্য প্রবর্তক চাকমা, ইলিপন চাকমা, আব্দুর রহিম ও নিউচিং মারমা।
স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সদস্য ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক আহ্বায়ক প্রিয় নন্দ চাকমা। বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, জুরাছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা, কাউখালী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানস মুকুর চাকমা, রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীপিকা খীসা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মংসানু চৌধুরী, নিরূপা দেওয়ান, প্রমুখ।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগটি জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে জেলা পরিষদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে তদারক করে। ২০১৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষার বই বিতরণ করে সরকার।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে