মো. শামীম রেজা, রাজবাড়ী
রাজবাড়ীতে দিন দিন ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন রাজবাড়ী সদরসহ অন্যান্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। সদর হাসপাতালে শয্যাসংকটে বিপাকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। যে কারণে হাসপাতালের মেঝে ও গাছের নিচে অবস্থান করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাঁদের।
রোগীদের অভিযোগ, স্যালাইন ছাড়া অন্যান্য ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা নেই। ফলে হাসপাতালের মেঝেতে পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন দেড় শতাধিক রোগী। অনেক রোগীই আবার মেঝেতে জায়গা না পেয়ে হাসপাতালের কম্পাউন্ডে গাছের নিচে অবস্থান নিয়েছেন।
যেসব রোগী গাছের নিচে পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁরা গাছের ডালের সঙ্গে স্যালাইনের ব্যাগ ঝুলিয়ে রেখেছেন। অনেকে আবার স্যালাইন ঝোলানোর জায়গা না পেয়ে হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা একটু পরপরই রোগীর কাছে এসে ওষুধ সেবন করাচ্ছেন।
পৌর শহরের ধুঞ্চি এলাকা থেকে সদর হাসপাতালে আসা মোছা. বেগম আক্তার বলেন, দুই দিন ধরে তাঁর ছোট বোন মিনার ডায়রিয়া। বাজারের ফার্মেসি থেকে ওষুধ, স্যালাইন কিনে খাওয়ান। কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। রাত থেকে ডায়রিয়া বেশি হলে সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু হাসপাতালে শয্যা নেই, মেঝেতেও জায়গা নেই। যে কারণে পাটি বিছিয়ে গাছের নিচে রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে যে স্যালাইন দিয়েছে, সেটা ঝোলানোর জায়গা না থাকায় গাছের ডালে বেঁধে দিয়েছেন।
শহরের হরিসভা এলাকা থেকে আসা মিম আক্তার বলেন, গতকাল থেকে পেটে ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা। সকালে হাসপাতালে এসে কোনো শয্যা পাননি। সঙ্গে পাটিও আনেননি যে, সেখানে একটু শুয়ে থাকবেন। ফলে দাঁড়িয়ে থেকেই স্যালাইন নিতে হচ্ছে। খুবই ভোগান্তি হচ্ছে তাঁদের। রোগীদের শয্যার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।
মো. শরিফ নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘এখানে কোনো চিকিৎসা নেই। শয্যা নেই, মেজেতে জায়গা নেই। গাছতলায় অনেক রোগী পাটি পেতে আছেন। যাঁদের পাটি নেই, তাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন। জায়গা না পেয়ে রোগীকে নিয়ে আমি নালার (ড্রেন) পাশে রয়েছি। ড্রেন থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এতে রোগী সুস্থ তো দূরের কথা, আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে। এটা কোনো চিকিৎসাসেবা হলো? ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই। একমাত্র স্যালাইন ছাড়া অন্য সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।’
গত বুধবার সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স আইনুর নাহার বলেন, ১২ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছে আরও দেড় শতাধিক। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, প্রতিদিনই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পাতলা পায়খানা ও বমি; এ ধরনের রোগী বেশি আসছে। রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও ওষুধ রয়েছে। জায়গা না থাকায় অনেক রোগীই হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। একসঙ্গে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে শয্যা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ডায়রিয়ার প্রকোপের কারণ উদ্ঘাটনে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল টিম গঠন করা হয়ে। সেই টিমের অনুসন্ধানে এসেছে, বাইরের খোলা খাবার থেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডায়রিয়ার প্রকোপ কমাতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। খাওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে, বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
রাজবাড়ীতে দিন দিন ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন রাজবাড়ী সদরসহ অন্যান্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। সদর হাসপাতালে শয্যাসংকটে বিপাকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। যে কারণে হাসপাতালের মেঝে ও গাছের নিচে অবস্থান করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাঁদের।
রোগীদের অভিযোগ, স্যালাইন ছাড়া অন্যান্য ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা নেই। ফলে হাসপাতালের মেঝেতে পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন দেড় শতাধিক রোগী। অনেক রোগীই আবার মেঝেতে জায়গা না পেয়ে হাসপাতালের কম্পাউন্ডে গাছের নিচে অবস্থান নিয়েছেন।
যেসব রোগী গাছের নিচে পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁরা গাছের ডালের সঙ্গে স্যালাইনের ব্যাগ ঝুলিয়ে রেখেছেন। অনেকে আবার স্যালাইন ঝোলানোর জায়গা না পেয়ে হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা একটু পরপরই রোগীর কাছে এসে ওষুধ সেবন করাচ্ছেন।
পৌর শহরের ধুঞ্চি এলাকা থেকে সদর হাসপাতালে আসা মোছা. বেগম আক্তার বলেন, দুই দিন ধরে তাঁর ছোট বোন মিনার ডায়রিয়া। বাজারের ফার্মেসি থেকে ওষুধ, স্যালাইন কিনে খাওয়ান। কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। রাত থেকে ডায়রিয়া বেশি হলে সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু হাসপাতালে শয্যা নেই, মেঝেতেও জায়গা নেই। যে কারণে পাটি বিছিয়ে গাছের নিচে রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে যে স্যালাইন দিয়েছে, সেটা ঝোলানোর জায়গা না থাকায় গাছের ডালে বেঁধে দিয়েছেন।
শহরের হরিসভা এলাকা থেকে আসা মিম আক্তার বলেন, গতকাল থেকে পেটে ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা। সকালে হাসপাতালে এসে কোনো শয্যা পাননি। সঙ্গে পাটিও আনেননি যে, সেখানে একটু শুয়ে থাকবেন। ফলে দাঁড়িয়ে থেকেই স্যালাইন নিতে হচ্ছে। খুবই ভোগান্তি হচ্ছে তাঁদের। রোগীদের শয্যার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।
মো. শরিফ নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘এখানে কোনো চিকিৎসা নেই। শয্যা নেই, মেজেতে জায়গা নেই। গাছতলায় অনেক রোগী পাটি পেতে আছেন। যাঁদের পাটি নেই, তাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন। জায়গা না পেয়ে রোগীকে নিয়ে আমি নালার (ড্রেন) পাশে রয়েছি। ড্রেন থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এতে রোগী সুস্থ তো দূরের কথা, আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে। এটা কোনো চিকিৎসাসেবা হলো? ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই। একমাত্র স্যালাইন ছাড়া অন্য সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।’
গত বুধবার সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স আইনুর নাহার বলেন, ১২ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছে আরও দেড় শতাধিক। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, প্রতিদিনই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পাতলা পায়খানা ও বমি; এ ধরনের রোগী বেশি আসছে। রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও ওষুধ রয়েছে। জায়গা না থাকায় অনেক রোগীই হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। একসঙ্গে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে শয্যা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ডায়রিয়ার প্রকোপের কারণ উদ্ঘাটনে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল টিম গঠন করা হয়ে। সেই টিমের অনুসন্ধানে এসেছে, বাইরের খোলা খাবার থেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডায়রিয়ার প্রকোপ কমাতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। খাওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে, বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে