Ajker Patrika

ইতিবাচক ইঙ্গিত

সম্পাদকীয়
ইতিবাচক ইঙ্গিত

বুধবার আজকের পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় দুটি খবর ছাপা হয়েছে। দুটি খবরই দেশের জন্য ইতিবাচক। প্রথম খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ১৪ থেকে ১৬ মে তাঁর এই সফর হতে পারে। ঢাকায় তিনি নানা পর্যায়ে কয়েকটি বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে পারেন।

দ্বিতীয় খবরটি হলো: বাংলাদেশের জন্য রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রায় ছাড় দিয়েছে আইএমএফ। বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত হিসেবে ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ সংরক্ষণের যে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), এখন তা ১৭ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে এনেছে তারা। ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের ব্যাপারেও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে সংস্থাটি।

প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে ডোনাল্ড লুর আনুষ্ঠানিক বৈঠকের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে লু সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

সরকারের বাইরে নাগরিক সমাজ ও শ্রমিকের অধিকার নিয়ে কাজ করেন—এমন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে লু মতবিনিময় করবেন। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন সরকার ভিসা নীতি কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে গত জুলাই মাসে লু ঢাকা সফর করেন। লু যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। অন্য দেশের সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে লু কলকাঠি নেড়ে থাকেন বলে মনে করা হয়। শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতি কতটা কঠোর বা নমনীয়, সে বিষয়ে বাজারে নানা কথা চালু থাকলেও শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসন খুব চাপাচাপির সম্পর্ক বজায় রাখছে বলে অনেকেই মনে করেন না; বরং শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন সরকারের সঙ্গে কাজের সম্পর্ক চালিয়ে যেতে মার্কিন তরফের ইঙ্গিত হিসেবে লুর এই সফরকে দেখছেন বাংলাদেশের অনেকে।

আবার আইএমএফ শর্ত শিথিল করে যে বাংলাদেশের জন্য ঋণছাড়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে, সেটাও সামগ্রিকভাবে বর্তমান অবস্থায় অর্থনীতির জন্য ভালো। অর্থনীতি এখন নানামুখী চাপের মধ্যে আছে। মূল্যবৃদ্ধির চাপ অনেক সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে।

শেখ হাসিনার সরকার ও দেশের অর্থনীতি নিয়ে নানা নেতিবাচক প্রচারণা চলার মুখে এ খবর দুটি সরকারের জন্য নিঃসন্দেহে স্বস্তির। সবকিছু ঠিক থাকলে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় হবে আগামী জুনে। এই কিস্তির জন্য গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন শর্তের বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করছে মিশন।  

একটি বিষয় এখন পরিষ্কার, বিরুদ্ধ পক্ষ থেকে যত অপপ্রচারই করা হোক না কেন, সরকার দেশের বাইরে যেমন মিত্রহীন নয়, তেমনি দেশের ভেতরেও সরকারবিরোধীরা নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারছে না। অবশ্য তার মানে এই নয় যে সরকার যা খুশি তা-ই করার অবস্থানে আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার আমলে গভর্নর হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলাম: আহসান এইচ মনসুর

আলোচনায় ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী দেখার আকাঙ্ক্ষা, আইনি পথ কী

এক দশক পর প্রকাশ্যে গায়িকা ডাফি, শোনালেন অপহরণ ও ধর্ষণের ভয়াবহ বর্ণনা

জাতীয় ঈদগাহে যাবেন না রাষ্ট্রপতি, ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়বেন বঙ্গভবনে

শেখ হাসিনাকে ভারতে রেখে নির্বাচন পেছালে দেশের সংকট বাড়বে: ফখরুল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত