রাহুল শর্মা, ঢাকা
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি। এবার এ কার্যক্রম হচ্ছে নির্দিষ্ট সফটওয়্যারে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে। এত দিন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বদলি নিয়ে বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ ছিল। অনলাইনে বদলির জন্য ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা’ জারি করেছে সরকার। এই নির্দেশিকার কয়েকটি শর্তের কারণে আবেদনই করতে পারছেন না অধিকাংশ শিক্ষক।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, অনলাইনে বদলির জন্য যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তার কয়েকটি শর্ত বাস্তবসম্মত নয়। ফলে নামমাত্র কিছুসংখ্যক শিক্ষক বদলির জন্য আবেদন করতে পারছেন। আর অধিকাংশ শিক্ষকই আবেদনের সুযোগ হারাচ্ছেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয় উপজেলাভিত্তিক। তাই সাধারণ নিয়মে উপজেলার মধ্যেই শিক্ষকদের বদলি হতে হয়। তবে বিশেষ কারণে উপজেলা বা জেলা পরিবর্তনেরও সুযোগ রয়েছে।
জানা যায়, সমন্বিত বদলি নির্দেশিকার ৩ নম্বর ধারার ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, যেসব বিদ্যালয়ে চার বা তার কম শিক্ষক কর্মরত আছেন, কিংবা প্রতি ৪০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন, সেসব বিদ্যালয় থেকে সাধারণভাবে শিক্ষক বদলি করা যাবে না। নির্দেশিকার এই শর্তের কারণে বেশির ভাগ শিক্ষক বদলির জন্য আবেদন করতে পারছেন না।
নির্দেশিকার এই শর্তের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষকেরা বলেছেন, শর্তটির কারণেই যে বিদ্যালয়ে এই অনুপাতের বাইরে একজন শিক্ষকও আছেন, তাঁরা আবেদন করতে পারছেন না।এ নীতিমালায় কোনো শিক্ষকের স্বামী-স্ত্রী বেসরকারি চাকরিজীবী হলে, তাঁর স্বামী-স্ত্রীর কর্মস্থলে বদলির সুযোগও রাখা হয়নি। ফলে অনলাইন বদলির সুফল পাচ্ছেন না শিক্ষকেরা।
শিক্ষকেরা আরও বলেন, আগের নির্দেশিকায় উপজেলার বাইরে থেকে ২০ শতাংশ শিক্ষক বদলির সুযোগ থাকলেও এবার ২০২২-এর নির্দেশিকায় তা করা হয়েছে ১০ শতাংশ। এর ফলে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক উপজেলার বাইরে থেকে বদলি হয়ে আসার সুযোগ হারাচ্ছেন। বলা যায়, নীতিমালার বেশ কয়েকটি শর্ত বাস্তবসম্মত নয়। ফলে অধিকাংশ শিক্ষকই বদলির আবেদন করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদের অভিযোগ, নির্দেশিকার এসব শর্তের কারণে ৮০ শতাংশ শিক্ষক বদলির আবেদন করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি চালু হলো। কিন্তু কিছু শর্তের কারণে ৮০ শতাংশ শিক্ষকই আবেদন করতে পারছেন না। আমরা অতি দ্রুত এসব শর্ত বাতিল অথবা শিথিলের আহ্বান জানাই।’ তিনি আগের মতো প্রতিস্থাপন অথবা নিয়োগ সাপেক্ষে বদলির সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মনীষ চাকমা বলেন, ‘নির্দেশিকার কয়েকটি শর্তের কারণে শিক্ষকেরা আবেদন করতে পারছেন না, এমন অভিযোগ আমরা জেনেছি। আশা করছি খুব শিগগিরই বদলি নীতিমালাটি সংশোধন করা হবে।’
অনলাইনে বদলি যেভাবে
নতুন নিয়মানুযায়ী, বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষক প্রথমে অনলাইনে বদলির আবেদন করবেন। আবেদনটি প্রাথমিকভাবে অনলাইনেই যাচাই করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাঠাবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। উপজেলা কর্মকর্তা অনলাইনেই যাচাই করে পাঠাবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে। ডিপিইও সেটি মঞ্জুর বা নামঞ্জুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে পাঠিয়ে দেবেন আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। ডিপিইওর সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা কর্মকর্তা বদলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবেন। এরপর সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তাঁর আবেদনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনলাইনেই জেনে যাবেন।
তিন ধাপের এই যাচাইয়ে প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিন দিন করে সময় পাবেন। এই তিন দিনের মধ্যে যাচাই করে নিষ্পত্তি না করলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত পরবর্তী ব্যক্তির কাছে চলে যাবে।
সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির অনলাইন আবেদন শুরু হয় ১৫ সেপ্টেম্বর। এর আগে গত ৩০ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক (পাইলটিং) উদ্বোধন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। এখন নতুন করে আরও ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি। এবার এ কার্যক্রম হচ্ছে নির্দিষ্ট সফটওয়্যারে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে। এত দিন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বদলি নিয়ে বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ ছিল। অনলাইনে বদলির জন্য ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা’ জারি করেছে সরকার। এই নির্দেশিকার কয়েকটি শর্তের কারণে আবেদনই করতে পারছেন না অধিকাংশ শিক্ষক।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, অনলাইনে বদলির জন্য যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তার কয়েকটি শর্ত বাস্তবসম্মত নয়। ফলে নামমাত্র কিছুসংখ্যক শিক্ষক বদলির জন্য আবেদন করতে পারছেন। আর অধিকাংশ শিক্ষকই আবেদনের সুযোগ হারাচ্ছেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয় উপজেলাভিত্তিক। তাই সাধারণ নিয়মে উপজেলার মধ্যেই শিক্ষকদের বদলি হতে হয়। তবে বিশেষ কারণে উপজেলা বা জেলা পরিবর্তনেরও সুযোগ রয়েছে।
জানা যায়, সমন্বিত বদলি নির্দেশিকার ৩ নম্বর ধারার ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, যেসব বিদ্যালয়ে চার বা তার কম শিক্ষক কর্মরত আছেন, কিংবা প্রতি ৪০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন, সেসব বিদ্যালয় থেকে সাধারণভাবে শিক্ষক বদলি করা যাবে না। নির্দেশিকার এই শর্তের কারণে বেশির ভাগ শিক্ষক বদলির জন্য আবেদন করতে পারছেন না।
নির্দেশিকার এই শর্তের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষকেরা বলেছেন, শর্তটির কারণেই যে বিদ্যালয়ে এই অনুপাতের বাইরে একজন শিক্ষকও আছেন, তাঁরা আবেদন করতে পারছেন না।এ নীতিমালায় কোনো শিক্ষকের স্বামী-স্ত্রী বেসরকারি চাকরিজীবী হলে, তাঁর স্বামী-স্ত্রীর কর্মস্থলে বদলির সুযোগও রাখা হয়নি। ফলে অনলাইন বদলির সুফল পাচ্ছেন না শিক্ষকেরা।
শিক্ষকেরা আরও বলেন, আগের নির্দেশিকায় উপজেলার বাইরে থেকে ২০ শতাংশ শিক্ষক বদলির সুযোগ থাকলেও এবার ২০২২-এর নির্দেশিকায় তা করা হয়েছে ১০ শতাংশ। এর ফলে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক উপজেলার বাইরে থেকে বদলি হয়ে আসার সুযোগ হারাচ্ছেন। বলা যায়, নীতিমালার বেশ কয়েকটি শর্ত বাস্তবসম্মত নয়। ফলে অধিকাংশ শিক্ষকই বদলির আবেদন করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদের অভিযোগ, নির্দেশিকার এসব শর্তের কারণে ৮০ শতাংশ শিক্ষক বদলির আবেদন করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি চালু হলো। কিন্তু কিছু শর্তের কারণে ৮০ শতাংশ শিক্ষকই আবেদন করতে পারছেন না। আমরা অতি দ্রুত এসব শর্ত বাতিল অথবা শিথিলের আহ্বান জানাই।’ তিনি আগের মতো প্রতিস্থাপন অথবা নিয়োগ সাপেক্ষে বদলির সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মনীষ চাকমা বলেন, ‘নির্দেশিকার কয়েকটি শর্তের কারণে শিক্ষকেরা আবেদন করতে পারছেন না, এমন অভিযোগ আমরা জেনেছি। আশা করছি খুব শিগগিরই বদলি নীতিমালাটি সংশোধন করা হবে।’
অনলাইনে বদলি যেভাবে
নতুন নিয়মানুযায়ী, বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষক প্রথমে অনলাইনে বদলির আবেদন করবেন। আবেদনটি প্রাথমিকভাবে অনলাইনেই যাচাই করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাঠাবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। উপজেলা কর্মকর্তা অনলাইনেই যাচাই করে পাঠাবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে। ডিপিইও সেটি মঞ্জুর বা নামঞ্জুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে পাঠিয়ে দেবেন আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। ডিপিইওর সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা কর্মকর্তা বদলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবেন। এরপর সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তাঁর আবেদনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনলাইনেই জেনে যাবেন।
তিন ধাপের এই যাচাইয়ে প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিন দিন করে সময় পাবেন। এই তিন দিনের মধ্যে যাচাই করে নিষ্পত্তি না করলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত পরবর্তী ব্যক্তির কাছে চলে যাবে।
সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির অনলাইন আবেদন শুরু হয় ১৫ সেপ্টেম্বর। এর আগে গত ৩০ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক (পাইলটিং) উদ্বোধন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। এখন নতুন করে আরও ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে