কে এম মিঠু, গোপালপুর
দুই বছর আগে একটি স্ল্যাব ও দুটি গার্ডারে ফাটল ধরে। সেতুতে ভারী যানবাহন উঠলেই কাঁপত। তাই দেড় বছর আগে যান পারাপার বন্ধের জন্য বিপজ্জনক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়। তাতেও কাজ হয়নি। তাই সেতুর দুই পাশের মাটি খুঁড়ে করা হয়েছে খন্দক। ব্যস্ততম গোপালপুর-ভূঞাপুর সড়কের বৈরান নদীর ওপর এমন জীর্ণ সেতু নিয়ে বিপাকে পড়েছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
পৌরসভার সুতী পলাশ এলাকার সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে বৈরান নদীর ওপর বলাটা সেতু নির্মাণ করা হয়। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুরের মানুষ ভূঞাপুর হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পাড়ি দিয়ে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে এই সেতু ব্যবহার করে। দুই বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বৈরান নদী খননের সময় অপরিকল্পিতভাবে সেতুর নিচের মাটি কেটে নেয়। পরে বর্ষাকালের স্রোতে মাটি ধুয়ে সেতুর পিলার আলগা হয়ে যায়। ফলে সেতুটি বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস জানায়, ১ হাজার মিটার চেইনেজ ও ৮০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডারের বলাটা সেতুর একটি স্ল্যাব ও দুটি গার্ডারে ফাটল ধরেছে। ফলে সেতুটির এক পাশ কিছুটা কাত হয়ে গেছে। ভারী যানবাহন উঠলে এটি কাঁপতে থাকে। যেকোনো সময় সেতুটি ধসে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
গোপালপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুমন মাহমুদ বলেন, ‘এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ঝুঁকি নিয়ে যায়। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে এখানে দ্রুততার সঙ্গে একটি নতুন সেতু নির্মাণের দাবি করছি।’
মাদারজানী গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে গোপালপুর উপজেলা শহরে যেতে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। কিন্তু সেতুটি নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় অনেক ঘুরে শহরে যেতে হয়। এতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে।’
বলাটা সেতু দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী সোলায়মান হোসেন, মোতালেব মিয়া ও মোজাম্মেল হক বলেন, এই সেতু দিয়ে টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলার মানুষ খুব সহজে বঙ্গবন্ধু সেতু পাড়ি দিয়ে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করে। তবে ঢাকা, ময়মনসিংহ অথবা টাঙ্গাইলে অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরতে হয়। জনগণের ভোগান্তি লাঘবে ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু ভেঙে এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেন বলেন, এলজিইডি প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালপুর-ভূঞাপুর ভায়া ফলদা সড়ক নির্মাণ করছে। কিন্তু জীর্ণ ও নড়বড়ে বলাটা সেতু ভেঙে সেখানে নতুন সেতু নির্মাণ না করায় জনগণ সড়কের সুফল পাচ্ছে না। টানা দুই বছর ধরে উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় এ সেতু নিয়ে কথা হয় এবং ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এলজিইডি মানুষের দুর্ভোগকে পাত্তা দিচ্ছে না। ভারী ও মাঝারি যানবাহন ২০-২৫ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যেতে ভোগান্তি হচ্ছে।
গোপালপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, বলাটা সেতুর বিপজ্জনক অবস্থা এবং মানুষের ভোগান্তি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক ভোগান্তির সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আপাতত এখানে বেইলি সেতু নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে।
দুই বছর আগে একটি স্ল্যাব ও দুটি গার্ডারে ফাটল ধরে। সেতুতে ভারী যানবাহন উঠলেই কাঁপত। তাই দেড় বছর আগে যান পারাপার বন্ধের জন্য বিপজ্জনক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়। তাতেও কাজ হয়নি। তাই সেতুর দুই পাশের মাটি খুঁড়ে করা হয়েছে খন্দক। ব্যস্ততম গোপালপুর-ভূঞাপুর সড়কের বৈরান নদীর ওপর এমন জীর্ণ সেতু নিয়ে বিপাকে পড়েছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
পৌরসভার সুতী পলাশ এলাকার সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে বৈরান নদীর ওপর বলাটা সেতু নির্মাণ করা হয়। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুরের মানুষ ভূঞাপুর হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পাড়ি দিয়ে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে এই সেতু ব্যবহার করে। দুই বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বৈরান নদী খননের সময় অপরিকল্পিতভাবে সেতুর নিচের মাটি কেটে নেয়। পরে বর্ষাকালের স্রোতে মাটি ধুয়ে সেতুর পিলার আলগা হয়ে যায়। ফলে সেতুটি বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস জানায়, ১ হাজার মিটার চেইনেজ ও ৮০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডারের বলাটা সেতুর একটি স্ল্যাব ও দুটি গার্ডারে ফাটল ধরেছে। ফলে সেতুটির এক পাশ কিছুটা কাত হয়ে গেছে। ভারী যানবাহন উঠলে এটি কাঁপতে থাকে। যেকোনো সময় সেতুটি ধসে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
গোপালপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুমন মাহমুদ বলেন, ‘এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ঝুঁকি নিয়ে যায়। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে এখানে দ্রুততার সঙ্গে একটি নতুন সেতু নির্মাণের দাবি করছি।’
মাদারজানী গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে গোপালপুর উপজেলা শহরে যেতে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। কিন্তু সেতুটি নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় অনেক ঘুরে শহরে যেতে হয়। এতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে।’
বলাটা সেতু দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী সোলায়মান হোসেন, মোতালেব মিয়া ও মোজাম্মেল হক বলেন, এই সেতু দিয়ে টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলার মানুষ খুব সহজে বঙ্গবন্ধু সেতু পাড়ি দিয়ে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করে। তবে ঢাকা, ময়মনসিংহ অথবা টাঙ্গাইলে অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরতে হয়। জনগণের ভোগান্তি লাঘবে ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু ভেঙে এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেন বলেন, এলজিইডি প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালপুর-ভূঞাপুর ভায়া ফলদা সড়ক নির্মাণ করছে। কিন্তু জীর্ণ ও নড়বড়ে বলাটা সেতু ভেঙে সেখানে নতুন সেতু নির্মাণ না করায় জনগণ সড়কের সুফল পাচ্ছে না। টানা দুই বছর ধরে উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় এ সেতু নিয়ে কথা হয় এবং ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এলজিইডি মানুষের দুর্ভোগকে পাত্তা দিচ্ছে না। ভারী ও মাঝারি যানবাহন ২০-২৫ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যেতে ভোগান্তি হচ্ছে।
গোপালপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, বলাটা সেতুর বিপজ্জনক অবস্থা এবং মানুষের ভোগান্তি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক ভোগান্তির সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আপাতত এখানে বেইলি সেতু নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪