পিঠা বিক্রি করে জীবিকা

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ০৮
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ১৫

শীত মৌসুমে ভাসমান পিঠার দোকানে বিক্রি বেড়ে যায়। পিঠা বিক্রেতাদের দাবি, শীত এলেই তাঁদের সংসারে সচ্ছলতা আসে। এ সময় চিতই পিঠার পাশাপাশি বিক্রি বেড়ে যায় খেজুর গুড় আর নারকেলের তৈরি ভাপা পিঠার। সাধারণত বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেন পিঠা বিক্রেতারা।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, শীতের সময়ে পিঠার দোকানে ক্রেতার সংখ্যা বেশি। ধোঁয়া ওঠা গরম পিঠায় আড্ডা জমে উঠে পিঠার দোকানে। স্থায়ী বা মৌসুমি পিঠার দোকানগুলোর অধিকাংশই পরিচালিত হয় নারীদের মাধ্যমে। সংসারে পুরুষের পাশাপাশি উপার্জনে বাড়তি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য দিন দিন বেড়েছে নারীদের এই পিঠার দোকান। এতে করে সংসারে কিছুটা বাড়তি উপার্জন হচ্ছে।

আলাপের সময় পিঠা বিক্রেতা মরিয়ম জানান, শীতে চিতই পিঠার চাহিদা বাড়ে। নানা রকম ভর্তা দিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় পিঠা খেতে ভিড় লেগে থাকে। একই সঙ্গে ভাপা পিঠাও প্রচুর বিক্রি হয়। শীতের দিনে গরমের যন্ত্রণা থাকে না। লোকজন শান্তি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে খেতে পারে। এ কারণে শীতে বছরের অন্য সময়ের চেয়ে পিঠা বিক্রি দুই থেকে তিনগুণ বাড়ে।

আরেক পিঠা বিক্রেতা সালমা জানান, পিঠা তৈরির ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীর অভিজ্ঞতা বেশি। বাড়িতেও নারীরাই পিঠা তৈরি করে। এ কারণেই বেশির ভাগ পিঠার দোকান নারীদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

পিঠা কিনতে এসে অপেক্ষায় থাকা ইমতিয়াজ জানান, শীতের সময় চিতই, ভাপা পিঠা খেতে ভালো লাগে। বিশেষ করে নানা রকম ভর্তা দিয়ে গরম চিতই পিঠার স্বাদই আলাদা। এটা গরমের সময় ততটা খাওয়া যায় না। তা ছাড়া ভাপা পিঠাও বেশ মজার। এ সময় পিঠার জন্য দোকানে সিরিয়াল দেওয়া লাগে। বিকেলের নাশতায় চিতই আর ভাপা পিঠা যোগ করে নতুন মাত্রা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত