ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
আজ ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন মাগুরা পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে মাগুরার মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন মাগুরা ও ঝিনাইদহ মহকুমার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও ফরিদপুর জেলার একটি অংশকে শত্রুমুক্ত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন। এখানকার মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা তৎকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছে। মাগুরামুক্ত দিবসে দিনব্যাপী বিশেষ আয়োজন রয়েছে মাগুরা জেলা প্রশাসনের।
১৯৭১ সালের এই ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ পাক হানাদার বাহিনী আর তাদের দোসরদের কোণঠাসা করে ফেলে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যশোর থেকে পাকিস্তানি সেনাদের একটি অংশ তাড়া খেয়ে মাগুরায় পালিয়ে আসে। মাগুরায় তারা তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে।
মিত্রবাহিনীর সঙ্গে মাগুরার মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুবাহিনীকে মাগুরা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী এবং মিত্রবাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। এই দিনের প্রত্যক্ষদর্শী তখন মাগুরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সেতারা বেগম স্মৃতিচারণা করে জানান, সকাল থেকে চারদিকে নিস্তব্ধতা। হঠাৎ বেলা ১০টার পর বিমানে উড়ে এলে। আমাদের বাড়ি পারনান্দুয়ালীতে। বড় ভাই মাটির নিচে আগে থেকেই বাংকার করে রেখেছেন। ওখানে আমি ও আমার ভাইদের সন্তানেরা মিলে পালালাম। মাটির নিচে এতগুলো মানুষের নিশ্বাস নিতে মাত্র একটি পাইপ ওপরে ওঠানো ছিল। ভারতীয় বাহিনীরা ট্যাংক নিয়ে পারনান্দুয়ালী গ্রামে গেল। তাঁরা আমাদের বলল এখন এটা যুদ্ধ ময়দান। আপনারা এখান থেকে সরে যান। তখন নোমানী ময়দানে তেলের ট্যাংকে আগুন জ্বলতে দেখায়। মাথার ওপর দিয়ে মর্টার শেল, গুলি যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস পাড়ার দিকে যেতে লাগলাম। চারদিকে শুধু বোমা আর গুলি, মর্টার শেলের শব্দ। সারা দিন এ রকম ছিল। পরে গিয়ে শুনলাম পাকিস্তান বাহিনীর পালিয়েছে। মাগুরা ত্যাগ করে ফরিদপুরের কামারখালী অভিমুখে চলে যেতে বাধ্য হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় আকবর হোসেন মিয়া এবং মোল্লা নবুয়ত আলীর নেতৃত্বে শ্রীপুর বাহিনী মাগুরায় প্রবেশ করে প্রশাসনিক দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন জানান, এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাঁদের দোসররা মাগুরা ত্যাগ করে। এ সময় মুক্তিপাগল জনতা রাস্তায় নেমে আসে। এভাবেই ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ মাগুরা হানাদারমুক্ত হয়।
এদিকে, মাগুরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে মাগুরায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মাগুরা জেলা প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মাগুরা পৌরসভাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিনভর এসব কর্মসূচি পালন করছে। যার মধ্যে রয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা, সন্ধ্যায় ব্ল্যাক আউটের মাধ্যমে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশেষ করে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে রয়েছে প্রতিটি অনুষ্ঠানে বিশেষ চমক বলে জানা গেছে জেলা প্রশাসন সূত্রে।
মাগুরা সদরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াছিন কবীর বলেন, ‘মাগুরায় এবার মাগুরা মুক্ত দিবস ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে, যা এবারই মাগুরায় প্রথম আয়োজিত হচ্ছে।’
আজ ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন মাগুরা পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে মাগুরার মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন মাগুরা ও ঝিনাইদহ মহকুমার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও ফরিদপুর জেলার একটি অংশকে শত্রুমুক্ত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন। এখানকার মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা তৎকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছে। মাগুরামুক্ত দিবসে দিনব্যাপী বিশেষ আয়োজন রয়েছে মাগুরা জেলা প্রশাসনের।
১৯৭১ সালের এই ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ পাক হানাদার বাহিনী আর তাদের দোসরদের কোণঠাসা করে ফেলে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যশোর থেকে পাকিস্তানি সেনাদের একটি অংশ তাড়া খেয়ে মাগুরায় পালিয়ে আসে। মাগুরায় তারা তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে।
মিত্রবাহিনীর সঙ্গে মাগুরার মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুবাহিনীকে মাগুরা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী এবং মিত্রবাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। এই দিনের প্রত্যক্ষদর্শী তখন মাগুরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সেতারা বেগম স্মৃতিচারণা করে জানান, সকাল থেকে চারদিকে নিস্তব্ধতা। হঠাৎ বেলা ১০টার পর বিমানে উড়ে এলে। আমাদের বাড়ি পারনান্দুয়ালীতে। বড় ভাই মাটির নিচে আগে থেকেই বাংকার করে রেখেছেন। ওখানে আমি ও আমার ভাইদের সন্তানেরা মিলে পালালাম। মাটির নিচে এতগুলো মানুষের নিশ্বাস নিতে মাত্র একটি পাইপ ওপরে ওঠানো ছিল। ভারতীয় বাহিনীরা ট্যাংক নিয়ে পারনান্দুয়ালী গ্রামে গেল। তাঁরা আমাদের বলল এখন এটা যুদ্ধ ময়দান। আপনারা এখান থেকে সরে যান। তখন নোমানী ময়দানে তেলের ট্যাংকে আগুন জ্বলতে দেখায়। মাথার ওপর দিয়ে মর্টার শেল, গুলি যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস পাড়ার দিকে যেতে লাগলাম। চারদিকে শুধু বোমা আর গুলি, মর্টার শেলের শব্দ। সারা দিন এ রকম ছিল। পরে গিয়ে শুনলাম পাকিস্তান বাহিনীর পালিয়েছে। মাগুরা ত্যাগ করে ফরিদপুরের কামারখালী অভিমুখে চলে যেতে বাধ্য হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় আকবর হোসেন মিয়া এবং মোল্লা নবুয়ত আলীর নেতৃত্বে শ্রীপুর বাহিনী মাগুরায় প্রবেশ করে প্রশাসনিক দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন জানান, এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাঁদের দোসররা মাগুরা ত্যাগ করে। এ সময় মুক্তিপাগল জনতা রাস্তায় নেমে আসে। এভাবেই ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ মাগুরা হানাদারমুক্ত হয়।
এদিকে, মাগুরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে মাগুরায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মাগুরা জেলা প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মাগুরা পৌরসভাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিনভর এসব কর্মসূচি পালন করছে। যার মধ্যে রয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা, সন্ধ্যায় ব্ল্যাক আউটের মাধ্যমে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশেষ করে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে রয়েছে প্রতিটি অনুষ্ঠানে বিশেষ চমক বলে জানা গেছে জেলা প্রশাসন সূত্রে।
মাগুরা সদরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াছিন কবীর বলেন, ‘মাগুরায় এবার মাগুরা মুক্ত দিবস ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে, যা এবারই মাগুরায় প্রথম আয়োজিত হচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে