ভারপ্রাপ্তরা চালাচ্ছেন ৩০ প্রাথমিক বিদ্যালয়

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২২, ০৫: ৫৯
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১৫: ৩৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২৬টি। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ রয়েছে ১২০টি। এর মধ্যে ৩০টি বিদ্যালয় চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এ ছাড়া ৯০টি পদ শূন্য রয়েছে সহকারী শিক্ষকের।

ফলে মানসম্মত শিক্ষা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তা ছাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসেও রয়েছে জনবল সংকট। তাই ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষক এনে শিক্ষা অফিসের জরুরি কাজ করানো হয়। অন্যদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিস বলছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগ বন্ধ থাকায় অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শূন্য রয়েছে এ পদটি। ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে চালানো হচ্ছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শূন্য পদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তখন এ সংকট কেটে যাবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ১২০টি পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসেও ৯টি পদ শূন্য। এর মধ্যে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার ৭টি পদের মধ্যে ৫টিই শূন্য রয়েছে। শিক্ষা অফিসে জনবল কম থাকায় শিক্ষকের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষক এনে অফিসের জরুরি কাজ করতে হচ্ছে।

কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকলে কোনো শৃঙ্খলা থাকে না। শিক্ষকেরা নিজেদের ইচ্ছামতো চলেন। এ ছাড়া একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি দাপ্তরিক কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অংশ নিতে পারেন না।

কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার কারণে শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে ঠিকমতো পাঠদানে মনোনিবেশ করতে পারছেন না। এক ক্লাসে শিক্ষক গেলে অন্য ক্লাসে শিক্ষার্থীরা হইচই করে।

উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের শোলাকান্দি মহিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মূর্তুজ আলী বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ৫টি পদ থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন ৪ জন। দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে স্কুল। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষকস্বল্পতার কারণে স্কুলের দপ্তরি দিয়েও ক্লাস নেওয়া হয়।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজীজ বলেন, ‘শিক্ষকস্বল্পতা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি। কিছুদিনের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তখন এ সংকট কেটে যাবে। এ ছাড়া লেখাপড়ার মান বৃদ্ধিতে আমরা স্কুলগুলোকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত