লম্বা সময়েও থিতু হতে পারেননি ইমরুলরা

প্রিন্স রাসেল, ঢাকা
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২২, ০৬: ৫২
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, ১১: ৪০

বাংলাদেশ ক্রিকেটের আজকের অবস্থানে আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয় পাঁচ বড় তারকার নাম—মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নাম। এই তালিকায় আরও নাম বাড়তে পারত। কিন্তু তাঁদের কাছাকাছি সময়ে অমিত প্রতিভা নিয়ে আবির্ভূত অনেকেই যে এগোতে পারেননি প্রত্যাশা অনুযায়ী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের ১০ বছর বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন, ইমরুল কায়েসের নাম আসে না পাঁচ তারকার সঙ্গে।

লম্বা এই সময়ে জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকতে হয়েছে শফিউল, রুবেল, ইমরুলের মতো অভিজ্ঞ তিন ক্রিকেটারকে। বাংলাদেশ দলের জন্য কোনো সংস্করণেই তাঁরা অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারেননি। নেপথ্য কারণ— চোট, ছন্দ হারিয়ে ফেলা, নির্বাচকদের উপেক্ষা কিংবা শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা। হতাশার মধ্যেও আলোর রেখা খুঁজে বেড়ান তাঁরা। এখনো স্বপ্ন দেখেন জাতীয় দলে ফেরার। যদিও কাজটা কঠিন। জাতীয় দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও বেড়েছে। বর্তমান সময়ের তরুণেরা বড় চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দিচ্ছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের।

তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের হয়ে ৯১টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করা শফিউলের অবশ্য জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে কোনো অনুযোগ নেই। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এটা আমার দুর্ভাগ্য। চোটের কারণে আমাকে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। পিঠ ও কাঁধের চোটে আমাকে অনেক ভুগতে হয়েছে।’

 চোটের ভোগান্তি আছে আরেক পেসার রুবেলেরও। ১৩ বছরে খেলেছেন ১৫৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তবে বাদ পড়ার কারণ হিসেবে নির্বাচকদের ভাবনাকেও পরোক্ষভাবে দায়ী করছেন রুবেল, ‘সব ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলকে অনেক দিন সেবা দেওয়ার। আমারও তেমন ছিল। এটা সত্যি, আমার ক্যারিয়ার লম্বা হয়নি বা একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ওয়ানডে সংস্করণে আমার পারফরম্যান্স খুব ভালো, রেকর্ডও ভালো। এমন নয় যে ভালো না করেই বাদ পড়েছি। ভালো খেলেই বাদ পড়েছি। (বাদ পড়ার আগে) শেষ দিকেও ভালো ছিলাম। আমার বড় কোনো চোট ছিল না। তবু কেন নির্বাচকেরা নেননি, জানি না। চেষ্টা করব ভালো করার। বাকিটা তাঁদের সিদ্ধান্ত।’

বাংলাদেশ দল থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া ইমরুলের অভিযোগটাও প্রায় একই। ১৩১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এ ওপেনার বলেন, ‘জাতীয় দল আমার জন্য ভালো লাগার জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। টাকা আয় করতে চাইলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেও করা যায়। আমি সব সময় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখেছি। চেষ্টা করেছি সব সময়। এখন ভালো করলে তো হবে না, দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা নির্বাচকদের। আমার কাজ পারফর্ম করে যাওয়া। আমি সেটাই করব।’

ইমরুল সর্বশেষ বাংলাদেশ দলে খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারত সফরের টেস্টে। রুবেল সর্বশেষ খেলেছেন গত বছর নিউজিল্যান্ড সফরে। ৩২ বছর বয়সী পেসার অবশ্য গত বছর টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ছিলেন স্ট্যান্ডবাই সদস্য হিসেবে। শফিউলের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আবার কবে চেনা ড্রেসিংরুমে ফিরবেন, উত্তর সময়ের হাতে তুলে দেওয়া ছাড়া আপাতত কিছুই করার নেই তাঁদের।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত