আবু রায়হান
কখনো মনে প্রশ্ন জাগে, আমাদের দেশের মানুষ কি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের উপযুক্ত হয়ে উঠেছে? নাকি প্রস্তুতিহীন মানুষের হাতে এমন একটি অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে, যা দিয়ে একটি জাতির সংস্কৃতি নিধন করা সম্ভব?
কেন এ প্রশ্ন এল? আলোচনা শুধু ফেসবুক আর ইউটিউবে সীমাবদ্ধ রাখলে বোঝা সহজ হবে। লেখালেখির জগৎ নিয়ে কিছুটা আলোচনা করে ফেসবুক আর ইউটিউবে ঢুকব।
শিল্পকলা তো শুরু হয়েছিল মানুষের প্রয়োজনেই, তার নান্দনিকতা বিকশিত করে তোলার জন্য। শুরুতে সবাই বুঝতে পারত শিল্পের মানে। কিন্তু আধুনিক শিল্পকলা যখন বিমূর্ত হয়ে উঠল, তখন প্রথাগত শিল্পকলা আস্বাদনকারীরা আহত হলেন। সরাসরি বোধগম্য শিল্পকলার জায়গায় এসে হাজির হয়েছে এমন কিছু, যা নিজের বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে কিছুই বোঝা যায় না। শিল্পকলা বুঝতে হলে যে তার অন্তরকে ছুঁতে হবে, এটা বুঝতে পারেনি অনেকে। যা সহজেই বোঝা যায়, তার বাইরে গিয়ে দাঁড়াল আধুনিক শিল্পকলা। কিছুটা রহস্যময় এই জগৎ নিল নান্দনিকতার স্বাদ।
এই রহস্যময় জগতে সবাই সমানভাবে প্রবেশ করতে পারে না। তাই যারা নিজেদের তৈরি করে নিয়েছে, তারাই সেখানে প্রবেশ করবে। ফলে আধুনিক শিল্পকলা জনপ্রিয় হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই।
সংস্কৃতি তো আরও ভালোভাবে বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে ফেরে। আজ যেমন আছি, তার চেয়ে একটু ভালো থাকব, আরও একটু রুচিমান হব, এই প্রতিজ্ঞা থাকে তাতে। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে হিসাব-নিকাশ বেশ বদলে গেছে। যে ফেসবুক ও ইউটিউবের কথা বলছিলাম, সেদিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, আধুনিকতার দুর্বোধ্য থেকে মুক্তি পেয়ে গেছে মানুষ। এখন যে কেউ যেকোনোভাবে যেকোনো কিছু বললেই তাকে শিল্প বলে ঠাহর করে নিতে হচ্ছে। ফেসবুকে যে রিলগুলো দেখা যায়, তাতে নান্দনিকতা আছে কি না আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। যে কেউ যেকোনো কিছু তৈরি করবে, অথচ তার বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। এটা নাকি অধিকার। শিল্প কী, তা না বুঝে সবাই শিল্পী হয়ে উঠছে। কোনো দায়িত্ব না নিয়েই যেকোনো স্ট্যাটাস দেওয়া সম্ভব এখন এবং সেই স্ট্যাটাসে কোনো দায়িত্ব না নিয়েই যেকোনো মন্তব্য করা সম্ভব। শুধু কি তা-ই, গালাগাল করার জন্যও খুবই প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে ফেসবুক। যাকে ইচ্ছা গালি দিলেও তাতে কারও কিছু আসে-যায় না।
ইউটিউবের ব্যাপারেও একই কথা বলা যায়। এ মাধ্যম ব্যবহার করে তথ্যসূত্র ছাড়াই এমন সব মিথ্যা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব, যা শুনে শ্রোতারা ভুল পথে যেতে পারে। খেয়াল করে দেখা গেছে, ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি আক্রমণের শিকার হন নারীরা। নারীদের নিয়ে এমন সব মন্তব্য করা হয়, যা কোনো সভ্য সমাজে ব্যবহার করা যায় না। আর বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এ ধরনের মন্তব্য অসংখ্য। এটা বোঝাই যায় যে আমাদের সমাজব্যবস্থা এ ধরনের মানসিকতাই তৈরি করেছে। এত দিন প্রকাশের সুযোগ ছিল না বলে এদের স্বরূপ বোঝা যায়নি। এখন সুযোগ পেয়ে সবাই তার আসল চেহারা দেখাতে শুরু করেছে।
খাঁটি দেশপ্রেম কোনো মামুলি বিষয় নয়। দেশপ্রেমী হতে হলে মুখে মুখে শুধু দেশপ্রেমের কথা বললে হয় না। শব্দটির অতিব্যবহার দেশপ্রেমকেই ক্লিশে করে দিতে পারে। দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটে কাজে। কে সুচারুভাবে নিজের কাজটি করল, যে কাজ অন্য মানুষের উপকারে লেগেছে, সেটাই দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। আমাদের এখানে কথায় দেশপ্রেমের যে তুবড়ি ছোটে, কাজে তা খুব একটা দেখা যায় না। এই মানসিক অবস্থাটা জাতির জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। ফেসবুকেও দেশপ্রেম নিয়ে যে আদিখ্যেতা হয়, তা বাস্তবজীবনে দেখতে পাওয়া যায় কম।
প্রযুক্তি ব্যবহার করার কিছু রীতি-নীতি আছে। আমরা এখনো সবাই তা রপ্ত করে উঠতে পারিনি। যেকোনো মাধ্যমের মতো প্রযুক্তিকেও ভালো বা খারাপ কাজে লাগানো যায়। আমরা মনে হয়, ভালোর চেয়ে খারাপটাতেই বেশি আকৃষ্ট হই। প্রচার চলে এমন সব বিষয়ে, যেগুলোর মাথামুণ্ডু নেই। রবীন্দ্র-বিরোধিতার প্রকাশ দেখা যায় বহু শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে। সেই যে ছড়িয়ে যাওয়া গল্পটির কথা বলা যায়। কীভাবে কে জানে, কেউ একজন সেই কবে ছড়িয়ে দিয়েছিল রবীন্দ্রনাথের নোবেল বিজয়ে প্রতারণার গল্পটি। গল্পটি হলো এমন: রবীন্দ্রনাথের চেয়ে নজরুল ছিলেন অনেক বেশি প্রতিভাধর। নোবেল কমিটি নজরুলকেই নোবেল পুরস্কার দেবে বলে মনস্থ করেছিল। সে খবর পেয়ে রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে বিষ খাইয়ে পাগল বানিয়ে দেন। তারপর নোবেল পুরস্কারটি তিনি বাগিয়ে নেন।
যেকোনো যৌক্তিক মন প্রথমেই প্রশ্ন তুলবে, রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে বিষ খাইয়ে দিল আর নোবেল কমিটি নজরুলের জায়গায় রবীন্দ্রনাথকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করল—এ হয় কী করে?
আচ্ছা, উর্বর মস্তিষ্কের এই ভাবনা না হয় কোনোভাবে মেনে নেওয়া গেল, কিন্তু কেউ কি চোখ রাখলেন না নোবেল পুরস্কারের সালটার দিকে? রবীন্দ্রনাথ যখন নোবেল পেলেন, তখন ১৯১৩ সাল চলছে। সে সময় নজরুল কী করে বিখ্যাত কবি হয়ে গেলেন? নজরুলের জন্ম ১৮৯৯ সালে। তাহলে রবীন্দ্রনাথের নোবেল বিজয়ের সময় নজরুলের বয়স ১৪। ১৪ বছর বয়সে কি নজরুলের কোনো লেখা কারও নজরে পড়েছে?
এই আলাপ তো মামুলি, এর চেয়ে কত বড় বড় মিথ্যা কথা যে ছড়ানো আছে নেটজগতে, তা বলে শেষ করা যাবে না। স্ক্রল করে ফেসবুকের দিকে চোখ রাখতে থাকলেই তা নজরে পড়বে। ইউটিউবেও বেমালুম মিথ্যার বেসাতি চোখে পড়বে।
প্রশ্ন জাগে মনে, আমরা কি ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য সত্যিই প্রস্তুত ছিলাম? সত্যিই কি তা ব্যবহারের যোগ্য হয়ে ওঠার আগেই আমাদের হাতে মাধ্যমটি উঠে এসেছে?
লেখক: শিক্ষার্থী
কখনো মনে প্রশ্ন জাগে, আমাদের দেশের মানুষ কি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের উপযুক্ত হয়ে উঠেছে? নাকি প্রস্তুতিহীন মানুষের হাতে এমন একটি অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে, যা দিয়ে একটি জাতির সংস্কৃতি নিধন করা সম্ভব?
কেন এ প্রশ্ন এল? আলোচনা শুধু ফেসবুক আর ইউটিউবে সীমাবদ্ধ রাখলে বোঝা সহজ হবে। লেখালেখির জগৎ নিয়ে কিছুটা আলোচনা করে ফেসবুক আর ইউটিউবে ঢুকব।
শিল্পকলা তো শুরু হয়েছিল মানুষের প্রয়োজনেই, তার নান্দনিকতা বিকশিত করে তোলার জন্য। শুরুতে সবাই বুঝতে পারত শিল্পের মানে। কিন্তু আধুনিক শিল্পকলা যখন বিমূর্ত হয়ে উঠল, তখন প্রথাগত শিল্পকলা আস্বাদনকারীরা আহত হলেন। সরাসরি বোধগম্য শিল্পকলার জায়গায় এসে হাজির হয়েছে এমন কিছু, যা নিজের বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে কিছুই বোঝা যায় না। শিল্পকলা বুঝতে হলে যে তার অন্তরকে ছুঁতে হবে, এটা বুঝতে পারেনি অনেকে। যা সহজেই বোঝা যায়, তার বাইরে গিয়ে দাঁড়াল আধুনিক শিল্পকলা। কিছুটা রহস্যময় এই জগৎ নিল নান্দনিকতার স্বাদ।
এই রহস্যময় জগতে সবাই সমানভাবে প্রবেশ করতে পারে না। তাই যারা নিজেদের তৈরি করে নিয়েছে, তারাই সেখানে প্রবেশ করবে। ফলে আধুনিক শিল্পকলা জনপ্রিয় হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই।
সংস্কৃতি তো আরও ভালোভাবে বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে ফেরে। আজ যেমন আছি, তার চেয়ে একটু ভালো থাকব, আরও একটু রুচিমান হব, এই প্রতিজ্ঞা থাকে তাতে। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে হিসাব-নিকাশ বেশ বদলে গেছে। যে ফেসবুক ও ইউটিউবের কথা বলছিলাম, সেদিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, আধুনিকতার দুর্বোধ্য থেকে মুক্তি পেয়ে গেছে মানুষ। এখন যে কেউ যেকোনোভাবে যেকোনো কিছু বললেই তাকে শিল্প বলে ঠাহর করে নিতে হচ্ছে। ফেসবুকে যে রিলগুলো দেখা যায়, তাতে নান্দনিকতা আছে কি না আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। যে কেউ যেকোনো কিছু তৈরি করবে, অথচ তার বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। এটা নাকি অধিকার। শিল্প কী, তা না বুঝে সবাই শিল্পী হয়ে উঠছে। কোনো দায়িত্ব না নিয়েই যেকোনো স্ট্যাটাস দেওয়া সম্ভব এখন এবং সেই স্ট্যাটাসে কোনো দায়িত্ব না নিয়েই যেকোনো মন্তব্য করা সম্ভব। শুধু কি তা-ই, গালাগাল করার জন্যও খুবই প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে ফেসবুক। যাকে ইচ্ছা গালি দিলেও তাতে কারও কিছু আসে-যায় না।
ইউটিউবের ব্যাপারেও একই কথা বলা যায়। এ মাধ্যম ব্যবহার করে তথ্যসূত্র ছাড়াই এমন সব মিথ্যা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব, যা শুনে শ্রোতারা ভুল পথে যেতে পারে। খেয়াল করে দেখা গেছে, ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি আক্রমণের শিকার হন নারীরা। নারীদের নিয়ে এমন সব মন্তব্য করা হয়, যা কোনো সভ্য সমাজে ব্যবহার করা যায় না। আর বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এ ধরনের মন্তব্য অসংখ্য। এটা বোঝাই যায় যে আমাদের সমাজব্যবস্থা এ ধরনের মানসিকতাই তৈরি করেছে। এত দিন প্রকাশের সুযোগ ছিল না বলে এদের স্বরূপ বোঝা যায়নি। এখন সুযোগ পেয়ে সবাই তার আসল চেহারা দেখাতে শুরু করেছে।
খাঁটি দেশপ্রেম কোনো মামুলি বিষয় নয়। দেশপ্রেমী হতে হলে মুখে মুখে শুধু দেশপ্রেমের কথা বললে হয় না। শব্দটির অতিব্যবহার দেশপ্রেমকেই ক্লিশে করে দিতে পারে। দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটে কাজে। কে সুচারুভাবে নিজের কাজটি করল, যে কাজ অন্য মানুষের উপকারে লেগেছে, সেটাই দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। আমাদের এখানে কথায় দেশপ্রেমের যে তুবড়ি ছোটে, কাজে তা খুব একটা দেখা যায় না। এই মানসিক অবস্থাটা জাতির জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। ফেসবুকেও দেশপ্রেম নিয়ে যে আদিখ্যেতা হয়, তা বাস্তবজীবনে দেখতে পাওয়া যায় কম।
প্রযুক্তি ব্যবহার করার কিছু রীতি-নীতি আছে। আমরা এখনো সবাই তা রপ্ত করে উঠতে পারিনি। যেকোনো মাধ্যমের মতো প্রযুক্তিকেও ভালো বা খারাপ কাজে লাগানো যায়। আমরা মনে হয়, ভালোর চেয়ে খারাপটাতেই বেশি আকৃষ্ট হই। প্রচার চলে এমন সব বিষয়ে, যেগুলোর মাথামুণ্ডু নেই। রবীন্দ্র-বিরোধিতার প্রকাশ দেখা যায় বহু শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে। সেই যে ছড়িয়ে যাওয়া গল্পটির কথা বলা যায়। কীভাবে কে জানে, কেউ একজন সেই কবে ছড়িয়ে দিয়েছিল রবীন্দ্রনাথের নোবেল বিজয়ে প্রতারণার গল্পটি। গল্পটি হলো এমন: রবীন্দ্রনাথের চেয়ে নজরুল ছিলেন অনেক বেশি প্রতিভাধর। নোবেল কমিটি নজরুলকেই নোবেল পুরস্কার দেবে বলে মনস্থ করেছিল। সে খবর পেয়ে রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে বিষ খাইয়ে পাগল বানিয়ে দেন। তারপর নোবেল পুরস্কারটি তিনি বাগিয়ে নেন।
যেকোনো যৌক্তিক মন প্রথমেই প্রশ্ন তুলবে, রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে বিষ খাইয়ে দিল আর নোবেল কমিটি নজরুলের জায়গায় রবীন্দ্রনাথকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করল—এ হয় কী করে?
আচ্ছা, উর্বর মস্তিষ্কের এই ভাবনা না হয় কোনোভাবে মেনে নেওয়া গেল, কিন্তু কেউ কি চোখ রাখলেন না নোবেল পুরস্কারের সালটার দিকে? রবীন্দ্রনাথ যখন নোবেল পেলেন, তখন ১৯১৩ সাল চলছে। সে সময় নজরুল কী করে বিখ্যাত কবি হয়ে গেলেন? নজরুলের জন্ম ১৮৯৯ সালে। তাহলে রবীন্দ্রনাথের নোবেল বিজয়ের সময় নজরুলের বয়স ১৪। ১৪ বছর বয়সে কি নজরুলের কোনো লেখা কারও নজরে পড়েছে?
এই আলাপ তো মামুলি, এর চেয়ে কত বড় বড় মিথ্যা কথা যে ছড়ানো আছে নেটজগতে, তা বলে শেষ করা যাবে না। স্ক্রল করে ফেসবুকের দিকে চোখ রাখতে থাকলেই তা নজরে পড়বে। ইউটিউবেও বেমালুম মিথ্যার বেসাতি চোখে পড়বে।
প্রশ্ন জাগে মনে, আমরা কি ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য সত্যিই প্রস্তুত ছিলাম? সত্যিই কি তা ব্যবহারের যোগ্য হয়ে ওঠার আগেই আমাদের হাতে মাধ্যমটি উঠে এসেছে?
লেখক: শিক্ষার্থী
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে