গফরগাঁও উপজেলার ১৫ ইউপির মধ্যে চারটিতে নির্বাচন আগামীকাল। ১১ ইউপিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এগুলোতে ভোট হচ্ছে না।

উপজেলার চার ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন। তাঁদের মধ্যে রসুলপুর ইউপিতে নৌকা প্রতীকে সাইফুল আলম, চশমা প্রতীকে মঈনুল হক মঈন সরকার (স্বতন্ত্র), আনারস প্রতীকে শরীফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মশাখালী ইউপিতে নৌকা প্রতীকে মোস্তফা কামাল মণি, আনারস প্রতীকে (স্বতন্ত্র) একেএম ফেরদৌস আলম, টাংগাব ইউপিতে নৌকা প্রতীকে মোফাজ্জল হোসেন সাগর, আনারস প্রতীকে (স্বতন্ত্র) শফিকুল ইসলাম খান পলাশ এবং নিগুয়ারী ইউপিতে নৌকা প্রতীকে মো. তাজুল ইসলাম মৃধা ও আনারস প্রতীকে (স্বতন্ত্র) মো. হাদিউল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সোমবার প্রচারের শেষ দিনও মুখর ছিল ইউনিয়নের গ্রামগুলো। আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সমর্থকেরা দিন–রাত এক করে প্রচার চালিয়েছেন। চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থীরাও সমানতালে প্রচার চালিয়ে গেছেন। এদিকে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন পরিচালনা করতে ১৪৬ জন প্রিসাইডিং, ৮৮৪ জন সহকারী প্রিসাইডিং ও ১ হাজার ৭৬৮ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মোট ১৪৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৬ হাজার ৫৭৮ জন।

গতকাল সোমবার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীরা মাইকিং, প্রচারপত্র বিতরণ, মিছিল ও সমাবেশ করছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে ও ভোট প্রার্থনা করছেন।

টাংগাব ইউপিতে নৌকার সমর্থনে স্থানীয় ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন সাগর। তিনি বলেন, ‘এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবে।’ একই রকম আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে কাজ করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম খান পলাশ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হব।’

রসুলপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে তৃণমূল আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। কিছু জামায়াত-বিএনপির সমর্থনে যাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের জনসমর্থন নেই। আমি পাসের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শামছুন্নাহার ভুইয়া বলেন, গতকাল সোমবার মধ্য রাত থেকে নির্বাচনী প্রচার বন্ধ হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পর্যাপ্ত বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স।