সম্পাদকীয়
কথাগুলো চিকিৎসা পেশা নিয়ে। সমাজের অধিকাংশ মানুষ সেবা হিসেবেই চিকিৎসা পেশার মূল্যায়ন করে। রোগ হলে চিকিৎসকই ভরসা। কিন্তু কখনো কখনো দেখা যায়, চিকিৎসকদের প্রতি রোগীদের আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো চিকিৎসকদের কারও কারও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি।
রোগীর প্রেসক্রিপশন লেখার সময় চিকিৎসকদের ব্যবসায়িক চিন্তা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি গত ২৯ মার্চ রাজধানীর হোটেল রেনেসাঁয় আয়োজিত পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির (এইচপিএনএসপি) ‘খসড়া স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। যথার্থ কথা। কিন্তু তা নিয়ে একটু আলোচনা না করলেই নয়।
আমরা বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় দেখেছি চিকিৎসা পাওয়া এবং তার সামগ্রী নিয়ে নানা প্রকারের অপকর্মের সব ঘটনা। এ সময় মানুষের প্রাণের চেয়ে মুনাফার লোভ কিছু কিছু ব্যক্তিকে অমানবিক হতে প্রলুব্ধ করেছিল। সে সময়টির কথা নিশ্চয়ই কেউ ভুলে যাননি।
চিকিৎসা পেশাটা অনেক বেশি সম্মানের। কিন্তু কিছুসংখ্যক চিকিৎসকের অপকর্মের কারণে গোটা চিকিৎসা পেশা কালিমালিপ্ত হয়েছে। কারণ, এটা তো শুধু পেশা নয়, চিকিৎসকেরা মানুষের জীবন রক্ষায় নিয়োজিত বলে এটি মানবসেবারও অংশ। সেখানে গড়বড় হলে তাতে ক্ষতি হয় সবার। দোষ শুধু চিকিৎসকদের নয়, চিকিৎসাসেবার নামে কিছু রাঘববোয়াল যেমন—নামীদামি ওষুধ কোম্পানি ও বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অতি মুনাফার বলি হয়েছে স্বাস্থ্যসেবার এই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। এই দুষ্টগ্রহের কমিশনের লোভের থাবায় পড়ে কিছু চিকিৎসক বাণিজ্যটাকেই বড় করে দেখছেন। ওষুধ কোম্পানি তাদের মোবাইলের রিচার্জ, ঘরের শৌখিন আসবাব দেওয়া থেকে বিদেশে প্রমোদ ভ্রমণসহ অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরেকটি কথা না বললেই নয়, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রেও বড় ধরনের বৈষম্যের ব্যাপার আছে। মূলত সরকারি হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসাসামগ্রীর অপ্রতুলতা, লোকবলের অভাব এবং যথার্থ চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে রোগীরা বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়। অপরদিকে বেসরকারি হাসপাতালে সবকিছু ঠিকমতো পাওয়া যায় শুধু বিশাল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে। সেখানে শুধু টাকাওয়ালাদের প্রবেশ অবারিত থাকলেও দরিদ্র মানুষ সেখানে যেতে পারে না। আবার এসব হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা পাওয়া গেলেও নানা ধরনের অপকর্মের ঘটনা ঘটার অভিযোগও রয়েছে।
আমাদের দেশে চিকিৎসাব্যবস্থার অনেক উন্নতি হলেও তা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এখনো দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সে কারণে অনেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যেতে বাধ্য হয়। তাই রাষ্ট্রের সমগ্র চিকিৎসাব্যবস্থায় যে অব্যবস্থাপনা ও অনৈতিকতার কথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, তার দায় অন্য অনেকের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও এড়াতে পারে না।
তাই স্বাস্থ্য খাত পুরোপুরি বিপর্যয়ে যাওয়ার আগে এ খাতটিকে রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ, সুচিকিৎসা পাওয়া রাষ্ট্রের সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার।
কথাগুলো চিকিৎসা পেশা নিয়ে। সমাজের অধিকাংশ মানুষ সেবা হিসেবেই চিকিৎসা পেশার মূল্যায়ন করে। রোগ হলে চিকিৎসকই ভরসা। কিন্তু কখনো কখনো দেখা যায়, চিকিৎসকদের প্রতি রোগীদের আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো চিকিৎসকদের কারও কারও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি।
রোগীর প্রেসক্রিপশন লেখার সময় চিকিৎসকদের ব্যবসায়িক চিন্তা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি গত ২৯ মার্চ রাজধানীর হোটেল রেনেসাঁয় আয়োজিত পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির (এইচপিএনএসপি) ‘খসড়া স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। যথার্থ কথা। কিন্তু তা নিয়ে একটু আলোচনা না করলেই নয়।
আমরা বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় দেখেছি চিকিৎসা পাওয়া এবং তার সামগ্রী নিয়ে নানা প্রকারের অপকর্মের সব ঘটনা। এ সময় মানুষের প্রাণের চেয়ে মুনাফার লোভ কিছু কিছু ব্যক্তিকে অমানবিক হতে প্রলুব্ধ করেছিল। সে সময়টির কথা নিশ্চয়ই কেউ ভুলে যাননি।
চিকিৎসা পেশাটা অনেক বেশি সম্মানের। কিন্তু কিছুসংখ্যক চিকিৎসকের অপকর্মের কারণে গোটা চিকিৎসা পেশা কালিমালিপ্ত হয়েছে। কারণ, এটা তো শুধু পেশা নয়, চিকিৎসকেরা মানুষের জীবন রক্ষায় নিয়োজিত বলে এটি মানবসেবারও অংশ। সেখানে গড়বড় হলে তাতে ক্ষতি হয় সবার। দোষ শুধু চিকিৎসকদের নয়, চিকিৎসাসেবার নামে কিছু রাঘববোয়াল যেমন—নামীদামি ওষুধ কোম্পানি ও বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অতি মুনাফার বলি হয়েছে স্বাস্থ্যসেবার এই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। এই দুষ্টগ্রহের কমিশনের লোভের থাবায় পড়ে কিছু চিকিৎসক বাণিজ্যটাকেই বড় করে দেখছেন। ওষুধ কোম্পানি তাদের মোবাইলের রিচার্জ, ঘরের শৌখিন আসবাব দেওয়া থেকে বিদেশে প্রমোদ ভ্রমণসহ অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরেকটি কথা না বললেই নয়, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রেও বড় ধরনের বৈষম্যের ব্যাপার আছে। মূলত সরকারি হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসাসামগ্রীর অপ্রতুলতা, লোকবলের অভাব এবং যথার্থ চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে রোগীরা বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়। অপরদিকে বেসরকারি হাসপাতালে সবকিছু ঠিকমতো পাওয়া যায় শুধু বিশাল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে। সেখানে শুধু টাকাওয়ালাদের প্রবেশ অবারিত থাকলেও দরিদ্র মানুষ সেখানে যেতে পারে না। আবার এসব হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা পাওয়া গেলেও নানা ধরনের অপকর্মের ঘটনা ঘটার অভিযোগও রয়েছে।
আমাদের দেশে চিকিৎসাব্যবস্থার অনেক উন্নতি হলেও তা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এখনো দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সে কারণে অনেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যেতে বাধ্য হয়। তাই রাষ্ট্রের সমগ্র চিকিৎসাব্যবস্থায় যে অব্যবস্থাপনা ও অনৈতিকতার কথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, তার দায় অন্য অনেকের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও এড়াতে পারে না।
তাই স্বাস্থ্য খাত পুরোপুরি বিপর্যয়ে যাওয়ার আগে এ খাতটিকে রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ, সুচিকিৎসা পাওয়া রাষ্ট্রের সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে