মিনহাজ তুহিন, চবি
মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ঝরনা। গত সাত বছরে ঝরনার পানিতে ডুবে মারা গেছেন চারজন। সর্বশেষ গতকাল রোববার বেলা ১টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসে ঝরনার পানিতে ডুবে রাকিবুর রশিদ জিসান নামে এক কিশোর মারা গেছে। সে চট্টগ্রামের রেলওয়ে পাবলিক স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
এদিকে ঝরনা দেখতে গিয়ে বারবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও তা বন্ধে কার্যকর তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালে দুই শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার পর ঝুঁকিপূর্ণ লেখা সাইনবোর্ড সাঁটিয়েই দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের শেষ সীমানা ধরে কিছুদূর হেঁটে গেলে নয়নাভিরাম পাহাড়ি ঝরনা। এর নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ ও পানিতে গোসল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা। তবে পানিতে নেমে সাত বছরে মারা গেছেন চারজন।
২০২০ সালের ১৩ জুলাই পা পিছলে এ ঝরনায় পড়ে নিখোঁজ হন সাইফুল ইসলাম মুন্না নামের এক কলেজছাত্র। কয়েক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে হাটহাজারী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল।
এর আগে ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে একই ঝরনায় পড়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের দুই শিক্ষার্থী পাভেল ও রিফাত।
সাইনবোর্ড টানিয়ে দায় সারছে কর্তৃপক্ষ: ঝরনা দেখতে গিয়ে বারবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও তা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালে দুই শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার পর সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে ঝরনা এলাকাটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকায় তারকাঁটা বেড়া দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি সাইনবোর্ডের পাশে একজন নিরাপত্তা প্রহরীও দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঝরনার চারপাশে তারকাঁটার বেড়া নেই। কিছু অংশে থাকলেও দর্শনার্থীরা তা নামিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তা প্রহরীকেও সব সময় দেখা যায় না। ফলে অনায়াসে যে কেউ ঝরনার কাছে যেতে পারছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঝরনাটি অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রবেশপথে সাইনবোর্ড লাগানো আছে। তারকাঁটার বেড়া ও নিরাপত্তা প্রহরী দেওয়া আছে। এরপরও অনেকে মাঝেমধ্যে যায়। যারা যায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না। আমরা আবারও তারকাঁটার বেড়া দেব। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আবারও বসব।’
বারবার ঝরনায় প্রাণহানির কারণ: বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঝরনা আয়তনে খুব ছোট। তবুও এতে পড়লে বা নামলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা ধরনের কথা প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, ঝরনা অতিপ্রাকৃতিক কিছু আছে। ঝরনায় নামলে তাদের টেনে নিয়ে যায় গভীরে।
তবে শিক্ষার্থীদের এই ধারণা উড়িয়ে দিয়েছেন ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ধরনের ধারণা সত্য না। ঝরনায় পড়ে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হতে পারে, ওপর থেকে লাফ দেওয়া। এতে মাথায় আঘাতজনিত কারণে রক্তক্ষরণ। মাথায় আঘাত লাগলে খুব দ্রুত মৃত্যু হয়।’
মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ঝরনা। গত সাত বছরে ঝরনার পানিতে ডুবে মারা গেছেন চারজন। সর্বশেষ গতকাল রোববার বেলা ১টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসে ঝরনার পানিতে ডুবে রাকিবুর রশিদ জিসান নামে এক কিশোর মারা গেছে। সে চট্টগ্রামের রেলওয়ে পাবলিক স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
এদিকে ঝরনা দেখতে গিয়ে বারবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও তা বন্ধে কার্যকর তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালে দুই শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার পর ঝুঁকিপূর্ণ লেখা সাইনবোর্ড সাঁটিয়েই দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের শেষ সীমানা ধরে কিছুদূর হেঁটে গেলে নয়নাভিরাম পাহাড়ি ঝরনা। এর নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ ও পানিতে গোসল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা। তবে পানিতে নেমে সাত বছরে মারা গেছেন চারজন।
২০২০ সালের ১৩ জুলাই পা পিছলে এ ঝরনায় পড়ে নিখোঁজ হন সাইফুল ইসলাম মুন্না নামের এক কলেজছাত্র। কয়েক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে হাটহাজারী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল।
এর আগে ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে একই ঝরনায় পড়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের দুই শিক্ষার্থী পাভেল ও রিফাত।
সাইনবোর্ড টানিয়ে দায় সারছে কর্তৃপক্ষ: ঝরনা দেখতে গিয়ে বারবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও তা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালে দুই শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার পর সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে ঝরনা এলাকাটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকায় তারকাঁটা বেড়া দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি সাইনবোর্ডের পাশে একজন নিরাপত্তা প্রহরীও দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঝরনার চারপাশে তারকাঁটার বেড়া নেই। কিছু অংশে থাকলেও দর্শনার্থীরা তা নামিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তা প্রহরীকেও সব সময় দেখা যায় না। ফলে অনায়াসে যে কেউ ঝরনার কাছে যেতে পারছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঝরনাটি অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রবেশপথে সাইনবোর্ড লাগানো আছে। তারকাঁটার বেড়া ও নিরাপত্তা প্রহরী দেওয়া আছে। এরপরও অনেকে মাঝেমধ্যে যায়। যারা যায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না। আমরা আবারও তারকাঁটার বেড়া দেব। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আবারও বসব।’
বারবার ঝরনায় প্রাণহানির কারণ: বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঝরনা আয়তনে খুব ছোট। তবুও এতে পড়লে বা নামলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা ধরনের কথা প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, ঝরনা অতিপ্রাকৃতিক কিছু আছে। ঝরনায় নামলে তাদের টেনে নিয়ে যায় গভীরে।
তবে শিক্ষার্থীদের এই ধারণা উড়িয়ে দিয়েছেন ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ধরনের ধারণা সত্য না। ঝরনায় পড়ে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হতে পারে, ওপর থেকে লাফ দেওয়া। এতে মাথায় আঘাতজনিত কারণে রক্তক্ষরণ। মাথায় আঘাত লাগলে খুব দ্রুত মৃত্যু হয়।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪