আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
বন্যার ধকল কাটিয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তার চরে চলছে কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেগে ওঠা তিস্তার ১৮টি চরে প্রায় ২০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমে ফুলে ফেঁপে ওঠা তিস্তায় এখন নেই তেমন প্রবাহ। বালুচরে সবুজের সমারোহ। চরগুলোতে ভুট্টা, সরিষা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, তরমুজ, মিষ্টিকুমড়া, ধনেপাতা, তামাকসহ বিভিন্ন জাতের ফসল ও সবজি চাষ করছেন কৃষকেরা। সেই ফসল ঘিরেই আগামীর স্বপ্ন বুনছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।
মটুকপুর, চিলাখাল, চর নোহালী, আলাল, ইশোরকোল, খলাইয়ের চর, কাশিয়া বাড়ীর চর, বিনবিনা, চল্লিশসালসহ ১৮টি চরে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে এসব ফসল। গেল বন্যায় কাটা ধানসহ সহায় সম্বল হারানো মানুষগুলো এখন ঘুরে দাঁড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসল উৎপাদনে।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চল্লিশসালের চরের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গত আমন মৌসুমে হঠাৎ বন্যার কারণে ধান ঘরে তুলতে পারি নাই। জমিতে কাটি থোয়া (রাখা) ধান বানের পানিতে তলিয়ে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ভাত খাওয়ার মতো কোনো ধান ঘরে তুলতে পারি নাই। এবার ৯০ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করছি। ভুট্টা লাগার পরে এখন সার আর তেলের দাম বেড়ে গেছে। কাটা মাড়াইয়ের পর ভালো দাম না পেলে এবারও পথে বসতে হবে।’
সদর ইউনিয়নের গান্নার পাড় চরের ইউসুফ আলী বলেন, ‘এক একর জমিতে আগাম আলু চাষ করছিলাম, বন্যায় সব শ্যাষ হয়ে গেছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তিন একর জমিতে আবার আলু চাষ করেছি।’
কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল চরের হোদা মিয়া জানান, এবার বন্যায় তাঁর আবাদ করা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ধার দেনা করে ভুট্টা, তামাক, আলু চাষাবাদ করেছেন।
গঙ্গাচড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গত বর্ষায় তিস্তায় উজানের ঢলে গঙ্গাচড়ায় রাস্তা ঘাট, উপবাঁধ ভেঙে ৫০০ হেক্টর জমিতে পানি প্রবেশ করে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকার চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রণোদনার আওতায় আনা হচ্ছে। কৃষকেরা যেভাবে ফসলের পরিচর্যা করছেন তাতে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে প্রায় ২০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হবে চরাঞ্চলে।’
বন্যার ধকল কাটিয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তার চরে চলছে কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেগে ওঠা তিস্তার ১৮টি চরে প্রায় ২০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমে ফুলে ফেঁপে ওঠা তিস্তায় এখন নেই তেমন প্রবাহ। বালুচরে সবুজের সমারোহ। চরগুলোতে ভুট্টা, সরিষা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, তরমুজ, মিষ্টিকুমড়া, ধনেপাতা, তামাকসহ বিভিন্ন জাতের ফসল ও সবজি চাষ করছেন কৃষকেরা। সেই ফসল ঘিরেই আগামীর স্বপ্ন বুনছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।
মটুকপুর, চিলাখাল, চর নোহালী, আলাল, ইশোরকোল, খলাইয়ের চর, কাশিয়া বাড়ীর চর, বিনবিনা, চল্লিশসালসহ ১৮টি চরে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে এসব ফসল। গেল বন্যায় কাটা ধানসহ সহায় সম্বল হারানো মানুষগুলো এখন ঘুরে দাঁড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসল উৎপাদনে।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চল্লিশসালের চরের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গত আমন মৌসুমে হঠাৎ বন্যার কারণে ধান ঘরে তুলতে পারি নাই। জমিতে কাটি থোয়া (রাখা) ধান বানের পানিতে তলিয়ে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ভাত খাওয়ার মতো কোনো ধান ঘরে তুলতে পারি নাই। এবার ৯০ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করছি। ভুট্টা লাগার পরে এখন সার আর তেলের দাম বেড়ে গেছে। কাটা মাড়াইয়ের পর ভালো দাম না পেলে এবারও পথে বসতে হবে।’
সদর ইউনিয়নের গান্নার পাড় চরের ইউসুফ আলী বলেন, ‘এক একর জমিতে আগাম আলু চাষ করছিলাম, বন্যায় সব শ্যাষ হয়ে গেছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তিন একর জমিতে আবার আলু চাষ করেছি।’
কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল চরের হোদা মিয়া জানান, এবার বন্যায় তাঁর আবাদ করা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ধার দেনা করে ভুট্টা, তামাক, আলু চাষাবাদ করেছেন।
গঙ্গাচড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গত বর্ষায় তিস্তায় উজানের ঢলে গঙ্গাচড়ায় রাস্তা ঘাট, উপবাঁধ ভেঙে ৫০০ হেক্টর জমিতে পানি প্রবেশ করে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকার চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রণোদনার আওতায় আনা হচ্ছে। কৃষকেরা যেভাবে ফসলের পরিচর্যা করছেন তাতে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে প্রায় ২০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হবে চরাঞ্চলে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে