অতিথি পাখির গ্রাম আমগাছী

মিজান মাহী, দুর্গাপুর
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২১, ০৮: ০৪
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ২২

হাজার হাজার মাইল উড়াল দিয়ে প্রতিবছরই অতিথি হয়ে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আমগাছী গ্রামের একটি ডোবায় আসে রাজসরালী পাখি। আরও আসে খয়রা চখাচখি, বালিহাঁস, ছোট সারস, বড় সারস, কাদাখোঁচা, নিশাচর ডুবুরি, গায়ক রেন ও পাতিকুট পাখি।

পাখিদের কলতানে এখন মুখরিত থাকে দুর্গাপুরের আমগাছী গ্রামের ওই ডোবা। অতিথি পাখির সুরক্ষায় গ্রামবাসী বেশ সচেতনও। গ্রামটিতে গঠন করা হয়েছে একটি কমিটি।

অক্টোবর মাসের শুরু থেকে উপজেলার আমগাছী বাজারের পাশের একটি ডোবায় হাজার হাজার অতিথি পাখি আসতে থাকে। এদের মধ্যে রাজসরালী পাখি বেশি। এসব পাখির কলতান শুনতে এবং ঝাঁক দেখতে আশপাশের গ্রামের লোকজনের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকেও আসছেন পাখিপ্রেমীরা।

গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমগাছী গ্রামের এই ডোবায় অতিথি পাখি আসে তিন বছর ধরে। লোকালয়ের ভেতরে অবস্থিত এ ডোবায় গত বছরও এসেছিল এসব পাখি। শীতের শেষ তারা আবার চলে যায়। এবার গতবারের চেয়ে বেশি পাখি এসেছে অতিথি হয়ে। এক মাস আগে থেকে এসব পাখি আসতে শুরু করে।

আমগাছী বাজারের চা-দোকানি আব্দুল হালিম বলেন, দিনরাত পাখিদের কিচিরমিচির শুনলে মনে হবে, এ যেন এক গহিন অরণ্য।

আমগাছী বাজার হাট কমিটির সভাপতি আবু বাক্কার ছিদ্দিক বলেন, এখানে পাখি শিকার বা উত্ত্যক্ত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এলাকাবাসী পাখির সুরক্ষা দেওয়ায় প্রতিবছরই পাখির সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য হাট কমিটির লোকজন অতিথি পাখির সুরক্ষায় কমিটি গঠন করছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ অতিথি পাখি দেখতে আসেন। কেউ ছবি তোলেন, আবার কেউ ভিডিও করেন। কমিটির লোকজন কাউকে পাখি শিকার বা উত্ত্যক্ত করতে দেয় না। শীত কমলে পাখিরা আবার ফিরে যাবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত