মর্যাদাপূর্ণ রাত শবে কদর

আবদুল আযীয কাসেমি
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ২১: ০৪
Thumbnail image

বছরের সেরা মাস রমজানের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ হলো, এ মাসে রয়েছে বছরের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাত পবিত্র শবে কদর। এ রাতকে পবিত্র কোরআনে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলা হয়েছে। এ রাতেই সম্পূর্ণ পবিত্র কোরআন ঊর্ধ্বাকাশ থেকে পৃথিবীর আকাশে অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এই কোরআন আমি একটি মহিমান্বিত রাতে নাজিল করেছি।’ (সুরা দুখান: ৩)

শবে কদরের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য নির্দেশ করতে আল্লাহ তাআলা সুরা কদর নামে স্বতন্ত্র একটি সুরা নাজিল করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি কদরের রাতে কোরআন অবতীর্ণ করেছি। আপনি কি জানেন কদরের রাতের মর্যাদা কীরূপ? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে প্রতিটি কাজের জন্য ফেরেশতারা ও (বিশেষত) জিবরাইল তাঁদের প্রতিপালকের নির্দেশে পৃথিবীতে নেমে আসেন। শান্তিই শান্তি সেই রজনী—উষার আবির্ভাব পর্যন্ত।’ (সুরা কদর: ১-৫)

হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কদরের রাতে পূর্ণ আস্থা-বিশ্বাস ও সওয়াবের আশায় ইবাদতে মগ্ন থাকবে, আল্লাহ তাআলা তার অতীতের সকল পাপ (সগিরা গুনাহ) ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে মহানবী সা. বলেন, ‘দেখো, রমজান মাস তোমাদের দোরগোড়ায় উপস্থিত হয়েছে। রমজান মাসে এমন এক রাত আছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের ফজিলত থেকে বঞ্চিত হয়, সে যেন সমগ্র কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়। আর বঞ্চিত ব্যক্তিরাই এ রাত সম্পর্কে উদাসীন থাকে।’ (ইবনে মাজাহ)

রমজানের শেষ দশকে মহানবী (সা.) অধিক পরিমাণে রাত জাগতেন। প্রায় সারা রাত ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। তিনি শুধু নিজে ইবাদত করেই ক্ষান্ত হতেন না, বরং নিজের পরিবার-পরিজনকেও উৎসাহিত করতেন। তাই রাতটি ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া-অনুগ্রহ কামনায় কাটানো উচিত।

আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত