সাইফুল মাসুম, ঢাকা
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের নির্মাণে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে করার কথা, এমন কিছু কাজ প্রথম পর্যায়েই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে টার্মিনাল নির্মাণের খরচও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই টার্মিনালে নতুন কিছু অবকাঠামো শুরুতেই যুক্ত হবে, যা প্রকল্পের প্রথম ধাপে করার কথা ছিল না। এর মধ্যে রয়েছে, টার্মিনালের দুই পাশে দুটি ডানা তৈরি করা হবে, যেখানে ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ যুক্ত করা থাকবে। তৃতীয় টার্মিনালে আগের পরিকল্পনায় ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ তৈরির কথা ছিল। নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তৃতীয় টার্মিনালে বোর্ডিং ব্রিজের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৬টি। তা ছাড়া, একটি ভিভিআইপি টার্মিনাল তৈরির বিষয়ও যুক্ত হয়েছে। এসব কারণে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে তা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বেবিচক জানিয়েছে।
জানতে চাইলে তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক মাকসুদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সমীক্ষা এখনো হয়নি। সে কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে করার কথা ছিল, এমন কিছু কাজ প্রথম ধাপে নিয়ে আসা হচ্ছে। এর কারণ দ্বিতীয় পর্যায়ে এই কাজগুলো করতে গেলে টার্মিনালের অপারেশনস পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে। যদিও প্রকল্পে এই পরিবর্তন আসায় ব্যয় কিছুটা বাড়বে। তবে এই বাড়তি অর্থায়ন করার বিষয়ে জাপানের উন্নয়ন সহায়তা সংস্থা জাইকা সম্মতি জানিয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ। প্রথমে এই টার্মিনালের নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে আরও ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হলে প্রকল্পের আকার দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকায়। তবে নতুন করে প্রকল্প ব্যয় বাড়লে, সেই টাকার অঙ্ক কত হবে, তা এখনো পরিষ্কার করে বলতে পারেনি বেবিচক।
বেবিচকের তথ্যমতে, তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের প্রথম ধাপ শেষ হলে, প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম তৃতীয় টার্মিনালে স্থানান্তর করা হবে। তবে প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে কানেকটিং করিডরের মাধ্যমে পুরোনো টার্মিনাল ভবনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। তখন নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হবে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালের অবকাঠামো।
পরিকল্পনা অনুসারে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে। ইতিমধ্যে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ ৪৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, কাজের চলমান অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। এই গতিতে কাজ চললে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই টার্মিনালের কাজ শেষ হবে।
প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন আনার কারণে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ হতে খুব বেশি বিলম্ব হবে না বলে জানিয়ে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বলেছেন, প্রকল্পে কিছু কাজ বাড়ার কারণে খরচও কিছু বাড়বে। ভবনের দুই পাশে দুটি ডানা বানানো হবে। এটা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে করার কথা ছিল। এ ছাড়া পুরোনো ভিভিআইপি টার্মিনাল ভাঙা হবে। সেখানে নতুন টার্মিনাল ব্যবহারকারী বিমানগুলোর পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। আর তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের আওতায় আরেকটি ভিভিআইপি টার্মিনাল বানানো হবে।’
প্রকল্পে এই পরিবর্তনের কারণে বাস্তবায়নের সময়সীমা তেমন বাড়বে না জানিয়ে আব্দুল মালেক বলেন, পুরো কাজ শেষ হতে দু-এক মাস হয়তো বেশি সময় লাগতে পারে। সাধারণত ঠিকাদার কাজ শেষে টার্মিনাল বুঝিয়ে দেওয়ার পর আন্তর্জাতিক যেকোনো বিমানবন্দর চালু করতে ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগে।
তৃতীয় টার্মিনাল ২০২৩ সালের অক্টোবরে সীমিত আকারে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। তারপর পরীক্ষামূলক কাজ শেষে মূল যাত্রীসেবা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হতে পারে বলে জানান বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্মাণ পরিকল্পনায় এই পরিবর্তনের কারণে ব্যয় কত বাড়বে, তার হিসাব-নিকাশ চলছে।’
সম্প্রতি তৃতীয় টার্মিনালের প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিকেরা কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন। বেবিচকের তথ্যমতে, তৃতীয় টার্মিনাল তৈরির প্রকল্পে কয়েক হাজার শ্রমিক দিন-রাত দুই শিফটে কাজ করছেন। এদের মধ্যে অনেক বিদেশি কর্মী রয়েছেন। শ্রমিকদের শ্রমে-ঘামে ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে টার্মিনালের অবকাঠামো।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, টার্মিনাল ভবনের ৩ হাজার ৪৯টি পাইল এবং ৬৮৪টি পাইল-ক্যাপের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ভবনের উভয় অংশে তৃতীয় তলার ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, ফায়ার ফাইটিং ইত্যাদিসহ প্রথম ও দ্বিতীয় তলার পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ সংযোজনের কাজ চলমান রয়েছে। বহুতল কার পার্কিয়ের ৬৯৬টি পাইলিংয়ের সবগুলোর কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। কার পার্কিং ভবনের দক্ষিণ অংশের তৃতীয় তলার ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে উত্তর অংশের তৃতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। টানেল অংশের ৪৭৮টি পাইলিং করার পর টার্মিনাল অংশের ঢালাইকাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কসংলগ্ন অংশের বেসমেন্টের স্ল্যাব, আরসিসি ওয়াল, স্ল্যাব ও আন্ডার গ্রাউন্ড ফুয়েল লাইন নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে এখন দুটি টার্মিনাল রয়েছে। এই দুই টার্মিনালের আয়তন প্রায় ১ লাখ বর্গমিটার। আর নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল হবে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন দিনে আড়াই থেকে তিন শ ফ্লাইট ওঠানামা করে। নতুন টার্মিনালের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হলে তা দেড় গুণ বাড়বে। তৃতীয় টার্মিনালে মোট ৩৭টি অ্যাপ্রোন পার্কিং থাকবে। একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করা যাবে। এখন আছে ২৯টি। এ ছাড়া শাহজালাল বিমানবন্দরে এখন ৪টি ট্যাক্সিওয়ে আছে। নতুন করে আরও ২টি ট্যাক্সিওয়ে যোগ হচ্ছে। যাতে রানওয়েতে উড়োজাহাজকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না।
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের নির্মাণে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে করার কথা, এমন কিছু কাজ প্রথম পর্যায়েই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে টার্মিনাল নির্মাণের খরচও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই টার্মিনালে নতুন কিছু অবকাঠামো শুরুতেই যুক্ত হবে, যা প্রকল্পের প্রথম ধাপে করার কথা ছিল না। এর মধ্যে রয়েছে, টার্মিনালের দুই পাশে দুটি ডানা তৈরি করা হবে, যেখানে ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ যুক্ত করা থাকবে। তৃতীয় টার্মিনালে আগের পরিকল্পনায় ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ তৈরির কথা ছিল। নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তৃতীয় টার্মিনালে বোর্ডিং ব্রিজের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৬টি। তা ছাড়া, একটি ভিভিআইপি টার্মিনাল তৈরির বিষয়ও যুক্ত হয়েছে। এসব কারণে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে তা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বেবিচক জানিয়েছে।
জানতে চাইলে তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক মাকসুদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সমীক্ষা এখনো হয়নি। সে কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে করার কথা ছিল, এমন কিছু কাজ প্রথম ধাপে নিয়ে আসা হচ্ছে। এর কারণ দ্বিতীয় পর্যায়ে এই কাজগুলো করতে গেলে টার্মিনালের অপারেশনস পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে। যদিও প্রকল্পে এই পরিবর্তন আসায় ব্যয় কিছুটা বাড়বে। তবে এই বাড়তি অর্থায়ন করার বিষয়ে জাপানের উন্নয়ন সহায়তা সংস্থা জাইকা সম্মতি জানিয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ। প্রথমে এই টার্মিনালের নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে আরও ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হলে প্রকল্পের আকার দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকায়। তবে নতুন করে প্রকল্প ব্যয় বাড়লে, সেই টাকার অঙ্ক কত হবে, তা এখনো পরিষ্কার করে বলতে পারেনি বেবিচক।
বেবিচকের তথ্যমতে, তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের প্রথম ধাপ শেষ হলে, প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম তৃতীয় টার্মিনালে স্থানান্তর করা হবে। তবে প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে কানেকটিং করিডরের মাধ্যমে পুরোনো টার্মিনাল ভবনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। তখন নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হবে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালের অবকাঠামো।
পরিকল্পনা অনুসারে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে। ইতিমধ্যে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ ৪৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, কাজের চলমান অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। এই গতিতে কাজ চললে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই টার্মিনালের কাজ শেষ হবে।
প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন আনার কারণে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ হতে খুব বেশি বিলম্ব হবে না বলে জানিয়ে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বলেছেন, প্রকল্পে কিছু কাজ বাড়ার কারণে খরচও কিছু বাড়বে। ভবনের দুই পাশে দুটি ডানা বানানো হবে। এটা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে করার কথা ছিল। এ ছাড়া পুরোনো ভিভিআইপি টার্মিনাল ভাঙা হবে। সেখানে নতুন টার্মিনাল ব্যবহারকারী বিমানগুলোর পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। আর তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের আওতায় আরেকটি ভিভিআইপি টার্মিনাল বানানো হবে।’
প্রকল্পে এই পরিবর্তনের কারণে বাস্তবায়নের সময়সীমা তেমন বাড়বে না জানিয়ে আব্দুল মালেক বলেন, পুরো কাজ শেষ হতে দু-এক মাস হয়তো বেশি সময় লাগতে পারে। সাধারণত ঠিকাদার কাজ শেষে টার্মিনাল বুঝিয়ে দেওয়ার পর আন্তর্জাতিক যেকোনো বিমানবন্দর চালু করতে ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগে।
তৃতীয় টার্মিনাল ২০২৩ সালের অক্টোবরে সীমিত আকারে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। তারপর পরীক্ষামূলক কাজ শেষে মূল যাত্রীসেবা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হতে পারে বলে জানান বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্মাণ পরিকল্পনায় এই পরিবর্তনের কারণে ব্যয় কত বাড়বে, তার হিসাব-নিকাশ চলছে।’
সম্প্রতি তৃতীয় টার্মিনালের প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিকেরা কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন। বেবিচকের তথ্যমতে, তৃতীয় টার্মিনাল তৈরির প্রকল্পে কয়েক হাজার শ্রমিক দিন-রাত দুই শিফটে কাজ করছেন। এদের মধ্যে অনেক বিদেশি কর্মী রয়েছেন। শ্রমিকদের শ্রমে-ঘামে ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে টার্মিনালের অবকাঠামো।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, টার্মিনাল ভবনের ৩ হাজার ৪৯টি পাইল এবং ৬৮৪টি পাইল-ক্যাপের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ভবনের উভয় অংশে তৃতীয় তলার ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, ফায়ার ফাইটিং ইত্যাদিসহ প্রথম ও দ্বিতীয় তলার পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ সংযোজনের কাজ চলমান রয়েছে। বহুতল কার পার্কিয়ের ৬৯৬টি পাইলিংয়ের সবগুলোর কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। কার পার্কিং ভবনের দক্ষিণ অংশের তৃতীয় তলার ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে উত্তর অংশের তৃতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। টানেল অংশের ৪৭৮টি পাইলিং করার পর টার্মিনাল অংশের ঢালাইকাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কসংলগ্ন অংশের বেসমেন্টের স্ল্যাব, আরসিসি ওয়াল, স্ল্যাব ও আন্ডার গ্রাউন্ড ফুয়েল লাইন নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে এখন দুটি টার্মিনাল রয়েছে। এই দুই টার্মিনালের আয়তন প্রায় ১ লাখ বর্গমিটার। আর নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল হবে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন দিনে আড়াই থেকে তিন শ ফ্লাইট ওঠানামা করে। নতুন টার্মিনালের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হলে তা দেড় গুণ বাড়বে। তৃতীয় টার্মিনালে মোট ৩৭টি অ্যাপ্রোন পার্কিং থাকবে। একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করা যাবে। এখন আছে ২৯টি। এ ছাড়া শাহজালাল বিমানবন্দরে এখন ৪টি ট্যাক্সিওয়ে আছে। নতুন করে আরও ২টি ট্যাক্সিওয়ে যোগ হচ্ছে। যাতে রানওয়েতে উড়োজাহাজকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে