নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
স্বাধীনতার ৫২ বছরেও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৬১ বধ্যভূমির মধ্যে ৫১টিই সংরক্ষণ করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের নির্মম ইতিহাসের সাক্ষী এসব স্থান অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রতিবছর বিজয় দিবস এলে বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয়; কিন্তু সংরক্ষণ আর হয় না। তবে বাকি ১০টিতে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের কাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১১৬টি বধ্যভূমি রয়েছে। এর মধ্যে নগরীতেই ৬১টি।
গবেষক ও সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অধ্যাপক ইদ্রিস আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা যায়নি।
বর্তমানে যারা আছেন বেশির ভাগই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এতদিন ক্ষমতায় থেকেও দখলমুক্ত করতে না পারা, সংশ্লিষ্টদের চরম ব্যর্থতা। প্রতিবছর শুধু বিজয় দিবস এলেই ব্যস্ত হয়ে পড়ি শহীদ মিনার পরিষ্কার করা নিয়ে। বিজয় দিবস শেষে আবারও ভুলে যাই। এরকম হলে, এভাবেই চলতে থাকবে।’
চট্টগ্রামে যে ৬১টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা যায়নি সেটি উঠে এসেছে ‘ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’র প্রতিবেদনে। মহানগরীর বাইরে আরও ৫৫টি বধ্যভূমি আছে, সেগুলোও এখন বেদখলে। কিছু কিছু আবার অযত্ন-অবহেলায় প্রায় নিশ্চিহ্ন।
ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি বলছে, নগরের পাহাড়তলীতে ১৫টি, লালখান বাজারে ছয়টি, হালিশহরে পাঁচটি, গোসাইলডাঙ্গায় পাঁচটি, আন্দরকিল্লায় চারটি, বাকলিয়ায় তিনটি, রহমতগঞ্জে দুটি, কাট্টলীতে দুটি, পতেঙ্গায় দুটি, বন্দর এলাকায় দুটি, কাটগড়ে দুটি, মুরাদপুরে দুটি, নাসিরাবাদে দুটি, মাদারবাড়িতে দুটি, পাঁচলাইশে দুটি এবং চন্দনপুরা, জয়পাহাড়, চান্দগাঁও, ষোলশহর, রামপুরায় একটি করে বধ্যভূমি রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এসব বধ্যভূমিতে মুক্তিকামী বাঙালিদের হত্যা করে হানাদার পাকিস্তানিরা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন ইতিহাস বইয়ে উঠে এসেছে, একাত্তরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাহাড়তলীর বধ্যভূমিতে ট্রেন থেকে নামিয়ে এবং আশপাশের এলাকা থেকে ধরে এনে পাঁচ হাজারের বেশি বাঙালিকে হত্যা করা হয়। হালিশহরের মধ্যমনাথপাড়া ও আবদুরপাড়া বধ্যভূমিতে বিহারিরা হত্যা করেছিল ৩৬ জন নিরীহ মানুষকে। এ ছাড়া গোসাইলডাঙ্গা, বিমানবন্দর, গুডস হিল, সিআরবি, লালখান বাজার, আন্দরকিল্লায় মীর কাসেম আলীর টর্চার সেলে ‘ডালিম হোটেল’সহ বিভিন্ন এলাকায় বাঙালিদের ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় বধ্যভূমির জমি অধিগ্রহণ করে সেগুলো সংরক্ষণ করা হবে।
স্বাধীনতার ৫২ বছরেও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৬১ বধ্যভূমির মধ্যে ৫১টিই সংরক্ষণ করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের নির্মম ইতিহাসের সাক্ষী এসব স্থান অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রতিবছর বিজয় দিবস এলে বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয়; কিন্তু সংরক্ষণ আর হয় না। তবে বাকি ১০টিতে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের কাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১১৬টি বধ্যভূমি রয়েছে। এর মধ্যে নগরীতেই ৬১টি।
গবেষক ও সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অধ্যাপক ইদ্রিস আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা যায়নি।
বর্তমানে যারা আছেন বেশির ভাগই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এতদিন ক্ষমতায় থেকেও দখলমুক্ত করতে না পারা, সংশ্লিষ্টদের চরম ব্যর্থতা। প্রতিবছর শুধু বিজয় দিবস এলেই ব্যস্ত হয়ে পড়ি শহীদ মিনার পরিষ্কার করা নিয়ে। বিজয় দিবস শেষে আবারও ভুলে যাই। এরকম হলে, এভাবেই চলতে থাকবে।’
চট্টগ্রামে যে ৬১টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা যায়নি সেটি উঠে এসেছে ‘ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’র প্রতিবেদনে। মহানগরীর বাইরে আরও ৫৫টি বধ্যভূমি আছে, সেগুলোও এখন বেদখলে। কিছু কিছু আবার অযত্ন-অবহেলায় প্রায় নিশ্চিহ্ন।
ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি বলছে, নগরের পাহাড়তলীতে ১৫টি, লালখান বাজারে ছয়টি, হালিশহরে পাঁচটি, গোসাইলডাঙ্গায় পাঁচটি, আন্দরকিল্লায় চারটি, বাকলিয়ায় তিনটি, রহমতগঞ্জে দুটি, কাট্টলীতে দুটি, পতেঙ্গায় দুটি, বন্দর এলাকায় দুটি, কাটগড়ে দুটি, মুরাদপুরে দুটি, নাসিরাবাদে দুটি, মাদারবাড়িতে দুটি, পাঁচলাইশে দুটি এবং চন্দনপুরা, জয়পাহাড়, চান্দগাঁও, ষোলশহর, রামপুরায় একটি করে বধ্যভূমি রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এসব বধ্যভূমিতে মুক্তিকামী বাঙালিদের হত্যা করে হানাদার পাকিস্তানিরা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন ইতিহাস বইয়ে উঠে এসেছে, একাত্তরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাহাড়তলীর বধ্যভূমিতে ট্রেন থেকে নামিয়ে এবং আশপাশের এলাকা থেকে ধরে এনে পাঁচ হাজারের বেশি বাঙালিকে হত্যা করা হয়। হালিশহরের মধ্যমনাথপাড়া ও আবদুরপাড়া বধ্যভূমিতে বিহারিরা হত্যা করেছিল ৩৬ জন নিরীহ মানুষকে। এ ছাড়া গোসাইলডাঙ্গা, বিমানবন্দর, গুডস হিল, সিআরবি, লালখান বাজার, আন্দরকিল্লায় মীর কাসেম আলীর টর্চার সেলে ‘ডালিম হোটেল’সহ বিভিন্ন এলাকায় বাঙালিদের ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় বধ্যভূমির জমি অধিগ্রহণ করে সেগুলো সংরক্ষণ করা হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪