রাসেল আহমেদ, তেরখাদা (খুলনা)
খুলনার তেরখাদা ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি চক্র। নামজারি, বিআরএস খতিয়ান মুদ্রণ, জমির শ্রেণি বা পরিমাণ নির্ধারণ, ভুল সংশোধন—সব ক্ষেত্রেই নির্ধারিত টাকার কয়েকগুণ আদায় করছেন এ চক্রের সদস্যরা। অতিরিক্ত টাকা না দিলে এখানে মেলে না সেবা। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
অভিযোগ রয়েছে, ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে চক্রের সদস্যদের গোপন আঁতাত রয়েছে। খাজনা দিতে এলে তাঁদের নানা অলিখিত নিয়মের কাছে জিম্মি হতে হয়। জানা যায়, ৫০ টাকার দাখিলা কাটতে গুনতে হয় প্রায় চার হাজার টাকা। নামজারি কেসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন নিতে গেলে গুনতে হয় ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকা। অথচ সরকারি খাতায় এর জন্য জমা হয় মাত্র ১ হাজার ১৭০ টাকা। অনেক সময় টাকা দিলেও তাৎক্ষণিক মেলে না নথিপত্র। নানাভাবে চক্রের সদস্যদের পেছনে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন।
দালাল না ধরে সরাসরি অফিসে গেলেও পোহাতে হয় ভোগান্তি। আবার অফিসের ভেতরে গেলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বহিরাগত আত্মীয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. জনাব আলী শেখ ৭ নভেম্বর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দাখিলা কাটতে গেলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জালাল হোসেন ১ দশমিক ৭০ একর জমির এক বছরের খাজনার জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। জনাব আলী অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) আব্দুর রউফের মাধ্যমে ওই টাকা দেন। তখন ভূমি কর্মকর্তা জালাল হোসেন তাঁকে পরে আসতে বলেন। কিন্তু ওই স্থানে হাসপাতাল নির্মাণের কথা রয়েছে জানিয়ে দাখিলা দ্রুত প্রয়োজন জানালে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জালাল হোসেন আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।
ভূমি কর্মকর্তা বলেন, কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতাল করবেন আর আমাদের কিছু দেবেন না? এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. জনাব আলীকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ব্যাপারে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। একইভাবে উপজেলার আদমপুর এলাকার গগন শেখ জমি নামজারি করার জন্য ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এত টাকা দেওয়ার পরও মিউটেশন কাগজ তাঁকে দেওয়া হয়নি। একই এলাকার তায়েব আলীর কাছ থেকে খাজনার দাখিলা দিতে ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।
তেরখাদা দক্ষিণপাড়া এলাকার আলী গফফার মোল্লা বলেন, ভূমি কর্মকর্তা জালাল হোসেনের অর্থ-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গত ৮ আগস্ট খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। একই দিন তেরখাদা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে জিডি হয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জালাল হোসেন বলেন, ‘অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। তবে আমার বিরুদ্ধে তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে, তা-ই মেনে নেব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দাখিলা কাটতে গেলে একটা নিয়ম আছে, কেউ যদি কোনো অন্যায় আবদার করে থাকে, তাহলে তো হবে না। অতিরিক্ত টাকা নিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনার তেরখাদা ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি চক্র। নামজারি, বিআরএস খতিয়ান মুদ্রণ, জমির শ্রেণি বা পরিমাণ নির্ধারণ, ভুল সংশোধন—সব ক্ষেত্রেই নির্ধারিত টাকার কয়েকগুণ আদায় করছেন এ চক্রের সদস্যরা। অতিরিক্ত টাকা না দিলে এখানে মেলে না সেবা। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
অভিযোগ রয়েছে, ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে চক্রের সদস্যদের গোপন আঁতাত রয়েছে। খাজনা দিতে এলে তাঁদের নানা অলিখিত নিয়মের কাছে জিম্মি হতে হয়। জানা যায়, ৫০ টাকার দাখিলা কাটতে গুনতে হয় প্রায় চার হাজার টাকা। নামজারি কেসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন নিতে গেলে গুনতে হয় ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকা। অথচ সরকারি খাতায় এর জন্য জমা হয় মাত্র ১ হাজার ১৭০ টাকা। অনেক সময় টাকা দিলেও তাৎক্ষণিক মেলে না নথিপত্র। নানাভাবে চক্রের সদস্যদের পেছনে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন।
দালাল না ধরে সরাসরি অফিসে গেলেও পোহাতে হয় ভোগান্তি। আবার অফিসের ভেতরে গেলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বহিরাগত আত্মীয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. জনাব আলী শেখ ৭ নভেম্বর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দাখিলা কাটতে গেলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জালাল হোসেন ১ দশমিক ৭০ একর জমির এক বছরের খাজনার জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। জনাব আলী অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) আব্দুর রউফের মাধ্যমে ওই টাকা দেন। তখন ভূমি কর্মকর্তা জালাল হোসেন তাঁকে পরে আসতে বলেন। কিন্তু ওই স্থানে হাসপাতাল নির্মাণের কথা রয়েছে জানিয়ে দাখিলা দ্রুত প্রয়োজন জানালে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জালাল হোসেন আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।
ভূমি কর্মকর্তা বলেন, কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতাল করবেন আর আমাদের কিছু দেবেন না? এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. জনাব আলীকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ব্যাপারে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। একইভাবে উপজেলার আদমপুর এলাকার গগন শেখ জমি নামজারি করার জন্য ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এত টাকা দেওয়ার পরও মিউটেশন কাগজ তাঁকে দেওয়া হয়নি। একই এলাকার তায়েব আলীর কাছ থেকে খাজনার দাখিলা দিতে ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।
তেরখাদা দক্ষিণপাড়া এলাকার আলী গফফার মোল্লা বলেন, ভূমি কর্মকর্তা জালাল হোসেনের অর্থ-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গত ৮ আগস্ট খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। একই দিন তেরখাদা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে জিডি হয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জালাল হোসেন বলেন, ‘অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। তবে আমার বিরুদ্ধে তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে, তা-ই মেনে নেব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দাখিলা কাটতে গেলে একটা নিয়ম আছে, কেউ যদি কোনো অন্যায় আবদার করে থাকে, তাহলে তো হবে না। অতিরিক্ত টাকা নিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪