কক্সবাজার প্রতিনিধি
তাঁতিদের জন্য তাঁত বোর্ড, চা চাষিদের জন্য চা বোর্ড—এ রকম সবকিছুর জন্য বোর্ড থাকলেও লবণচাষি ও শিল্পের জন্য কেন বোর্ড নেই। লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, লবণচাষি ও শিল্পের উন্নয়নে এ রকম লবণ বোর্ড গঠনের দাবি উঠেছে এই শিল্প-সংশ্লিষ্ট সবার।
গতকাল শনিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলনকক্ষে সর্বজনীন আয়োডিন যুক্ত লবণ উৎপাদন শীর্ষক এক সভায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও নেতারা লবণ শিল্প নিয়ে নানা হতাশা ও চাষিদের হয়রানির বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময় কক্সবাজার-৩ (সদর ও রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল শিগগিরই লবণ বোর্ড গঠন করার তাগাদা দেন। না হয় তিনি আর কোনো লবণ সংক্রান্ত সভা-সমাবেশে যোগ দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
শিল্পমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘তাঁতিদের জন্য তাঁত বোর্ড, চা চাষিদের জন্য চা বোর্ড— এ রকম সবকিছুর জন্য বোর্ড আছে, কিন্তু লবণচাষি ও শিল্পের জন্য কেন বোর্ড করা হবে না?’
তাঁর মতো লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, লবণচাষি ও শিল্পের উন্নয়নে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী ও কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী দাবি তুলেন।
সভায় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আন্তরিক। সরকার প্রান্তিক পর্যায়ের লবণচাষিদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডীতে বঙ্গবন্ধু লবণ ইনস্টিটিউট করার পাশাপাশি লবণ বোর্ড গঠনের কাজও করছে। লবণ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে লবণচাষিদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প সংস্থা (বিসিক) ও ইউনিসেফের সহায়তায় আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ।
সভায় বক্তব্য দেন কক্সবাজার সদর ও রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মিল মালিক ও চাষিরা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘লবণ চাষেই আমার জীবন-জীবিকা। আমরা পড়ালেখা করেছি লবণ উৎপাদনের টাকায়। লবণচাষিরা নানাভাবে হয়রানির শিকার। লবণচাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি তুলে তিনি বলেন, ‘এক ফুট বালু ১০ থেকে ১৫ টাকা। অথচ বালুর দাম লবণের চেয়ে বেশি।’
সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ লবণের মূল্য নিয়ে নানা হয়রানির অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আগে সংকট দেখিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লবণ আমদানির জন্য সব সময় ফাঁকফোকর খুঁজতে থাকে। অথচ কক্সবাজারের চাষিরা দেশের চাহিদামতো লবণ উৎপাদন করছে। ন্যায্যমূল্য পেলে চাষিরা আরও উৎসাহিত হবে।’
কক্সবাজার জেলা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী অবিলম্বে লবণ বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘কক্সবাজারে এখন মাঠ পর্যায়ে এক মণ লবণ (৪৫ থেকে ৫০ কেজি) ৪২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লবণের কোনো সংকট থাকলে মে-জুনের মধ্যেই আমদানি করা দরকার। না হয় লবণ উৎপাদন মৌসুমে আমদানির সুযোগ দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা চাষিদের লবণের ন্যায্যমূল্য দেন না। গত তিন থেকে চার বছর ধরে এই অবস্থা দেখা গেছে।’
লবণ শিল্পের উন্নয়নে নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে মিলার পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে সরকার একটি সমন্বয় করছে। সম্প্রতি একটি অ্যাপসও চালু করা হয়েছে। এতে লবণ উৎপাদন, বিক্রিসহ সবধরণের তথ্য জানার সুযোগ রয়েছে।’
বিসিকের তথ্যমতে, কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলে এ বছর ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ চাষ হয়েছে। দেশে এ বছর লবণের চাহিদা রয়েছে ২৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে (২০ মে পর্যন্ত) লবণ উৎপাদিত হয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন। তবে গত বছরের লবণ মজুত থাকায় ঘাটতি নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তাঁতিদের জন্য তাঁত বোর্ড, চা চাষিদের জন্য চা বোর্ড—এ রকম সবকিছুর জন্য বোর্ড থাকলেও লবণচাষি ও শিল্পের জন্য কেন বোর্ড নেই। লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, লবণচাষি ও শিল্পের উন্নয়নে এ রকম লবণ বোর্ড গঠনের দাবি উঠেছে এই শিল্প-সংশ্লিষ্ট সবার।
গতকাল শনিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলনকক্ষে সর্বজনীন আয়োডিন যুক্ত লবণ উৎপাদন শীর্ষক এক সভায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও নেতারা লবণ শিল্প নিয়ে নানা হতাশা ও চাষিদের হয়রানির বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময় কক্সবাজার-৩ (সদর ও রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল শিগগিরই লবণ বোর্ড গঠন করার তাগাদা দেন। না হয় তিনি আর কোনো লবণ সংক্রান্ত সভা-সমাবেশে যোগ দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
শিল্পমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘তাঁতিদের জন্য তাঁত বোর্ড, চা চাষিদের জন্য চা বোর্ড— এ রকম সবকিছুর জন্য বোর্ড আছে, কিন্তু লবণচাষি ও শিল্পের জন্য কেন বোর্ড করা হবে না?’
তাঁর মতো লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, লবণচাষি ও শিল্পের উন্নয়নে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী ও কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী দাবি তুলেন।
সভায় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আন্তরিক। সরকার প্রান্তিক পর্যায়ের লবণচাষিদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডীতে বঙ্গবন্ধু লবণ ইনস্টিটিউট করার পাশাপাশি লবণ বোর্ড গঠনের কাজও করছে। লবণ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে লবণচাষিদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প সংস্থা (বিসিক) ও ইউনিসেফের সহায়তায় আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ।
সভায় বক্তব্য দেন কক্সবাজার সদর ও রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মিল মালিক ও চাষিরা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘লবণ চাষেই আমার জীবন-জীবিকা। আমরা পড়ালেখা করেছি লবণ উৎপাদনের টাকায়। লবণচাষিরা নানাভাবে হয়রানির শিকার। লবণচাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি তুলে তিনি বলেন, ‘এক ফুট বালু ১০ থেকে ১৫ টাকা। অথচ বালুর দাম লবণের চেয়ে বেশি।’
সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ লবণের মূল্য নিয়ে নানা হয়রানির অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আগে সংকট দেখিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লবণ আমদানির জন্য সব সময় ফাঁকফোকর খুঁজতে থাকে। অথচ কক্সবাজারের চাষিরা দেশের চাহিদামতো লবণ উৎপাদন করছে। ন্যায্যমূল্য পেলে চাষিরা আরও উৎসাহিত হবে।’
কক্সবাজার জেলা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী অবিলম্বে লবণ বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘কক্সবাজারে এখন মাঠ পর্যায়ে এক মণ লবণ (৪৫ থেকে ৫০ কেজি) ৪২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লবণের কোনো সংকট থাকলে মে-জুনের মধ্যেই আমদানি করা দরকার। না হয় লবণ উৎপাদন মৌসুমে আমদানির সুযোগ দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা চাষিদের লবণের ন্যায্যমূল্য দেন না। গত তিন থেকে চার বছর ধরে এই অবস্থা দেখা গেছে।’
লবণ শিল্পের উন্নয়নে নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে মিলার পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে সরকার একটি সমন্বয় করছে। সম্প্রতি একটি অ্যাপসও চালু করা হয়েছে। এতে লবণ উৎপাদন, বিক্রিসহ সবধরণের তথ্য জানার সুযোগ রয়েছে।’
বিসিকের তথ্যমতে, কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলে এ বছর ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ চাষ হয়েছে। দেশে এ বছর লবণের চাহিদা রয়েছে ২৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে (২০ মে পর্যন্ত) লবণ উৎপাদিত হয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন। তবে গত বছরের লবণ মজুত থাকায় ঘাটতি নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে