মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
গভীর রাতে ভোটারদের হুমকি ধমকি দেওয়ায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকেরা মারধরের শিকার হয়েছেন। ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারে গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন ক্ষুব্ধ জনতা।
গতকাল মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগ লেখা এখনো সম্পন্ন হয়নি।
বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে ওই রাতেই গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে সেখান থেকে ভাঙচুর করা পাঁচটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা ওই এলাকায় গিয়ে লোকজনের মধ্যে কিছুটা ভয়ের সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী মো. মুখলেছুর রহমান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরও ছয়জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর ওই ইউপির ভোট।
সরেজমিন ঘুরে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুখলেছুর রহমান তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে করে সুখদেবপুর বাজারে যান। অশ্লীল ভাষায় গালমন্দের পাশাপাশি ‘নৌকা ছাড়া কোনো প্রতীকের নির্বাচন করা যাবে না’ এই বলে দোকানে থাকা লোকজনকে হুমকি-ধমকি দেন।
এ সময় কর্মী-সমর্থকদের সবার হাতে বইঠা ছিল। একই হুমকি দেন বানিয়াহারী বাজার ও গাজীনগর গ্রামে। একপর্যায়ে গাজীনগর গ্রামের দুটি ভাসমান দোকানে ভাঙচুর ও দোকানে উপস্থিত লোকজনকে মারধরও করে তার কর্মীরা।
হিন্দু অধ্যুষিত হওয়ায় ওই গ্রামের লোকজন ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ছোটাছুটি করে আতঙ্কিত নারী-শিশুরা নদীর পাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন।
শেষে বানিয়াহারী বাজারে গিয়ে লোকজনকে গালমন্দ শুরু করলে তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তখন স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের গণধোলাই দেয়। ভাঙচুর করে কয়েকটি মোটরসাইকেল। এ সময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রার্থী মুখলেছুর রহমান কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গাজীনগর গ্রামের দোকানি উৎপল সরকার ও সজল চন্দ্র সরকার বলেন, বাড়ির সামনে নির্বাচনকালীন চায়ের দোকান দিয়েছি। ওই রাতে নৌকার প্রার্থী মুখলেছুর রহমান ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে করে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালানোর পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। তাদের সবার হাতে বইঠা ছিল।
ওই সময় মুখলেছুর রহমান দোকানে উপস্থিত লোকদের বলেন, এত রাতে এখানে কি? নৌকা ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর প্রচারণা চলবে না।’ এই বলে সবাইকে পেটাতে থাকেন। সবাই ছোটাছুটি করে দৌড়ে পালাতে থাকে। একপর্যায়ে আমাদের দোকান ভাঙচুর করার পাশাপাশি দোকানে থাকা সিগারেটের কার্টন নিয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গাজীনগর গ্রামের বাসিন্দা নিক্সন চন্দ্র সরকার বলেন, একজন নৌকার প্রার্থী রাতে আধারে কর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর এভাবে হামলা চালাবে এটা কখনো ভাবতেও পারিনি।
বরুংকা গ্রামের খোরশেদ মিয়া, বানিয়াহারী গ্রামের সুলতান মিয়া ও মো. কাজল মিয়া বলেন, মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বাজারে এসেই উপস্থিত লোকজনকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন নৌকার প্রার্থী মুখলেছুর রহমান। এ সময় তার লোকজন অনেককে ধরে বাড়ির দিকে পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী হাজী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। ঘটনার সময় আমি থানায় ছিলাম।
গভীর রাতে ভোটারদের হুমকি ধমকি দেওয়ায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকেরা মারধরের শিকার হয়েছেন। ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারে গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন ক্ষুব্ধ জনতা।
গতকাল মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগ লেখা এখনো সম্পন্ন হয়নি।
বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে ওই রাতেই গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে সেখান থেকে ভাঙচুর করা পাঁচটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা ওই এলাকায় গিয়ে লোকজনের মধ্যে কিছুটা ভয়ের সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী মো. মুখলেছুর রহমান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরও ছয়জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর ওই ইউপির ভোট।
সরেজমিন ঘুরে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুখলেছুর রহমান তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে করে সুখদেবপুর বাজারে যান। অশ্লীল ভাষায় গালমন্দের পাশাপাশি ‘নৌকা ছাড়া কোনো প্রতীকের নির্বাচন করা যাবে না’ এই বলে দোকানে থাকা লোকজনকে হুমকি-ধমকি দেন।
এ সময় কর্মী-সমর্থকদের সবার হাতে বইঠা ছিল। একই হুমকি দেন বানিয়াহারী বাজার ও গাজীনগর গ্রামে। একপর্যায়ে গাজীনগর গ্রামের দুটি ভাসমান দোকানে ভাঙচুর ও দোকানে উপস্থিত লোকজনকে মারধরও করে তার কর্মীরা।
হিন্দু অধ্যুষিত হওয়ায় ওই গ্রামের লোকজন ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ছোটাছুটি করে আতঙ্কিত নারী-শিশুরা নদীর পাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন।
শেষে বানিয়াহারী বাজারে গিয়ে লোকজনকে গালমন্দ শুরু করলে তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তখন স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের গণধোলাই দেয়। ভাঙচুর করে কয়েকটি মোটরসাইকেল। এ সময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রার্থী মুখলেছুর রহমান কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গাজীনগর গ্রামের দোকানি উৎপল সরকার ও সজল চন্দ্র সরকার বলেন, বাড়ির সামনে নির্বাচনকালীন চায়ের দোকান দিয়েছি। ওই রাতে নৌকার প্রার্থী মুখলেছুর রহমান ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে করে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালানোর পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। তাদের সবার হাতে বইঠা ছিল।
ওই সময় মুখলেছুর রহমান দোকানে উপস্থিত লোকদের বলেন, এত রাতে এখানে কি? নৌকা ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর প্রচারণা চলবে না।’ এই বলে সবাইকে পেটাতে থাকেন। সবাই ছোটাছুটি করে দৌড়ে পালাতে থাকে। একপর্যায়ে আমাদের দোকান ভাঙচুর করার পাশাপাশি দোকানে থাকা সিগারেটের কার্টন নিয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গাজীনগর গ্রামের বাসিন্দা নিক্সন চন্দ্র সরকার বলেন, একজন নৌকার প্রার্থী রাতে আধারে কর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর এভাবে হামলা চালাবে এটা কখনো ভাবতেও পারিনি।
বরুংকা গ্রামের খোরশেদ মিয়া, বানিয়াহারী গ্রামের সুলতান মিয়া ও মো. কাজল মিয়া বলেন, মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বাজারে এসেই উপস্থিত লোকজনকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন নৌকার প্রার্থী মুখলেছুর রহমান। এ সময় তার লোকজন অনেককে ধরে বাড়ির দিকে পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী হাজী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। ঘটনার সময় আমি থানায় ছিলাম।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে