সম্পাদকীয়
একবার সাংবাদিক গোপালকৃষ্ণ রায়কে ডেকে সুচিত্রা সেন বললেন, ‘আচ্ছা, স্টেজে নামলে কেমন হয়?’
রঙ্গমঞ্চে সুচিত্রা! হতেই পারে। অনেকেই তো মঞ্চে অভিনয় করার কথা ভাবেন। সে সময় সোফিয়া লরেনও মঞ্চে অভিনয়ের কথা ভাবছিলেন।
গোপালকৃষ্ণ রায় বললেন, ‘তুমি নামলে তো ভালোই হয়।’
সুচিত্রা সেন জানালেন, স্টেজে কাজ করার বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়েই ভাবছেন। কলকাতার একটি বিখ্যাত থিয়েটার গ্রুপ থেকে সুচিত্রা সেনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সুচিত্রা অভিনয় করবেন, তাই শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘শেষ প্রশ্ন’ উপন্যাসটি থেকেই তৈরি হয়েছে নাটক। মঞ্চে ‘শেষ প্রশ্ন’-এর অভিনয় হলে তাতে সুচিত্রা অবধারিতভাবে অভিনয় করবেন কমলের ভূমিকায়।
কথাবার্তা চলছিল, কিন্তু সুচিত্রা কোনোভাবেই মনস্থির করে উঠতে পারছিলেন না। যে পরিচালক নাটকটি তৈরি করবেন, তিনিও স্বনামধন্য। কিন্তু সুচিত্রাকে তো মঞ্চনাটকে অভিনয় করার ব্যাপারে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে আগে!
এসব ব্যাপারে মনস্থির করাটা কঠিন ছিল সুচিত্রার পক্ষে। এর আগে একবার যাত্রায় অভিনয় করবেন বলে ভেবেছিলেন। পরে একবার নিজের বাড়িতে অভিনয় শিক্ষার ইনস্টিটিউট গড়তে চেয়েছিলেন। কেন গড়বেন? সেই প্রশ্নের উত্তরও ছিল জিবের ডগায়, ‘কলকাতায় এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে!’
চিত্রজগতের জীবন্ত কিংবদন্তির কাছ থেকে অভিনয় শেখা যাবে—এ তো দারুণ ব্যাপার। কিন্তু সুচিত্রা সেনের মুড বলে কথা! এ কাজটিও আর এগোয়নি।
এ রকম নানা ধরনের ভাবনা এসে ভিড় করত সুচিত্রার মাথায়। কিন্তু সেই সব ভাবনা মুড আসা-যাওয়ার ওপর নির্ভর করত। মঞ্চে নাটক করার ব্যাপারটাও সেভাবেই মুডের আসা-যাওয়ার মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিল। কথা ছিল মহাজাতি সদনে মঞ্চায়ন হবে ‘শেষ প্রশ্ন’। সুচিত্রার জন্মদিনে গোপালকৃষ্ণ জানতে চেয়েছিলেন, ‘তোমার ওই ব্যাপারটা কত দূর এগোল?’
সুচিত্রা জানতে চাইলেন, ‘কোন ব্যাপারটা?’
‘তোমার স্টেজে নামা?’
সুচিত্রা হাসতে হাসতে বললেন, ‘আমাকে চিনতে তোমার বাকি আছে নাকি?’
সূত্র: সুচিত্রার কথা, গোপালকৃষ্ণ রায়, পৃষ্ঠা ৭১-৭৩
একবার সাংবাদিক গোপালকৃষ্ণ রায়কে ডেকে সুচিত্রা সেন বললেন, ‘আচ্ছা, স্টেজে নামলে কেমন হয়?’
রঙ্গমঞ্চে সুচিত্রা! হতেই পারে। অনেকেই তো মঞ্চে অভিনয় করার কথা ভাবেন। সে সময় সোফিয়া লরেনও মঞ্চে অভিনয়ের কথা ভাবছিলেন।
গোপালকৃষ্ণ রায় বললেন, ‘তুমি নামলে তো ভালোই হয়।’
সুচিত্রা সেন জানালেন, স্টেজে কাজ করার বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়েই ভাবছেন। কলকাতার একটি বিখ্যাত থিয়েটার গ্রুপ থেকে সুচিত্রা সেনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সুচিত্রা অভিনয় করবেন, তাই শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘শেষ প্রশ্ন’ উপন্যাসটি থেকেই তৈরি হয়েছে নাটক। মঞ্চে ‘শেষ প্রশ্ন’-এর অভিনয় হলে তাতে সুচিত্রা অবধারিতভাবে অভিনয় করবেন কমলের ভূমিকায়।
কথাবার্তা চলছিল, কিন্তু সুচিত্রা কোনোভাবেই মনস্থির করে উঠতে পারছিলেন না। যে পরিচালক নাটকটি তৈরি করবেন, তিনিও স্বনামধন্য। কিন্তু সুচিত্রাকে তো মঞ্চনাটকে অভিনয় করার ব্যাপারে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে আগে!
এসব ব্যাপারে মনস্থির করাটা কঠিন ছিল সুচিত্রার পক্ষে। এর আগে একবার যাত্রায় অভিনয় করবেন বলে ভেবেছিলেন। পরে একবার নিজের বাড়িতে অভিনয় শিক্ষার ইনস্টিটিউট গড়তে চেয়েছিলেন। কেন গড়বেন? সেই প্রশ্নের উত্তরও ছিল জিবের ডগায়, ‘কলকাতায় এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে!’
চিত্রজগতের জীবন্ত কিংবদন্তির কাছ থেকে অভিনয় শেখা যাবে—এ তো দারুণ ব্যাপার। কিন্তু সুচিত্রা সেনের মুড বলে কথা! এ কাজটিও আর এগোয়নি।
এ রকম নানা ধরনের ভাবনা এসে ভিড় করত সুচিত্রার মাথায়। কিন্তু সেই সব ভাবনা মুড আসা-যাওয়ার ওপর নির্ভর করত। মঞ্চে নাটক করার ব্যাপারটাও সেভাবেই মুডের আসা-যাওয়ার মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিল। কথা ছিল মহাজাতি সদনে মঞ্চায়ন হবে ‘শেষ প্রশ্ন’। সুচিত্রার জন্মদিনে গোপালকৃষ্ণ জানতে চেয়েছিলেন, ‘তোমার ওই ব্যাপারটা কত দূর এগোল?’
সুচিত্রা জানতে চাইলেন, ‘কোন ব্যাপারটা?’
‘তোমার স্টেজে নামা?’
সুচিত্রা হাসতে হাসতে বললেন, ‘আমাকে চিনতে তোমার বাকি আছে নাকি?’
সূত্র: সুচিত্রার কথা, গোপালকৃষ্ণ রায়, পৃষ্ঠা ৭১-৭৩
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে